মোদির শপথ আজ

উপস্থিত থাকবেন সোনিয়া ও রাহুল

দ্বিতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আজ শপথগ্রহণ করবেন নরেন্দ্র মোদি। শপথ অনুষ্ঠানে অতিথির তালিকায় রয়েছে বিমসটেকসহ কয়েকটি দেশের সরকার প্রধান ছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখা সফল ৬ হাজার ব্যক্তিত্ব। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশের অতিথিদের সঙ্গে থাকবেন সনিয়া গাঁধী-রাহুল গাঁন্ধীও। শপথগ্রহণ এবং সরকার গঠনের বিষয়গুলো সামনে রেখে বৈঠক করেছেন নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি প্রেসিডেন্ট অমিত শাহ। বিজেপি সূত্রের বরাত দিয়ে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, আগামী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে যোগ দিতে পারেন অমিত শাহ। যথারীতি দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনে প্রধান্য পাবেন আগের মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীরা। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার জন্য দায়িত্ব নেবেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। অন্যদিকে মন্ত্রীর সংখ্যা বাড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং তেলেঙ্গানার মতো বিজেপির নতুন উত্থান হওয়া রাজ্যে।

ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে আজ এই শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। নরেন্দ্র মোদীকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। অনুষ্ঠানে প্রায় ৬ হাজার অতিথি যোগ দেবেন। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশের অতিথিদের সঙ্গে থাকবেন সনিয়া গাঁধী-রাহুল গাঁন্ধীও, কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব সূত্রে এই খবর নিশ্চিত করেছে বলে খবর প্রকাশ করেছে আনন্দ বাজার পত্রিকা। এবারের অতিথি তালিকায় বিমসটেক দেশগুলো ছাড়াও রয়েছে কিরঘিজিস্তান, ও মরিশাসের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা। এছাড়াও তালিকায় আছেন রাজনৈতিক নেতা, কূটনীতিক, মুখ্যমন্ত্রী, অ্যাকাডেমিক, লেখক, তারকা, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ও চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বরা। তবে গতবারের তালিকা থেকে এবারে থাকছেন না পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা, কিরঘিজিস্তানের প্রেসিডেন্ট সোরোনবে জিনবেকভ, মায়ানমার প্রেসিডেন্ট উ উইন মিন্ট, মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবীন্দ কুমার জুগনাথ, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে সেরিং ও থাইল্যান্ডের কৃষি ও সমবায়মন্ত্রী গ্রিসাদা বুনরাচ শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, বিজেপি প্রেসিডেন্ট অমিত শাহকে আগামী সরকারের গুরুত্ব পদে রাখতে দলের ভেতর থেকেই জোরালো দাবি করা হচ্ছে। কারণ প্রথমবারের মতোই দ্বিতীয় মেয়াদেও নরেন্দ্র মোদিকে ক্ষমতায় ফেরাতে নির্বাচনী প্রচারণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি। ২০১৪ সালের নির্বাচনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা অমিত শাহ ওইবার সরকারে ছিলেন না। তবে এবারে তিনি গুরুত্বপূর্ণ পদে যোগ দিতে পারেন।

মঙ্গলবারের নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে অমিত শাহের বেঠকের পরে দুই নেতার কেউই আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানাননি। তবে নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে ৫ ঘণ্টার ওই বৈঠকে দ্বিতীয় মোদি সরকার গঠন এবং মন্ত্রিসভার সদস্য নির্ধারণসহ পদ-পদবী নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে বিজেপি নেতাদের বিশ্বাস। সূত্রের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ ও তেলেঙ্গানার মতো যেসব রাজ্যে গেরুয়ার (বিজেপির পতাকার রং) উত্থান ঘটেছে সেই সব রাজ্য থেকে মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যাও বাড়তে পারে। আগের মন্ত্রিসভার সিনিয়র সদস্য রাজনাথ সিং, নিতিন গড়কড়ি, নির্মলা সীতারমণ, রবি শঙ্কর প্রসাদ, পিযুষ গয়লা, নরেন্দ্র সিং ঠমার ও প্রকাশ জাভাদেকরও নতুন মন্ত্রিসভায় থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। জোটভুক্ত পার্লামেন্টারি দলের বৈঠকে শিব সেনা, জেডিইউ, এলজেপি, আকালি দল ও এআইএডিএমকে দলকে সম্মানজনক অবস্থানে রাখার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। বিজেপির অভ্যন্তরে গুঞ্জন রয়েছে কংগ্রেসের পারিবারিক আসন বলে পরিচিত আমেথিতে রাহুল গান্ধীকে হারানো স্মৃতি ইরানিকে এবার মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হতে পারে। তবে নতুন সরকারে আগের মেয়াদের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজের অন্তর্ভুক্তি এখনও চূড়ান্ত নয়। আগের সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা এবার স্বাস্থ্যগত কারণে লোকসভা নির্বাচনেই অংশ নেননি। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেয়া মুকুল রায় এবারে মোদির মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেতে পারেন। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির উত্থানে তার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে দলটি।

অন্যদিকে নতুন সরকারের কোন দায়িত্ব নিতে চান না জানিয়ে ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি লিখিত আবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে। অর্থমন্ত্রী তার লিখিত চিঠির একটি অংশ টুইট করেন। সেখানে বলা হয়েছে, আমি আপনার উদ্দেশে লিখিতভাবে, আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানাচ্ছি যে, আমার নিজের প্রতি কিছু দায়িত্ব আছে, আমার চিকিৎসা, আমরা শরীর ও আরও কিছু, যার জন্য আমি বর্তমান সরকারের কোন রকম দায়িত্ব নিতে সক্ষম নই। জেটলি জানিয়েছে, তিনি গত ১৮ মাস ধরে বিভিন্ন রকম শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, লোকসভা নির্বাচনের পরে যখন প্রধানমন্ত্রী মোদি কেদার নাথ মন্দির দর্শনের উদ্দেশ্যে গেছিলেন, তখনি তিনি এই বিষয়ে কথা বলেছিলেন। তিনি মৌখিক জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, এমত অবস্থায় কোন রকম দায়িত্ব নেয়া সম্ভব হবে না তার পক্ষে। ‘আমাকে নিজের শরীর ও চিকিৎসার বিষয়টা দেখতে হবে।’

বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০১৯ , ১৬ জৈষ্ঠ্য ১৪২৫, ২৪ রমজান ১৪৪০

মোদির শপথ আজ

উপস্থিত থাকবেন সোনিয়া ও রাহুল

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

দ্বিতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আজ শপথগ্রহণ করবেন নরেন্দ্র মোদি। শপথ অনুষ্ঠানে অতিথির তালিকায় রয়েছে বিমসটেকসহ কয়েকটি দেশের সরকার প্রধান ছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখা সফল ৬ হাজার ব্যক্তিত্ব। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশের অতিথিদের সঙ্গে থাকবেন সনিয়া গাঁধী-রাহুল গাঁন্ধীও। শপথগ্রহণ এবং সরকার গঠনের বিষয়গুলো সামনে রেখে বৈঠক করেছেন নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি প্রেসিডেন্ট অমিত শাহ। বিজেপি সূত্রের বরাত দিয়ে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, আগামী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে যোগ দিতে পারেন অমিত শাহ। যথারীতি দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনে প্রধান্য পাবেন আগের মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীরা। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার জন্য দায়িত্ব নেবেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। অন্যদিকে মন্ত্রীর সংখ্যা বাড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং তেলেঙ্গানার মতো বিজেপির নতুন উত্থান হওয়া রাজ্যে।

ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে আজ এই শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। নরেন্দ্র মোদীকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। অনুষ্ঠানে প্রায় ৬ হাজার অতিথি যোগ দেবেন। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশের অতিথিদের সঙ্গে থাকবেন সনিয়া গাঁধী-রাহুল গাঁন্ধীও, কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব সূত্রে এই খবর নিশ্চিত করেছে বলে খবর প্রকাশ করেছে আনন্দ বাজার পত্রিকা। এবারের অতিথি তালিকায় বিমসটেক দেশগুলো ছাড়াও রয়েছে কিরঘিজিস্তান, ও মরিশাসের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা। এছাড়াও তালিকায় আছেন রাজনৈতিক নেতা, কূটনীতিক, মুখ্যমন্ত্রী, অ্যাকাডেমিক, লেখক, তারকা, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ও চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বরা। তবে গতবারের তালিকা থেকে এবারে থাকছেন না পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা, কিরঘিজিস্তানের প্রেসিডেন্ট সোরোনবে জিনবেকভ, মায়ানমার প্রেসিডেন্ট উ উইন মিন্ট, মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবীন্দ কুমার জুগনাথ, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে সেরিং ও থাইল্যান্ডের কৃষি ও সমবায়মন্ত্রী গ্রিসাদা বুনরাচ শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, বিজেপি প্রেসিডেন্ট অমিত শাহকে আগামী সরকারের গুরুত্ব পদে রাখতে দলের ভেতর থেকেই জোরালো দাবি করা হচ্ছে। কারণ প্রথমবারের মতোই দ্বিতীয় মেয়াদেও নরেন্দ্র মোদিকে ক্ষমতায় ফেরাতে নির্বাচনী প্রচারণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি। ২০১৪ সালের নির্বাচনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা অমিত শাহ ওইবার সরকারে ছিলেন না। তবে এবারে তিনি গুরুত্বপূর্ণ পদে যোগ দিতে পারেন।

মঙ্গলবারের নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে অমিত শাহের বেঠকের পরে দুই নেতার কেউই আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানাননি। তবে নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে ৫ ঘণ্টার ওই বৈঠকে দ্বিতীয় মোদি সরকার গঠন এবং মন্ত্রিসভার সদস্য নির্ধারণসহ পদ-পদবী নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে বিজেপি নেতাদের বিশ্বাস। সূত্রের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ ও তেলেঙ্গানার মতো যেসব রাজ্যে গেরুয়ার (বিজেপির পতাকার রং) উত্থান ঘটেছে সেই সব রাজ্য থেকে মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যাও বাড়তে পারে। আগের মন্ত্রিসভার সিনিয়র সদস্য রাজনাথ সিং, নিতিন গড়কড়ি, নির্মলা সীতারমণ, রবি শঙ্কর প্রসাদ, পিযুষ গয়লা, নরেন্দ্র সিং ঠমার ও প্রকাশ জাভাদেকরও নতুন মন্ত্রিসভায় থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। জোটভুক্ত পার্লামেন্টারি দলের বৈঠকে শিব সেনা, জেডিইউ, এলজেপি, আকালি দল ও এআইএডিএমকে দলকে সম্মানজনক অবস্থানে রাখার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। বিজেপির অভ্যন্তরে গুঞ্জন রয়েছে কংগ্রেসের পারিবারিক আসন বলে পরিচিত আমেথিতে রাহুল গান্ধীকে হারানো স্মৃতি ইরানিকে এবার মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হতে পারে। তবে নতুন সরকারে আগের মেয়াদের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজের অন্তর্ভুক্তি এখনও চূড়ান্ত নয়। আগের সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা এবার স্বাস্থ্যগত কারণে লোকসভা নির্বাচনেই অংশ নেননি। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেয়া মুকুল রায় এবারে মোদির মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেতে পারেন। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির উত্থানে তার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে দলটি।

অন্যদিকে নতুন সরকারের কোন দায়িত্ব নিতে চান না জানিয়ে ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি লিখিত আবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে। অর্থমন্ত্রী তার লিখিত চিঠির একটি অংশ টুইট করেন। সেখানে বলা হয়েছে, আমি আপনার উদ্দেশে লিখিতভাবে, আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানাচ্ছি যে, আমার নিজের প্রতি কিছু দায়িত্ব আছে, আমার চিকিৎসা, আমরা শরীর ও আরও কিছু, যার জন্য আমি বর্তমান সরকারের কোন রকম দায়িত্ব নিতে সক্ষম নই। জেটলি জানিয়েছে, তিনি গত ১৮ মাস ধরে বিভিন্ন রকম শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, লোকসভা নির্বাচনের পরে যখন প্রধানমন্ত্রী মোদি কেদার নাথ মন্দির দর্শনের উদ্দেশ্যে গেছিলেন, তখনি তিনি এই বিষয়ে কথা বলেছিলেন। তিনি মৌখিক জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, এমত অবস্থায় কোন রকম দায়িত্ব নেয়া সম্ভব হবে না তার পক্ষে। ‘আমাকে নিজের শরীর ও চিকিৎসার বিষয়টা দেখতে হবে।’