রিফাত হত্যা

মিন্নির জামিন নামঞ্জুর

বরগুনার আলোচিত রিফাত হত্যা মামলায় ১নম্বর সাক্ষী ও মামলার আসামি আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল বরগুনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে আসামি আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির পক্ষে জামিন আবেদন করেন মিন্নির নিয়োজিত আইনজীবীরা।

সকাল থেকেই আদালত প্রাঙ্গণে আদালতের কর্মী, আইনজীবী, সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা ভীড় করতে থাকে। আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তাকর্মীর সংখ্যাও বাড়ানো হয়। এ সময় রাস্তায় শত শত লোক দাঁড়িয়ে থাকে। বেলা ১১টার দিকে বিচারক আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন। প্রায় ১ ঘণ্টা পর মিন্নির পক্ষে আদালতে জামিন প্রার্থনা উপস্থাপন করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক। তাকে সহযোগিতা করেন ঢাকা থেকে আগত আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ৪ জন, ব্লাস্ট’এর ৭ জন এবং বরগুনা আইনজীবী সমিতির দু’জন সদস্যসহ আরও ১০ জন স্থানীয় আইনজীবী। তারা মামলায় ১নম্বর সাক্ষী কাম আসামি হওয়া আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির পক্ষে আদালতে জামিন শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে প্রায় ৪০ জন আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করে শুনানিতে অংশ নেয়।

এর আগে বেলা ১১টায় বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে মামলার আসামি আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির অনুপস্থিতিতে তার পক্ষে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী আসলাম ওকালাতনামা সহকারে জামিন আবেদন করেন। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা শুনানিকালে আদালতকে বলেন, আসামি মিন্নি ঘটনায় সম্পূর্ণ নির্দোষ। মামলার মূল এজাহারে আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি একজন গুরুত্বপূর্ণ প্রতক্ষদর্শী সাক্ষী। মামলায় প্রকৃত আসামিদের বাঁচানোর জন্য পরিকল্পিতভাবে আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে এই মামলায় আসামি করা হয়েছে। মামলার গুরুত্বপূর্ণ ভাইরাল হয়ে যাওয়া ভিডিও পর্যালোচনায় আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি নির্দোষ বলে প্রমাণিত হয়।

অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সঞ্জীব দাস, অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজসহ প্রায় ৪০ জন আইনজীবী জামিনের বিরোধীতা করে আদালতে যুক্তি উপস্থাপন করে বলেন, আলোচিত এই হত্যাকান্ডে ইতোমধ্যে আসামি মিন্নিসহ ১৪ জন আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন আছে। স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিতে আসামীরা কি বলেছে তা রাষ্ট্রপক্ষ জ্ঞাত নয়। তদন্তাধীন অবস্থায় আসামি জামিন পেলে মামলায় ব্যাপক প্রভাব সৃষ্টির আশঙ্কা আছে এবং তদন্ত বিঘ্নিত হবে। তাই এপর্যায়ে রাষ্ট্রপক্ষ জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেন। আদালত প্রায় পৌনে একঘণ্টা শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

আবেদনের বিবরণ

জি আর মামলা নং ২১৪/১৯(বর)ধারা ৩০২/৩৪ দ:বি। বিষয় নিম্নোক্ত হাজতি আসামি দরখাস্তকারীর পক্ষে জামিনের প্রার্থনা। ০১। আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯) পিতা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর মাতা, জিনাত জাহান মনি সাং নয়াকাটা পুলিশ লাইন মাইঠা, ০২ নং ওয়ার্ড, বরগুনা পৌরসভা, থানা ও জেলা বরগুনা। হাজতি আসামি দরখাস্তকারী।

জামিন আবেদনে জানান হয়, যেহেতু হাজতি আসামি সম্পূর্ণ নির্দোষ, প্রোক্ত ধারায় কোন অপরাধ করেনি বা করার কোন কারণ নাই। অযথা হয়রানি করার মানষে সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ আনয়ন করিয়াছে। তদকারণে হাজতি আসামি মুক্তি পাইতে পারে। যে আকারে প্রকারে অভিযোগ আনয়ন করা হয়েছে সে অভিযোগে আবেদনকারী জড়িত নহে। যেহেতু হাজতি আসামি বর্তমানে অসুস্থ ও মানসিক রোগে ভুগিতেছে, তাহার নাম ১নং সাক্ষীর কলমে রয়েছে। সে কারণে হাজতি আসামি জামিনে মুক্তি পাইতে পারে। হাজতি আসামি জামীন পাইলে কোন শর্থ ভঙ্গ করিবে না, পলাতক হইবে না,উপযুক্ত জামিনদার নিযুক্ত করিবেন।

অন্যদিকে রোববার বেলা ১২টার দিকে বরগুনা প্রেসক্লাব চত্বরে মানববন্ধন করে নিহত রিফাত শরীফের পরিবার। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন হত্যাকান্ডের শিকার রিফাত শরীফের দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ মা ডেইজী আক্তার, পিতা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ, বুড়িরচর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আ. আজিজ শরীফ ও সড়িষামুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা ইমাম হোসেন শিপন। মানববন্ধন শেষে বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন নিহতের পিতা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ।

রিফাতের বাবার সংবাদ সম্মেলন

রোববার বরগুনার সি. জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মিন্নির জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যাবার পর নিহত রিফাত শরিফের বাবা আ. হালিম দুলাল শরীফ বরগুনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে তার ছেলের স্ত্রী মিন্নির ও তার বাবা মোজাম্মেল হক কিশোরের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে সকল মহলকে বিভ্রান্তিমূলক ও মনগড়া বক্তব্য না দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে দুলাল শরীফ বলেন, ঘটনার পর থেকে মামলার কাজ সুচারুরূপে অগ্রসর হলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত এজাহার নামীয় ৪ জন আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপি মহোদয়ের কাছে প্রার্থনা করেন যাতে অনতি বিলম্বে বাকি আসামি গ্রেফতার এবং ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করা হয়। নাহলে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হবার হুমকি দেন। তিনি বলেন, গডফাদারদের চাপে পড়ে সংবাদ সম্মেলন করলেও তাদের তিনি ভয় পান না। একই সঙ্গে যারা এই মামলাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া এবং সংবাদমাধ্যমকে ব্যাবহার করছে তাদের নিন্দা জানান। যেহেতু গত ১৫, ১০, ২০১৮ তারিখ নয়ন বন্ডের সঙ্গে মিন্নির বিবাহটি তার বাবা মোজাম্মেল হক কিশোর জেনেশুনে পরিকল্পিতভাবে দিয়েছে এ কারণেই মূলত রিফাত হত্যাকান্ড সাধিত হয়েছে। সেহেতু মিন্নির বাবা ও মাকেও দ্রুত বিচার আইনে আনা প্রয়োজন।

সোমবার, ২২ জুলাই ২০১৯ , ৭ শ্রাবন ১৪২৫, ১৮ জিলকদ ১৪৪০

রিফাত হত্যা

মিন্নির জামিন নামঞ্জুর

চিত্তরঞ্জন শীল, বরগুনা

image

বরগুনার আলোচিত রিফাত হত্যা মামলায় ১নম্বর সাক্ষী ও মামলার আসামি আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল বরগুনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে আসামি আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির পক্ষে জামিন আবেদন করেন মিন্নির নিয়োজিত আইনজীবীরা।

সকাল থেকেই আদালত প্রাঙ্গণে আদালতের কর্মী, আইনজীবী, সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা ভীড় করতে থাকে। আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তাকর্মীর সংখ্যাও বাড়ানো হয়। এ সময় রাস্তায় শত শত লোক দাঁড়িয়ে থাকে। বেলা ১১টার দিকে বিচারক আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন। প্রায় ১ ঘণ্টা পর মিন্নির পক্ষে আদালতে জামিন প্রার্থনা উপস্থাপন করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক। তাকে সহযোগিতা করেন ঢাকা থেকে আগত আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ৪ জন, ব্লাস্ট’এর ৭ জন এবং বরগুনা আইনজীবী সমিতির দু’জন সদস্যসহ আরও ১০ জন স্থানীয় আইনজীবী। তারা মামলায় ১নম্বর সাক্ষী কাম আসামি হওয়া আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির পক্ষে আদালতে জামিন শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে প্রায় ৪০ জন আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করে শুনানিতে অংশ নেয়।

এর আগে বেলা ১১টায় বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে মামলার আসামি আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির অনুপস্থিতিতে তার পক্ষে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী আসলাম ওকালাতনামা সহকারে জামিন আবেদন করেন। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা শুনানিকালে আদালতকে বলেন, আসামি মিন্নি ঘটনায় সম্পূর্ণ নির্দোষ। মামলার মূল এজাহারে আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি একজন গুরুত্বপূর্ণ প্রতক্ষদর্শী সাক্ষী। মামলায় প্রকৃত আসামিদের বাঁচানোর জন্য পরিকল্পিতভাবে আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে এই মামলায় আসামি করা হয়েছে। মামলার গুরুত্বপূর্ণ ভাইরাল হয়ে যাওয়া ভিডিও পর্যালোচনায় আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি নির্দোষ বলে প্রমাণিত হয়।

অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সঞ্জীব দাস, অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজসহ প্রায় ৪০ জন আইনজীবী জামিনের বিরোধীতা করে আদালতে যুক্তি উপস্থাপন করে বলেন, আলোচিত এই হত্যাকান্ডে ইতোমধ্যে আসামি মিন্নিসহ ১৪ জন আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন আছে। স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিতে আসামীরা কি বলেছে তা রাষ্ট্রপক্ষ জ্ঞাত নয়। তদন্তাধীন অবস্থায় আসামি জামিন পেলে মামলায় ব্যাপক প্রভাব সৃষ্টির আশঙ্কা আছে এবং তদন্ত বিঘ্নিত হবে। তাই এপর্যায়ে রাষ্ট্রপক্ষ জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেন। আদালত প্রায় পৌনে একঘণ্টা শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

আবেদনের বিবরণ

জি আর মামলা নং ২১৪/১৯(বর)ধারা ৩০২/৩৪ দ:বি। বিষয় নিম্নোক্ত হাজতি আসামি দরখাস্তকারীর পক্ষে জামিনের প্রার্থনা। ০১। আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯) পিতা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর মাতা, জিনাত জাহান মনি সাং নয়াকাটা পুলিশ লাইন মাইঠা, ০২ নং ওয়ার্ড, বরগুনা পৌরসভা, থানা ও জেলা বরগুনা। হাজতি আসামি দরখাস্তকারী।

জামিন আবেদনে জানান হয়, যেহেতু হাজতি আসামি সম্পূর্ণ নির্দোষ, প্রোক্ত ধারায় কোন অপরাধ করেনি বা করার কোন কারণ নাই। অযথা হয়রানি করার মানষে সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ আনয়ন করিয়াছে। তদকারণে হাজতি আসামি মুক্তি পাইতে পারে। যে আকারে প্রকারে অভিযোগ আনয়ন করা হয়েছে সে অভিযোগে আবেদনকারী জড়িত নহে। যেহেতু হাজতি আসামি বর্তমানে অসুস্থ ও মানসিক রোগে ভুগিতেছে, তাহার নাম ১নং সাক্ষীর কলমে রয়েছে। সে কারণে হাজতি আসামি জামিনে মুক্তি পাইতে পারে। হাজতি আসামি জামীন পাইলে কোন শর্থ ভঙ্গ করিবে না, পলাতক হইবে না,উপযুক্ত জামিনদার নিযুক্ত করিবেন।

অন্যদিকে রোববার বেলা ১২টার দিকে বরগুনা প্রেসক্লাব চত্বরে মানববন্ধন করে নিহত রিফাত শরীফের পরিবার। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন হত্যাকান্ডের শিকার রিফাত শরীফের দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ মা ডেইজী আক্তার, পিতা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ, বুড়িরচর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আ. আজিজ শরীফ ও সড়িষামুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা ইমাম হোসেন শিপন। মানববন্ধন শেষে বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন নিহতের পিতা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ।

রিফাতের বাবার সংবাদ সম্মেলন

রোববার বরগুনার সি. জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মিন্নির জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যাবার পর নিহত রিফাত শরিফের বাবা আ. হালিম দুলাল শরীফ বরগুনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে তার ছেলের স্ত্রী মিন্নির ও তার বাবা মোজাম্মেল হক কিশোরের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে সকল মহলকে বিভ্রান্তিমূলক ও মনগড়া বক্তব্য না দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে দুলাল শরীফ বলেন, ঘটনার পর থেকে মামলার কাজ সুচারুরূপে অগ্রসর হলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত এজাহার নামীয় ৪ জন আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপি মহোদয়ের কাছে প্রার্থনা করেন যাতে অনতি বিলম্বে বাকি আসামি গ্রেফতার এবং ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করা হয়। নাহলে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হবার হুমকি দেন। তিনি বলেন, গডফাদারদের চাপে পড়ে সংবাদ সম্মেলন করলেও তাদের তিনি ভয় পান না। একই সঙ্গে যারা এই মামলাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া এবং সংবাদমাধ্যমকে ব্যাবহার করছে তাদের নিন্দা জানান। যেহেতু গত ১৫, ১০, ২০১৮ তারিখ নয়ন বন্ডের সঙ্গে মিন্নির বিবাহটি তার বাবা মোজাম্মেল হক কিশোর জেনেশুনে পরিকল্পিতভাবে দিয়েছে এ কারণেই মূলত রিফাত হত্যাকান্ড সাধিত হয়েছে। সেহেতু মিন্নির বাবা ও মাকেও দ্রুত বিচার আইনে আনা প্রয়োজন।