চলতি বছরের ২৫ মে পর্যন্ত ২৩৩ শিশু ধর্ষণের শিকার

চলতি বছরের ২৫ মে পর্যন্ত দেশজুড়ে ২৩৩ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এছাড়া এক ছেলে শিশুসহ ৩২ শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে; এরমধ্যে একজনের মৃত্যুও হয়েছে। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের মওলানা মুহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি সংগঠন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংস্থাটির প্রতিবেদনে জানানো হয়, জানুয়ারি থেকে ২৫ মে পর্যন্ত দুটি ছেলে শিশুসহ ৩৫ জন শিশু যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে। এর মধ্যে সাতটি শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। আর ধর্ষণ চেষ্টার পর হত্যা করা হয়েছে এক শিশুকে। দু’জন শিশু ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর আত্মহত্যা করেছে। ২০১৮ সালে সারাদেশে মোট ৩৫৬ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। এরমধ্যে নিহত হয়েছে ২২ জন শিশু এবং ৫৩ জন শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আশক) নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা, এসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সেলিনা হোসেন, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, দেশজুড়ে শিশুদের ধর্ষণের ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। অবস্থা ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। শুধু মেয়ে শিশুরা-ই নয়, ছেলে শিশুর ক্ষেত্রেও ঘটছে এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা। শিশুরা কোন জায়গাতেই নিরাপদ নয়। এমনকি প্রতিবন্ধী শিশু বাচ্চাও ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে।

এ সময় মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও তার সহযোগী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে সরকার এবং বিভিন্ন আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নকারী সংস্থার প্রতি শিশু ধর্ষণ ও যৌন হয়রানি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানানো হয়। শিশুদের যৌন হয়রানি বন্ধে বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয় সংবাদ সম্মেলনে। এগুলো হচ্ছে- যত দ্রুত সম্ভব অপরাধীদের গ্রেফতার ও বিচার সম্পন্ন করা, শিশুর প্রতি ধর্ষণ ও সহিংসতা বন্ধে প্রণীত আইন সমূহ বাস্তবায়নের জন্য এই মুহূর্তেই বাস্তবসম্মত উদ্যোগ গ্রহণ করা, বিভিন্ন পর্ন সাইট ও বিদেশি চ্যানেল যেখানে সহিংসতার ঘটনা দেখায় তা বন্ধ করা, তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সচেতনতামূলক ডকুমেন্টারি গ্রাম পর্যায়ে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা, বিআরটিএ-এর মাধ্যমে গাড়ি চালকদের ধর্ষণ ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধমূলক বার্তা প্রদানের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০১৯ , ১৬ জৈষ্ঠ্য ১৪২৫, ২৪ রমজান ১৪৪০

চলতি বছরের ২৫ মে পর্যন্ত ২৩৩ শিশু ধর্ষণের শিকার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

চলতি বছরের ২৫ মে পর্যন্ত দেশজুড়ে ২৩৩ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এছাড়া এক ছেলে শিশুসহ ৩২ শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে; এরমধ্যে একজনের মৃত্যুও হয়েছে। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের মওলানা মুহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি সংগঠন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংস্থাটির প্রতিবেদনে জানানো হয়, জানুয়ারি থেকে ২৫ মে পর্যন্ত দুটি ছেলে শিশুসহ ৩৫ জন শিশু যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে। এর মধ্যে সাতটি শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। আর ধর্ষণ চেষ্টার পর হত্যা করা হয়েছে এক শিশুকে। দু’জন শিশু ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর আত্মহত্যা করেছে। ২০১৮ সালে সারাদেশে মোট ৩৫৬ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। এরমধ্যে নিহত হয়েছে ২২ জন শিশু এবং ৫৩ জন শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আশক) নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা, এসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সেলিনা হোসেন, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, দেশজুড়ে শিশুদের ধর্ষণের ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। অবস্থা ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। শুধু মেয়ে শিশুরা-ই নয়, ছেলে শিশুর ক্ষেত্রেও ঘটছে এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা। শিশুরা কোন জায়গাতেই নিরাপদ নয়। এমনকি প্রতিবন্ধী শিশু বাচ্চাও ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে।

এ সময় মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও তার সহযোগী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে সরকার এবং বিভিন্ন আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নকারী সংস্থার প্রতি শিশু ধর্ষণ ও যৌন হয়রানি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানানো হয়। শিশুদের যৌন হয়রানি বন্ধে বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয় সংবাদ সম্মেলনে। এগুলো হচ্ছে- যত দ্রুত সম্ভব অপরাধীদের গ্রেফতার ও বিচার সম্পন্ন করা, শিশুর প্রতি ধর্ষণ ও সহিংসতা বন্ধে প্রণীত আইন সমূহ বাস্তবায়নের জন্য এই মুহূর্তেই বাস্তবসম্মত উদ্যোগ গ্রহণ করা, বিভিন্ন পর্ন সাইট ও বিদেশি চ্যানেল যেখানে সহিংসতার ঘটনা দেখায় তা বন্ধ করা, তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সচেতনতামূলক ডকুমেন্টারি গ্রাম পর্যায়ে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা, বিআরটিএ-এর মাধ্যমে গাড়ি চালকদের ধর্ষণ ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধমূলক বার্তা প্রদানের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা।