দুধের ১০টি নমুনার সবগুলোতেই মিলল এন্টিবায়োটিক

দ্বিতীয় দফার পরীক্ষায় পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধের ১০টি নমুনার সবগুলোতেই মানবদেহের চিকিৎসায় ব্যবহৃত এন্টিবায়োটিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বায়োমেডিকেল রিসার্চ সেন্টারের সদ্য-সাবেক পরিচালক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক।

তিনি জানান, আগের পরীক্ষায় পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধের ১০টি নমুনার তিনটিতে এন্টিবায়োটিক পাওয়া যায়, যা গত ২৫ জুন ঢাবির ফার্মেসি অনুষদে সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হয়। তবে, এবার চার ধরনের এন্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে। সেগুলো হলো- অক্সিটেট্রাসাইক্লিন, এনরোফ্লক্সাসিন, সিপ্রোফ্লক্সাসিন এবং লেভোফ্লক্সাসিন। এর মধ্যে আগেরবার ছিল না এমন দুটি এন্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে। সেগুলো হলো- অক্সিটেট্রাসাইক্লিন ও এনরোফ্লক্সাসিন। ১০টি নমুনার মধ্যে তিনটিতে এন্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে ৪টি, ছয়টিতে এন্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে ৩টি এবং একটিতে এন্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে ২টি। অধ্যাপক আ ব ম ফারুক জানান, পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধে এন্টিবায়োটিক ও ডিটারজেন্টের উপস্থিতি আছে কিনা তা মাঝেমাঝেই পরীক্ষা করা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় গত সপ্তাহে এ পরীক্ষাটি আবারও করা হয়। প্রথমবারের মতো এবারও পাঁচটি কোম্পানির ৭টি পাস্তুরিত প্যাকেটজাত দুধের নমুনা এবং খোলা দুধের তিনটি নমুনা একই জায়গা থেকে সংগ্রহ করা হয়। সবগুলো নমুনা উন্নত ল্যাবে একই নিয়মে পরীক্ষা করা হলে তাতে এন্টিবায়োটিকের উপস্থিতি পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক আ ব ম ফারুক, দুধ ও অন্যান্য খাদ্যপণ্য পরীক্ষার রিপোর্ট পেশকালে পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধে মানবদেহের চিকিৎসায় ব্যবহৃত এন্টিবায়োটিকের উপস্থিতি শনাক্তের প্রেক্ষিতে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় জরুরি প্রয়োজনে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই), বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এবং জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান (আইপিএইচ) ইত্যাদি ল্যাবরেটরিগুলোতে নিয়মিতভাবেই দুধে এন্টিবায়োটিক আছে কিনা তা পরীক্ষা করার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। বিএসটিআইয়ের দেড় যুগের পুরনো দুধের স্ট্যান্ডার্ডে (Bangladesh Standard, BDS 1702. 2002) বর্তমানের নয়টি পরীক্ষার সঙ্গে কমপক্ষে এন্টিবায়োটিক ও ডিটারজেন্টের উপস্থিতি পরীক্ষার মতো দু’টি পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত করে দুধের এই স্ট্যান্ডার্ডকে যুগোপযোগী করার জন্যও আহ্বান জানিয়েছিলাম।

রবিবার, ১৪ জুলাই ২০১৯ , ৩০ আষাঢ় ১৪২৫, ১০ জিলকদ ১৪৪০

দ্বিতীয় দফা পরীক্ষায়ও

দুধের ১০টি নমুনার সবগুলোতেই মিলল এন্টিবায়োটিক

প্রতিনিধি, ঢাবি

দ্বিতীয় দফার পরীক্ষায় পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধের ১০টি নমুনার সবগুলোতেই মানবদেহের চিকিৎসায় ব্যবহৃত এন্টিবায়োটিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বায়োমেডিকেল রিসার্চ সেন্টারের সদ্য-সাবেক পরিচালক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক।

তিনি জানান, আগের পরীক্ষায় পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধের ১০টি নমুনার তিনটিতে এন্টিবায়োটিক পাওয়া যায়, যা গত ২৫ জুন ঢাবির ফার্মেসি অনুষদে সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হয়। তবে, এবার চার ধরনের এন্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে। সেগুলো হলো- অক্সিটেট্রাসাইক্লিন, এনরোফ্লক্সাসিন, সিপ্রোফ্লক্সাসিন এবং লেভোফ্লক্সাসিন। এর মধ্যে আগেরবার ছিল না এমন দুটি এন্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে। সেগুলো হলো- অক্সিটেট্রাসাইক্লিন ও এনরোফ্লক্সাসিন। ১০টি নমুনার মধ্যে তিনটিতে এন্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে ৪টি, ছয়টিতে এন্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে ৩টি এবং একটিতে এন্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে ২টি। অধ্যাপক আ ব ম ফারুক জানান, পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধে এন্টিবায়োটিক ও ডিটারজেন্টের উপস্থিতি আছে কিনা তা মাঝেমাঝেই পরীক্ষা করা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় গত সপ্তাহে এ পরীক্ষাটি আবারও করা হয়। প্রথমবারের মতো এবারও পাঁচটি কোম্পানির ৭টি পাস্তুরিত প্যাকেটজাত দুধের নমুনা এবং খোলা দুধের তিনটি নমুনা একই জায়গা থেকে সংগ্রহ করা হয়। সবগুলো নমুনা উন্নত ল্যাবে একই নিয়মে পরীক্ষা করা হলে তাতে এন্টিবায়োটিকের উপস্থিতি পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক আ ব ম ফারুক, দুধ ও অন্যান্য খাদ্যপণ্য পরীক্ষার রিপোর্ট পেশকালে পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধে মানবদেহের চিকিৎসায় ব্যবহৃত এন্টিবায়োটিকের উপস্থিতি শনাক্তের প্রেক্ষিতে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় জরুরি প্রয়োজনে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই), বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এবং জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান (আইপিএইচ) ইত্যাদি ল্যাবরেটরিগুলোতে নিয়মিতভাবেই দুধে এন্টিবায়োটিক আছে কিনা তা পরীক্ষা করার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। বিএসটিআইয়ের দেড় যুগের পুরনো দুধের স্ট্যান্ডার্ডে (Bangladesh Standard, BDS 1702. 2002) বর্তমানের নয়টি পরীক্ষার সঙ্গে কমপক্ষে এন্টিবায়োটিক ও ডিটারজেন্টের উপস্থিতি পরীক্ষার মতো দু’টি পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত করে দুধের এই স্ট্যান্ডার্ডকে যুগোপযোগী করার জন্যও আহ্বান জানিয়েছিলাম।