প্রবীণ ক্রীড়া সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা, দৈনিক সংবাদের ক্রীড়া সম্পাদক অজয় বড়ুয়ার মরদেহ লন্ডন থেকে আজ (রোববার) বাংলাদেশে পৌঁছবে। অজয় বড়ুয়ার একমাত্র ছেলে হীমাদ্রি বড়ুয়া ও অজয় বড়ুয়ার স্ত্রী রুবি বড়ুয়া শনিবার লন্ডন সময় ৬টা ২০ মিনিটে মরদেহ নিয়ে বাংলাদেশ বিমানে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বলে অজয় বড়ুয়ার ছেলে হীমাদ্রি বড়ুয়া জানিয়েছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে রোববার বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টা ২০ মিনিটে অজয় বড়ুয়ার মরদেহ বহনকারী বিমান ঢাকায় পৌঁছবে।

অজয় বড়ুয়ার মরদেহ বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল পুরানা পল্টনে দৈনিক সংবাদ কার্যালয়ে আনা হবে। দুপুর সোয়া একটা থেকে দুইটা পর্যন্ত দৈনিক সংবাদের বর্তমান ও সাবেক কর্মীরা অজয় বড়ুয়াকে শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন। এরপর তার মরদেহ জাতীয় প্রেসক্লাবে নিয়ে যাওয়া হবে। সাংবাদিক সমাজের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তার মরদেহ বেলা সোয়া ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত প্রেসক্লাবে রাখা হবে। সেখান থেকে অজয় বড়ুয়ার মরদেহ নেয়া হবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। তার কর্ম জীবনের বেশি সময় কেটেছে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। সেই স্টেডিয়াম থেকেই হবে তার শেষ যাত্রা। স্টেডিয়ামে ক্রীড়াঙ্গনের সর্বস্তরের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পর পৌনে চারটায় বাসাবো ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হবে মরদেহ। সেখানেই তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

দৈনিক সংবাদের ক্রীড়া সম্পাদক, মুক্তিযোদ্ধা অজয় বড়ুয়া দৈনিক সংবাদের হয়ে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সংবাদ সংগ্রহ করতে গত ৩১ মে সস্ত্রীক লন্ডন যান। বাংলাদেশের প্রথম তিনটি ম্যাচ কাভারও করেন। এরপর হঠাৎ তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। কয়েকদিন জ্বরে ভোগার পর ২৩ জুন তাকে লন্ডনের কিং জর্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে নিমোনিয়া, হৃদরোগ ও অন্যান্য জটিলতা দেখা দেয়ায় তাকে সেন্ট বার্র্টস হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই ১২ জুলাই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি স্ত্রী, এক পুত্র, পুত্রবধূ, দুই কন্যা, দুই জামাতা, নাতি-নাতনীসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।