কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রেখে অর্থবিল পাস

উচ্চহারে কর আরোপ করে ‘কালো টাকা সাদা’ করার বিশেষ সুযোগ রেখে জাতীয় সংসদে অর্থবিল-২০২১ পাস হয়েছে। বিলে শিল্পের কাঁচামাল কেনায় ক্রসচেকে লেনদেনের শর্ত শিথিল করা হয়েছে। কামনো হয়েছে রেস্তোরাঁয় খাবারের ভ্যাট। এছাড়া করপোরেট কর কমানোসহ বিলে ছোটখাট কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। গতকাল সংসদ অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়।

এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়। এ সময় সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য প্রণীত বাজেটের ওপর সমাপনী বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী। এ সময় অর্থবিলের ওপর কয়েকজন সদস্যের আনা কয়েকটি সংশোধনী প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। বাকিগুলো কণ্ঠভোটে বাতিল হয়ে যায়।

‘কালো টাকা সাদা’ করার বিষয়টি অর্থ বিলে প্রস্তাব আকারে না থাকলেও শেষ পর্যন্ত বিল পাসের সময় সংশোধনী যোগ করা হয়। সরকারি দলের সংসদ সদস্য মো. আবদুস শহীদ এ বিষয়ে প্রস্তাব তুললে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তা গ্রহণ করেন এবং পরে কন্ঠভোটে তা পাস হয়। সেই সঙ্গে যারা নতুন বিনিয়োগ করবেন তাদের ১০ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত আয় সাদা করার সুযোগ দেয়া হয়েছে।

চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হয়েছিল ১০ শতাংশ হারে কর দেয়ার শর্তে। এই টাকা বিনিয়োগে বাধ্যবাধকতা ছিল শেয়ার মার্কেট, ব্যাংক আমানত, সঞ্চয়পত্র, জমি, ফ্ল্যাটসহ নির্ধারিত কিছু খাতে। এভাবে সাদা করা টাকা কীভাবে আয় করা হয়েছে, সে প্রশ্ন করতে পারবে না সরকারের কোন সংস্থা। মাত্র ১০ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার এই সুযোগ দেয়া হলেও প্রদর্শিত আয়ে করদাতারা সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত কর দিয়ে থাকেন। এ নিয়ে গত প্রায় এক মাসে সংসদের ভেতরে ও বাইরে সমালোচনা হয়েছে সমালোচনা হয়েছে। তবে কালো টাকা সাদা করার এই সুযোগ আগামী বছরের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছেন অর্থমন্ত্রী।

তবে নতুন শর্ত অনুযায়ী, শেয়ার মার্কেট, ব্যাংক ও সঞ্চয়পত্র এবং হাতের নগদ টাকা সাদা করলে ২৫ শতাংশ কর দিতে হবে। এর সঙ্গে মোট করের ওপর পাঁচ শতাংশ পেনাল্টি দিতে হবে। তবে, কেউ যদি শিল্প-কারখানায় বিনিয়োগ করেন তাহলে তিনি ১০ শতাংশ কর দিয়ে এই সুযোগ নিতে পারবেন। বিএনপির আমলে বিনিয়োগ চাঙা করতে এ রকম সুযোগ দিয়েছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান।

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত রেস্তোরাঁ ব্যবসা আবার জাগিয়ে তুলতে কমানো হয়েছে ভ্যাট হার। এতে গ্রাহকের খাবারের খরচ কিছুটা হলেও কমবে। বর্তমানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) ফাস্টফুডের দোকান, রেস্তোরাঁয় প্রতি ১০০ টাকার খাবারে ১৫ টাকা ভ্যাট কেটে রাখা হয়। নতুন অর্থবছর থেকে (১ জুলাই) এ ধরনের ফাস্টফুডের দোকান ও রেস্তোরাঁ থেকে ভ্যাট কাটা হবে ১০ টাকা। আর নন-এসি রেস্তোরাঁ বা ফাস্টফুডের দোকানে ভ্যাট দিতে হবে সাড়ে ৭ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ।

সংসদে অর্থমন্ত্রী প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপনের পর মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠানগুলো পৃথকভাবে করপোরেট কর কমানোর জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) আবেদন করে। এনবিআর প্রতিষ্ঠানগুলোর আবেদন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করে এ খাতে করপোরেট কর কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। বাজেট প্রস্তাবনায় মোবাইল ব্যাংকিং সেবার করপোরেট করসহ ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মতো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে ৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং তালিকাবহির্ভূত কোম্পানির ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ করা হয়েছিল। এটি কমিয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে।

এবারের অর্থবিলে কর্মীদের বেতন পরিশোধে নতুন নিয়ম আনা হয়েছে। বিদ্যমান আয়কর অধ্যাদেশে কর্মীদের বেতন-ভাতা ও সম্মানীর পরিমাণ ১৫ হাজার টাকার বেশি হলে তা ক্রসচেক বা ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে সম্পন্ন করার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। তা না হলে এই খাতে ব্যয় করা অর্থ আয় হিসাবে দেখানো হয় না। আর আয় হিসেবে গণ্য করলে তা করযোগ্য হয়ে যায়। সংশোধিত অর্থবিলে এই সীমা ১৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে।

এর আগে, ৩ জুন ঘোষিত ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বিদ্যমান করোনার প্রেক্ষাপটে শিল্প বিনিয়োগকে চাঙ্গা করতে কর ছাড় দেয়া হয়। এর মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এবং তালিকাবহির্ভূত কোম্পানির করপোরেট কর কমানো, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের টার্নওভারের ওপর ন্যূনতম কর কমানো, এক ব্যক্তির কোম্পানির করপোরেট কর হ্রাস, আইটি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে কর অবকাশ সুবিধা এবং ভ্যাটের আগাম কর কমানো অন্যতম।

এছাড়া, বিনিয়োগ সহজ ও উৎসাহী করতে শিল্পের কাঁচামাল কেনার ক্ষেত্রে ক্রসচেকের শর্ত শিথিল করা হয়েছে। বর্তমানে ৫০ হাজার টাকার বেশি কাঁচামাল কিনলে সেক্ষেত্রে চেকে লেনদেনের বিধান চালু আছে। এটি বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করা হয়েছে। এখন থেকে ৫ লাখ টাকার কম টাকার কাঁচামাল কিনলে চেকে লেনদেনের বাধ্যবাধকতা থাকছে না। এতে শিল্প উদ্যোক্তারা কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন।

অর্থমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা বহু দূর যেতে চাই। পাকিস্তানও বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রশংসা করছে। সারা বিশ্বের অর্থনীতি পাল্টে গেছে, ল-ভ- হয়ে গেছে। বিশ্ব অর্থনীতির পরিস্থিতি যখন এমন করুণ, সে অবস্থাতেও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অতটা খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘এ বছরের বাজেট দেশের মানুষের জন্য। তাই, সব জেনে-শুনেই আমরা কঠিনকে ভালোবেসেছি। আশা করি, এবারের বাজেট বাস্তবায়নে সক্ষম হব।’

এর আগে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন। সরকারি ও বিরোধী দলীয় সদস্যরা অর্থ বিলের বিভিন্ন অংশে সংশোধনের প্রস্তাব তুলে ধরে বক্তব্য দেন। সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান, কাজী ফিরোজ রশিদ, মুজিবুল হক, মশিউর রহমান রাঙার কয়েকটি সংশোধনী প্রস্তাব অর্থমন্ত্রী গ্রহণ করেন। পরবর্তী সময়ে এগুলো ভোটে দিলে তাও কণ্ঠভোটে পাস হয়।

বুধবার, ৩০ জুন ২০২১ , ১৬ আষাঢ় ১৪২৮ ১৮ জিলক্বদ ১৪৪২

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রেখে অর্থবিল পাস

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

উচ্চহারে কর আরোপ করে ‘কালো টাকা সাদা’ করার বিশেষ সুযোগ রেখে জাতীয় সংসদে অর্থবিল-২০২১ পাস হয়েছে। বিলে শিল্পের কাঁচামাল কেনায় ক্রসচেকে লেনদেনের শর্ত শিথিল করা হয়েছে। কামনো হয়েছে রেস্তোরাঁয় খাবারের ভ্যাট। এছাড়া করপোরেট কর কমানোসহ বিলে ছোটখাট কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। গতকাল সংসদ অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়।

এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়। এ সময় সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য প্রণীত বাজেটের ওপর সমাপনী বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী। এ সময় অর্থবিলের ওপর কয়েকজন সদস্যের আনা কয়েকটি সংশোধনী প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। বাকিগুলো কণ্ঠভোটে বাতিল হয়ে যায়।

‘কালো টাকা সাদা’ করার বিষয়টি অর্থ বিলে প্রস্তাব আকারে না থাকলেও শেষ পর্যন্ত বিল পাসের সময় সংশোধনী যোগ করা হয়। সরকারি দলের সংসদ সদস্য মো. আবদুস শহীদ এ বিষয়ে প্রস্তাব তুললে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তা গ্রহণ করেন এবং পরে কন্ঠভোটে তা পাস হয়। সেই সঙ্গে যারা নতুন বিনিয়োগ করবেন তাদের ১০ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত আয় সাদা করার সুযোগ দেয়া হয়েছে।

চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হয়েছিল ১০ শতাংশ হারে কর দেয়ার শর্তে। এই টাকা বিনিয়োগে বাধ্যবাধকতা ছিল শেয়ার মার্কেট, ব্যাংক আমানত, সঞ্চয়পত্র, জমি, ফ্ল্যাটসহ নির্ধারিত কিছু খাতে। এভাবে সাদা করা টাকা কীভাবে আয় করা হয়েছে, সে প্রশ্ন করতে পারবে না সরকারের কোন সংস্থা। মাত্র ১০ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার এই সুযোগ দেয়া হলেও প্রদর্শিত আয়ে করদাতারা সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত কর দিয়ে থাকেন। এ নিয়ে গত প্রায় এক মাসে সংসদের ভেতরে ও বাইরে সমালোচনা হয়েছে সমালোচনা হয়েছে। তবে কালো টাকা সাদা করার এই সুযোগ আগামী বছরের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছেন অর্থমন্ত্রী।

তবে নতুন শর্ত অনুযায়ী, শেয়ার মার্কেট, ব্যাংক ও সঞ্চয়পত্র এবং হাতের নগদ টাকা সাদা করলে ২৫ শতাংশ কর দিতে হবে। এর সঙ্গে মোট করের ওপর পাঁচ শতাংশ পেনাল্টি দিতে হবে। তবে, কেউ যদি শিল্প-কারখানায় বিনিয়োগ করেন তাহলে তিনি ১০ শতাংশ কর দিয়ে এই সুযোগ নিতে পারবেন। বিএনপির আমলে বিনিয়োগ চাঙা করতে এ রকম সুযোগ দিয়েছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান।

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত রেস্তোরাঁ ব্যবসা আবার জাগিয়ে তুলতে কমানো হয়েছে ভ্যাট হার। এতে গ্রাহকের খাবারের খরচ কিছুটা হলেও কমবে। বর্তমানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) ফাস্টফুডের দোকান, রেস্তোরাঁয় প্রতি ১০০ টাকার খাবারে ১৫ টাকা ভ্যাট কেটে রাখা হয়। নতুন অর্থবছর থেকে (১ জুলাই) এ ধরনের ফাস্টফুডের দোকান ও রেস্তোরাঁ থেকে ভ্যাট কাটা হবে ১০ টাকা। আর নন-এসি রেস্তোরাঁ বা ফাস্টফুডের দোকানে ভ্যাট দিতে হবে সাড়ে ৭ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ।

সংসদে অর্থমন্ত্রী প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপনের পর মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠানগুলো পৃথকভাবে করপোরেট কর কমানোর জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) আবেদন করে। এনবিআর প্রতিষ্ঠানগুলোর আবেদন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করে এ খাতে করপোরেট কর কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। বাজেট প্রস্তাবনায় মোবাইল ব্যাংকিং সেবার করপোরেট করসহ ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মতো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে ৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং তালিকাবহির্ভূত কোম্পানির ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ করা হয়েছিল। এটি কমিয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে।

এবারের অর্থবিলে কর্মীদের বেতন পরিশোধে নতুন নিয়ম আনা হয়েছে। বিদ্যমান আয়কর অধ্যাদেশে কর্মীদের বেতন-ভাতা ও সম্মানীর পরিমাণ ১৫ হাজার টাকার বেশি হলে তা ক্রসচেক বা ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে সম্পন্ন করার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। তা না হলে এই খাতে ব্যয় করা অর্থ আয় হিসাবে দেখানো হয় না। আর আয় হিসেবে গণ্য করলে তা করযোগ্য হয়ে যায়। সংশোধিত অর্থবিলে এই সীমা ১৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে।

এর আগে, ৩ জুন ঘোষিত ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বিদ্যমান করোনার প্রেক্ষাপটে শিল্প বিনিয়োগকে চাঙ্গা করতে কর ছাড় দেয়া হয়। এর মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এবং তালিকাবহির্ভূত কোম্পানির করপোরেট কর কমানো, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের টার্নওভারের ওপর ন্যূনতম কর কমানো, এক ব্যক্তির কোম্পানির করপোরেট কর হ্রাস, আইটি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে কর অবকাশ সুবিধা এবং ভ্যাটের আগাম কর কমানো অন্যতম।

এছাড়া, বিনিয়োগ সহজ ও উৎসাহী করতে শিল্পের কাঁচামাল কেনার ক্ষেত্রে ক্রসচেকের শর্ত শিথিল করা হয়েছে। বর্তমানে ৫০ হাজার টাকার বেশি কাঁচামাল কিনলে সেক্ষেত্রে চেকে লেনদেনের বিধান চালু আছে। এটি বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করা হয়েছে। এখন থেকে ৫ লাখ টাকার কম টাকার কাঁচামাল কিনলে চেকে লেনদেনের বাধ্যবাধকতা থাকছে না। এতে শিল্প উদ্যোক্তারা কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন।

অর্থমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা বহু দূর যেতে চাই। পাকিস্তানও বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রশংসা করছে। সারা বিশ্বের অর্থনীতি পাল্টে গেছে, ল-ভ- হয়ে গেছে। বিশ্ব অর্থনীতির পরিস্থিতি যখন এমন করুণ, সে অবস্থাতেও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অতটা খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘এ বছরের বাজেট দেশের মানুষের জন্য। তাই, সব জেনে-শুনেই আমরা কঠিনকে ভালোবেসেছি। আশা করি, এবারের বাজেট বাস্তবায়নে সক্ষম হব।’

এর আগে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন। সরকারি ও বিরোধী দলীয় সদস্যরা অর্থ বিলের বিভিন্ন অংশে সংশোধনের প্রস্তাব তুলে ধরে বক্তব্য দেন। সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান, কাজী ফিরোজ রশিদ, মুজিবুল হক, মশিউর রহমান রাঙার কয়েকটি সংশোধনী প্রস্তাব অর্থমন্ত্রী গ্রহণ করেন। পরবর্তী সময়ে এগুলো ভোটে দিলে তাও কণ্ঠভোটে পাস হয়।