আজ উদ্বোধনী ম্যাচে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি দক্ষিণ আফ্রিকা

গত বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বেই বিদায় নিয়েছিল ইংল্যান্ড। এরপর গত চার বছরে মাঠে দাপট দেখিয়েছে তারা। ১৯ সিরিজের ১৫টি জিতে এবার তারা ফেভারিট হিসেবে বিশ্বকাপ খেলতে নামছে। এই পরিচিতি তাদের ওপর চাপ তৈরি করলেও ভেঙে পড়বে না তারা, দৃঢ় কণ্ঠে একথা জানালেন অধিনায়ক এউইন মরগান।

গত বুধবার ম্যাচের আগের সংবাদ সম্মেলনে বলেন মরগান, ওভালে আজ প্রথম ম্যাচে তারা খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। ফেভারিট হিসেবে র‌্যাংকিংয়ের তিন নম্বর দলটির মুখোমুখি হবে স্বাগতিকরা। আহত মার্ক উড, জোফরা আর্চার ও লিয়াম ডসনকে নিয়ে শঙ্কা থাকলেও প্রস্তুত ইংলিশরা।

পাকিস্তানের বিপক্ষে ০-৪ এ ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর প্রস্তুতি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারে ইংল্যান্ড। কিন্তু আফগানিস্তানকে উড়িয়ে দিয়ে প্রস্তুতি শেষ করেছে তারা। তাদের ঘিরে প্রত্যাশার পারদ আকাশছোঁয়া থাকলেও নির্ভার মরগান বলেন, ‘দল হিসেবে আমরা এ নিয়ে কথা বলেছি, উঁচু প্রত্যাশা ও ফেভারিট পরিচিতি পাওয়ার কারণ আছে। গত দুই বছরে বিশেষ করে নিজেদের মাঠে আমরা ছিলাম অসাধারণ এবং এটাই মূল কারণ।’ আত্মবিশ্বাস সঙ্গে করে প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডকে নেতৃত্ব দিতে চান অধিনায়ক বলেন, ‘ড্রেসিংরুমে সবার মধ্যে অনেক আত্মবিশ্বাস আছে। আমরা আমাদের খেলা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। কোন বিশ্বকাপ বা অ্যাশেজের প্রথম ম্যাচ সবসময় ভিন্ন এবং এটাই স্বাভাবিক। চাপের সঙ্গে মোকাবিলা করা একটা চ্যালেঞ্জ কিন্তু আমরা মুখিয়ে আছি। যেকোন পরিস্থিতিতে একটি জয় (দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে) আমাদের চাপ কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে।’

দুই বছর আগে নিজ মাঠে ইংল্যান্ডের মেয়েরা বিশ্বকাপ জিতেছিল। এবার তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ওয়ানডেতে প্রথমবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের মর্যাদা আদায় করতে চান মরগানরা। এজন্য প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত জয়ের বিকল্প আর কিছুই নেই।

দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ডু প্লেসিস বলেন, ‘আপনি ফেভারিট হোন বা না হোন, তারপরও আপনাকে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। তারা (ইংল্যান্ড) এই পরিচিতির দাবিদার, কারণ তারা স্বাগতিক এবং ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলে যাচ্ছে।’ এই ম্যাচে ইংল্যান্ড চাপে থাকবে মনে করছেন প্রোটিয়া অধিনায়ক, ‘এই টুর্নামেন্টের পুরো সময় আপনাকে এই ধরনের ভিন্ন প্রতিপক্ষকে মোকাবিলা করতে হবে, তাই মনোযোগ যেন ধরে রাখতে পারি সেটা নিশ্চিত করতে হবে। ইংল্যান্ডকে ফেভারিট মেনে নিলে খেলার দিন আমাদের ওপর চাপ কম থাকবে, আমরা নির্ভার খেলতে পারব। আন্ডারডগ হিসেবে খেলতে যাচ্ছি আমরা, এটা যদি আমাদের খেলোয়াড়দের কিছুটা চাপমুক্ত রাখতে পারে তাহলে সেটা হবে দারুণ।’ আইসিসি।

বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০১৯ , ১৬ জৈষ্ঠ্য ১৪২৫, ২৪ রমজান ১৪৪০

আজ উদ্বোধনী ম্যাচে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি দক্ষিণ আফ্রিকা

সংবাদ স্পোর্টস ডেস্ক

image

গত বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বেই বিদায় নিয়েছিল ইংল্যান্ড। এরপর গত চার বছরে মাঠে দাপট দেখিয়েছে তারা। ১৯ সিরিজের ১৫টি জিতে এবার তারা ফেভারিট হিসেবে বিশ্বকাপ খেলতে নামছে। এই পরিচিতি তাদের ওপর চাপ তৈরি করলেও ভেঙে পড়বে না তারা, দৃঢ় কণ্ঠে একথা জানালেন অধিনায়ক এউইন মরগান।

গত বুধবার ম্যাচের আগের সংবাদ সম্মেলনে বলেন মরগান, ওভালে আজ প্রথম ম্যাচে তারা খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। ফেভারিট হিসেবে র‌্যাংকিংয়ের তিন নম্বর দলটির মুখোমুখি হবে স্বাগতিকরা। আহত মার্ক উড, জোফরা আর্চার ও লিয়াম ডসনকে নিয়ে শঙ্কা থাকলেও প্রস্তুত ইংলিশরা।

পাকিস্তানের বিপক্ষে ০-৪ এ ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর প্রস্তুতি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারে ইংল্যান্ড। কিন্তু আফগানিস্তানকে উড়িয়ে দিয়ে প্রস্তুতি শেষ করেছে তারা। তাদের ঘিরে প্রত্যাশার পারদ আকাশছোঁয়া থাকলেও নির্ভার মরগান বলেন, ‘দল হিসেবে আমরা এ নিয়ে কথা বলেছি, উঁচু প্রত্যাশা ও ফেভারিট পরিচিতি পাওয়ার কারণ আছে। গত দুই বছরে বিশেষ করে নিজেদের মাঠে আমরা ছিলাম অসাধারণ এবং এটাই মূল কারণ।’ আত্মবিশ্বাস সঙ্গে করে প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডকে নেতৃত্ব দিতে চান অধিনায়ক বলেন, ‘ড্রেসিংরুমে সবার মধ্যে অনেক আত্মবিশ্বাস আছে। আমরা আমাদের খেলা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। কোন বিশ্বকাপ বা অ্যাশেজের প্রথম ম্যাচ সবসময় ভিন্ন এবং এটাই স্বাভাবিক। চাপের সঙ্গে মোকাবিলা করা একটা চ্যালেঞ্জ কিন্তু আমরা মুখিয়ে আছি। যেকোন পরিস্থিতিতে একটি জয় (দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে) আমাদের চাপ কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে।’

দুই বছর আগে নিজ মাঠে ইংল্যান্ডের মেয়েরা বিশ্বকাপ জিতেছিল। এবার তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ওয়ানডেতে প্রথমবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের মর্যাদা আদায় করতে চান মরগানরা। এজন্য প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত জয়ের বিকল্প আর কিছুই নেই।

দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ডু প্লেসিস বলেন, ‘আপনি ফেভারিট হোন বা না হোন, তারপরও আপনাকে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। তারা (ইংল্যান্ড) এই পরিচিতির দাবিদার, কারণ তারা স্বাগতিক এবং ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলে যাচ্ছে।’ এই ম্যাচে ইংল্যান্ড চাপে থাকবে মনে করছেন প্রোটিয়া অধিনায়ক, ‘এই টুর্নামেন্টের পুরো সময় আপনাকে এই ধরনের ভিন্ন প্রতিপক্ষকে মোকাবিলা করতে হবে, তাই মনোযোগ যেন ধরে রাখতে পারি সেটা নিশ্চিত করতে হবে। ইংল্যান্ডকে ফেভারিট মেনে নিলে খেলার দিন আমাদের ওপর চাপ কম থাকবে, আমরা নির্ভার খেলতে পারব। আন্ডারডগ হিসেবে খেলতে যাচ্ছি আমরা, এটা যদি আমাদের খেলোয়াড়দের কিছুটা চাপমুক্ত রাখতে পারে তাহলে সেটা হবে দারুণ।’ আইসিসি।