স্কয়ারসহ তিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তলব

পপুলারকে জরিমানা

ডেঙ্গু টেস্টের জন্য সর্বোচ্চ ফি ৫০০ টাকা নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। তা মানছে না বেসরকারি পপুলার হাসপাতাল। ৫০০ টাকা না নিয়ে তারা ১২০০ টাকা নিচ্ছে। এ জন্য পপুলারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। একই সঙ্গে ডেঙ্গু টেস্টে অতিরিক্ত ফি আদায় ও ওষুধের দাম বেশি নেয়ার অভিযোগে ল্যাবএইড, ইবনে সিনা ও স্কয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তলব করেছে অধিদফতর। রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় গতকাল বিভিন্ন হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়। অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী পরিচালক আফরোজা রহমান ও আবদুল জব্বার মন্ডল।

সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মন্ডল জানান, স্বাস্থ্য অধিদফতর ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন টেস্টের ফি নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু রাজধানীর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল রোগীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফির চেয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে। আজ ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে ৫০০ টাকায় ডেঙ্গু টেস্ট নেয় ১ হাজার ২০০ টাকা। অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগে তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

একই টেস্ট ল্যাবএইড হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ টাকা। ইবনে সিনাও বেশি ফি নিচ্ছে। অন্যদিকে স্কয়ার হাসপাতালে ডেঙ্গুর চিকিৎসার ওষুধের দাম বেশি নিচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অধিদফতরে ডাকা হয়েছে। কাল এ বিষয়ে শুনানি শেষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এর আগে গত রোববার স্বাস্থ্য অধিদফতর ডেঙ্গুর চিকিৎসার ফি নির্ধারণ করে দেয়। সরকার নির্ধারিত ফি অনুযায়ী, এখন থেকে ডেঙ্গু টেস্টের ফি ৫০০ টাকার বেশি নেয়া যাবে না। যার পূর্বমূল্য ছিল ১ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার টাকা। IgM + IgE অথবা IgM/IgE- ৫০০ টাকা (সর্বোচ্চ), যার পূর্বমূল্য ছিল ৮০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা। CBC (RBC + WBC + Platelet + Hematocrit)- ৪০০ টাকা (সর্বোচ্চ), যার পূর্ব মূল্য ছিল ১ হাজার টাকা। গত রোববার থেকে কার্যকর হওয়া এ মূল তালিকা পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর।

ক্রিসেন্টকে জরিমানা: এদিকে ডেঙ্গু রোগীর কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহের পর কোন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই রিপোর্ট দেয়াসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে রাজধানীর উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালকে ১৭ লাখ টাকা জরিমানা করেছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বিকেলে এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। পরে সারওয়ার আলম বলেন, এখানে কেঁচো খুঁড়তে এসে সাপ বেরিয়েছে। ডেঙ্গুর পরীক্ষায় সরকার নির্ধারিত ফি ৫০০ টাকার বেশি নেয়া হচ্ছে কি না সেটি তদারকি করতে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে আসি আমরা। এখানে ডেঙ্গুর ফি সঠিক নিয়মে নেয়া হলেও হাসপাতালের ল্যাবে গিয়ে মেলে ভয়াবহ চিত্র।

এখানে দেখা যায়, বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য রোগীদের কাছ থেকে সংগৃহীত নমুনা কোন ধরনের পরীক্ষা না করেই তৈরি করা হয়েছে অসংখ্য রিপোর্ট। আবার কোন পরীক্ষার জন্য ৭২ কিংবা ৪৮ ঘণ্টা সময় লাগলেও নমুনা সংগ্রহের ১২ ঘণ্টা পরেই তৈরি করা রিপোর্ট রোগীদের সরবরাহ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ রিএজেন্ট ব্যবহার, অনুমোদনহীন ওষুধ রাখাসহ বিভিন্ন অনিয়ম পাওয়া যায় অভিযানে।

আরও খবর
ভেঙে পড়ছে হাসপাতালের সেবা ব্যবস্থাপনা
সমন্বিত প্রচেষ্টায় ডেঙ্গু ও বন্যার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা হবে : কাদের
মায়ানমারকে ২৫ হাজার রোহিঙ্গার নতুন তালিকা দিল বাংলাদেশ
‘ভুল মশার ওপর পরীক্ষায় ওষুধ কার্যকর হচ্ছে না’
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রথম অধিনায়ক শামিম কবির আর নেই
বিভিন্ন সংগঠনের শোক
মিল্কভিটা দুধ বিপণনে বাধা নেই
পানির দরে দুধ খামারিরা বিপাকে
বাংলাদেশে সবচেয়ে কম মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত
ডেঙ্গুর ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিতে পদক্ষেপ
২৪ ঘণ্টায় আরও ১০৯৬ জন আক্রান্ত মৃত্যু ৩ মৃত্যু ৩
বিদেশি গুঁড়োদুধ যেন বাজার দখল করতে না পারে
আসেনি শৃঙ্খলা কমেনি দুর্ঘটনা
দুই আসামির যাবজ্জীবন
ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু
মামলা হয়নি হেলমেটধারী হামলাকারীদের বিরুদ্ধে

মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০১৯ , ১৫ শ্রাবন ১৪২৫, ২৬ জিলকদ ১৪৪০

ডেঙ্গু টেস্টে অতিরিক্ত ফি

স্কয়ারসহ তিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তলব

পপুলারকে জরিমানা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

ডেঙ্গু টেস্টের জন্য সর্বোচ্চ ফি ৫০০ টাকা নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। তা মানছে না বেসরকারি পপুলার হাসপাতাল। ৫০০ টাকা না নিয়ে তারা ১২০০ টাকা নিচ্ছে। এ জন্য পপুলারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। একই সঙ্গে ডেঙ্গু টেস্টে অতিরিক্ত ফি আদায় ও ওষুধের দাম বেশি নেয়ার অভিযোগে ল্যাবএইড, ইবনে সিনা ও স্কয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তলব করেছে অধিদফতর। রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় গতকাল বিভিন্ন হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়। অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী পরিচালক আফরোজা রহমান ও আবদুল জব্বার মন্ডল।

সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মন্ডল জানান, স্বাস্থ্য অধিদফতর ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন টেস্টের ফি নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু রাজধানীর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল রোগীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফির চেয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে। আজ ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে ৫০০ টাকায় ডেঙ্গু টেস্ট নেয় ১ হাজার ২০০ টাকা। অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগে তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

একই টেস্ট ল্যাবএইড হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ টাকা। ইবনে সিনাও বেশি ফি নিচ্ছে। অন্যদিকে স্কয়ার হাসপাতালে ডেঙ্গুর চিকিৎসার ওষুধের দাম বেশি নিচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অধিদফতরে ডাকা হয়েছে। কাল এ বিষয়ে শুনানি শেষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এর আগে গত রোববার স্বাস্থ্য অধিদফতর ডেঙ্গুর চিকিৎসার ফি নির্ধারণ করে দেয়। সরকার নির্ধারিত ফি অনুযায়ী, এখন থেকে ডেঙ্গু টেস্টের ফি ৫০০ টাকার বেশি নেয়া যাবে না। যার পূর্বমূল্য ছিল ১ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার টাকা। IgM + IgE অথবা IgM/IgE- ৫০০ টাকা (সর্বোচ্চ), যার পূর্বমূল্য ছিল ৮০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা। CBC (RBC + WBC + Platelet + Hematocrit)- ৪০০ টাকা (সর্বোচ্চ), যার পূর্ব মূল্য ছিল ১ হাজার টাকা। গত রোববার থেকে কার্যকর হওয়া এ মূল তালিকা পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর।

ক্রিসেন্টকে জরিমানা: এদিকে ডেঙ্গু রোগীর কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহের পর কোন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই রিপোর্ট দেয়াসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে রাজধানীর উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালকে ১৭ লাখ টাকা জরিমানা করেছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বিকেলে এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। পরে সারওয়ার আলম বলেন, এখানে কেঁচো খুঁড়তে এসে সাপ বেরিয়েছে। ডেঙ্গুর পরীক্ষায় সরকার নির্ধারিত ফি ৫০০ টাকার বেশি নেয়া হচ্ছে কি না সেটি তদারকি করতে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে আসি আমরা। এখানে ডেঙ্গুর ফি সঠিক নিয়মে নেয়া হলেও হাসপাতালের ল্যাবে গিয়ে মেলে ভয়াবহ চিত্র।

এখানে দেখা যায়, বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য রোগীদের কাছ থেকে সংগৃহীত নমুনা কোন ধরনের পরীক্ষা না করেই তৈরি করা হয়েছে অসংখ্য রিপোর্ট। আবার কোন পরীক্ষার জন্য ৭২ কিংবা ৪৮ ঘণ্টা সময় লাগলেও নমুনা সংগ্রহের ১২ ঘণ্টা পরেই তৈরি করা রিপোর্ট রোগীদের সরবরাহ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ রিএজেন্ট ব্যবহার, অনুমোদনহীন ওষুধ রাখাসহ বিভিন্ন অনিয়ম পাওয়া যায় অভিযানে।