অটোরিকশা থেকে লাফিয়ে পড়ে নিজেকে বাঁচাল স্কুলছাত্রী

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বাড়ি ফেরার পথে এক স্কুলছাত্রীকে জোর করে অটোরিকশায় তুলে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। সে অটোরিকশা থেকে লাফিয়ে অপহরণকারীদের কবল থেকে রক্ষা পায়। সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তোলার পর ওই স্কুলছাত্রীকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। রোববার পুলিশ অভিযোগ পেয়ে অপহরণকারী চক্রকে গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছে।

পুলিশ ও স্কুলছাত্রীর পরিবার জানায়, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ধুনট মাঠপাড়া বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ওই ছাত্রী স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। তার বাড়ি একই উপজেলার মাটিকোড়া গ্রামে। স্কুলের সামনে থেকে একটি বাসে উঠে স্থানীয় হুকুম আলী বাসস্ট্যান্ডে নামার পর একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা তার সামনে এসে দাঁড়ায়। এ সময় দুই যুবক তাকে অটোরিকশায় তোলার জন্য ধাক্কা দেয় এবং অটোরিকশার ভেতরে থাকা এক নারী হাত ধরে টেনে ভেতরে নেয়। এরপর রাসায়নিক মিশ্রিত কাপড় তার মুখে চেপে ধরে তাকে অজ্ঞান করা হয়। অপহরণকারীরা তাকে অটোরিকশায় নিয়ে শেরপুর উপজেলার ধুনট মোড় এলাকায় এলে তার জ্ঞান ফিরে আসে। তখন সে কৌশলের আশ্রয় নেয় এবং অটোরিকশার গতি শ্লথ হলে লাফিয়ে পড়ে দৌড় শুরু করে। দৌড়ানের সময় অপরণকারী চক্রের দুই যুবক ও অটোরিকশায় থাকা নারী তার পিছু নেয়। পরে সে শেরপুর উপজেলার খন্দকারটোলা এলাকার এক বাড়িতে গিয়ে ঘটনা খুলে বললে ওই বাড়ির নারী তাকে আশ্রয় দিয়ে পুলিশকে খবর দেন।

জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরের মাধ্যমে খবর পেয়ে শেরপুর থানার পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর পরিবারের লোকজন ওই ছাত্রীকে নিয়ে যায়।

ওই ছাত্রীর বাবা সগির হোসেন রিটু জানান, তিনি ঢাকায় একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। খবর পেয়ে রাতেই বগুড়া আসনে। সকালে স্কুল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, অটোরিকশায় তোলার পর তার মেয়ের মুখে হয়তো ক্লোরফর্মযুক্ত কাপড় চেপে অজ্ঞান করা হয়েছিল।

একাধিক সূত্র জানায়, সম্প্রতি বগুড়ায় ক্লোরফর্ম ব্যবহার করে অপহরণ করার ঘটনা ঘটেনি।

এ ব্যাপারে শেরপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজীউর রহমান জানান, ঘটনাটি জানার পর বিষয়টি তারা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন।

সোমবার, ২২ জুলাই ২০১৯ , ৭ শ্রাবন ১৪২৫, ১৮ জিলকদ ১৪৪০

অপহরণের পর

অটোরিকশা থেকে লাফিয়ে পড়ে নিজেকে বাঁচাল স্কুলছাত্রী

প্রতিনিধি, বগুড়া

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বাড়ি ফেরার পথে এক স্কুলছাত্রীকে জোর করে অটোরিকশায় তুলে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। সে অটোরিকশা থেকে লাফিয়ে অপহরণকারীদের কবল থেকে রক্ষা পায়। সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তোলার পর ওই স্কুলছাত্রীকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। রোববার পুলিশ অভিযোগ পেয়ে অপহরণকারী চক্রকে গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছে।

পুলিশ ও স্কুলছাত্রীর পরিবার জানায়, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ধুনট মাঠপাড়া বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ওই ছাত্রী স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। তার বাড়ি একই উপজেলার মাটিকোড়া গ্রামে। স্কুলের সামনে থেকে একটি বাসে উঠে স্থানীয় হুকুম আলী বাসস্ট্যান্ডে নামার পর একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা তার সামনে এসে দাঁড়ায়। এ সময় দুই যুবক তাকে অটোরিকশায় তোলার জন্য ধাক্কা দেয় এবং অটোরিকশার ভেতরে থাকা এক নারী হাত ধরে টেনে ভেতরে নেয়। এরপর রাসায়নিক মিশ্রিত কাপড় তার মুখে চেপে ধরে তাকে অজ্ঞান করা হয়। অপহরণকারীরা তাকে অটোরিকশায় নিয়ে শেরপুর উপজেলার ধুনট মোড় এলাকায় এলে তার জ্ঞান ফিরে আসে। তখন সে কৌশলের আশ্রয় নেয় এবং অটোরিকশার গতি শ্লথ হলে লাফিয়ে পড়ে দৌড় শুরু করে। দৌড়ানের সময় অপরণকারী চক্রের দুই যুবক ও অটোরিকশায় থাকা নারী তার পিছু নেয়। পরে সে শেরপুর উপজেলার খন্দকারটোলা এলাকার এক বাড়িতে গিয়ে ঘটনা খুলে বললে ওই বাড়ির নারী তাকে আশ্রয় দিয়ে পুলিশকে খবর দেন।

জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরের মাধ্যমে খবর পেয়ে শেরপুর থানার পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর পরিবারের লোকজন ওই ছাত্রীকে নিয়ে যায়।

ওই ছাত্রীর বাবা সগির হোসেন রিটু জানান, তিনি ঢাকায় একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। খবর পেয়ে রাতেই বগুড়া আসনে। সকালে স্কুল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, অটোরিকশায় তোলার পর তার মেয়ের মুখে হয়তো ক্লোরফর্মযুক্ত কাপড় চেপে অজ্ঞান করা হয়েছিল।

একাধিক সূত্র জানায়, সম্প্রতি বগুড়ায় ক্লোরফর্ম ব্যবহার করে অপহরণ করার ঘটনা ঘটেনি।

এ ব্যাপারে শেরপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজীউর রহমান জানান, ঘটনাটি জানার পর বিষয়টি তারা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন।