কুমিল্লায় চাঞ্চল্যকর শিশু শিক্ষার্থী জারিন নুসাইবা ফুল অপহরণ-হত্যা মামলায় আদালত রুবেল ও আবদুল্লাহ আল মামুন প্রিয় নামে দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে। গতকাল কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতের বিচারক এম. এ আউয়াল এ রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছে জেলার চান্দিনা উপজেলার কঙ্গাই গ্রামের রমিজ উদ্দিনের ছেলে রুবেল (১৯) ও কোতোয়ালি মডেল থানার পশ্চিম বাগিচাগাঁও এলাকার সেলিম চৌধুরীর ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন প্রিয় (১৯)। নিহত জারিন নুসাইবা ফুল (৮) কুমিল্লা নগরীর নুরপুর পূর্বপাড়া কাজী বাড়ির জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে এবং সে হাউজিং এস্টেটস্থ বুলবুল প্রি-ক্যাডেট কিন্ডারগার্টেনের কেজি শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
মামলার বিবরণ, আদালত ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৪ জানুয়ারি সন্ধ্যার দিকে ফুলকে তার বাড়ির সামনে থেকে অপহরণ করা হয়। এরপর তার নানা সামছুল আলমের মোবাইল ফোনে অপহরণকারীরা ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ ঘটনায় ফুলের বাবা বাদী হয়ে ৫ জানুয়ারি কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা নং-৯ দায়ের করেন। এ মামলায় কুমিল্লা জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণের নাইট গার্ড ও জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার ভোলাকোট গ্রামের আবু মিয়ার ছেলে মো. শাহাদাৎ হোসেনকে (৩০) একমাত্র এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনকে আসামি করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই সামছুদ্দিন চৌধুরী মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে প্রথমে রুবেলকে আটক করেন। পরে তার দেয়া স্বীকারোক্তি মতে ঘটনার ৫ দিন পর ২০১৪ সালের ৯ জানুয়ারি নুরপুর কাজীবাড়ি পুকুর থেকে ফুলের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয় এবং আবদুল্লাহ আল মামুন প্রিয় নামে অপর এক আসামিকে গ্রেফতার করে। এছাড়া পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে নিহত ফুলের সম্পর্কীয় মামা নুরপুর কাজীবাড়ির কাজী জহিরুল আলমের ছেলে দিদারুল আলম ইমতিয়াজের (১৮) সম্পৃক্ততা খুঁজে পায় এবং পরবর্তীতে সে অপর একটি সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত হয়। পুলিশ ওই বছরের ২৬ জুন মামলার এজাহারনামীয় আসামি শাহাদাৎ হোসেন ও নিহত হওয়ার কারণে দিদারুল আলম ইমতিয়াজকে মামলার অভিযোগের দায় থেকে বাদ দেয়ার আবেদন জানিয়ে রুবেল ও আবদুল্লাহ আল মামুন প্রিয়র বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। আদালত দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে গতকাল দুপুরে চার্জশিটভুক্ত দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দেন। এ সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিল। সরকারপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন ওই আদালতের পিপি প্রদীপ কুমার দত্ত। মামলার রায় ঘোষণার সময় শিশু ফুলের মা সালমা আক্তার, নানি খাদিজা বেগম, নানা সামছুল আলম আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০১৯ , ১৫ শ্রাবন ১৪২৫, ২৬ জিলকদ ১৪৪০
প্রতিনিধি, কুমিল্লা
কুমিল্লায় চাঞ্চল্যকর শিশু শিক্ষার্থী জারিন নুসাইবা ফুল অপহরণ-হত্যা মামলায় আদালত রুবেল ও আবদুল্লাহ আল মামুন প্রিয় নামে দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে। গতকাল কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতের বিচারক এম. এ আউয়াল এ রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছে জেলার চান্দিনা উপজেলার কঙ্গাই গ্রামের রমিজ উদ্দিনের ছেলে রুবেল (১৯) ও কোতোয়ালি মডেল থানার পশ্চিম বাগিচাগাঁও এলাকার সেলিম চৌধুরীর ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন প্রিয় (১৯)। নিহত জারিন নুসাইবা ফুল (৮) কুমিল্লা নগরীর নুরপুর পূর্বপাড়া কাজী বাড়ির জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে এবং সে হাউজিং এস্টেটস্থ বুলবুল প্রি-ক্যাডেট কিন্ডারগার্টেনের কেজি শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
মামলার বিবরণ, আদালত ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৪ জানুয়ারি সন্ধ্যার দিকে ফুলকে তার বাড়ির সামনে থেকে অপহরণ করা হয়। এরপর তার নানা সামছুল আলমের মোবাইল ফোনে অপহরণকারীরা ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ ঘটনায় ফুলের বাবা বাদী হয়ে ৫ জানুয়ারি কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা নং-৯ দায়ের করেন। এ মামলায় কুমিল্লা জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণের নাইট গার্ড ও জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার ভোলাকোট গ্রামের আবু মিয়ার ছেলে মো. শাহাদাৎ হোসেনকে (৩০) একমাত্র এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনকে আসামি করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই সামছুদ্দিন চৌধুরী মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে প্রথমে রুবেলকে আটক করেন। পরে তার দেয়া স্বীকারোক্তি মতে ঘটনার ৫ দিন পর ২০১৪ সালের ৯ জানুয়ারি নুরপুর কাজীবাড়ি পুকুর থেকে ফুলের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয় এবং আবদুল্লাহ আল মামুন প্রিয় নামে অপর এক আসামিকে গ্রেফতার করে। এছাড়া পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে নিহত ফুলের সম্পর্কীয় মামা নুরপুর কাজীবাড়ির কাজী জহিরুল আলমের ছেলে দিদারুল আলম ইমতিয়াজের (১৮) সম্পৃক্ততা খুঁজে পায় এবং পরবর্তীতে সে অপর একটি সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত হয়। পুলিশ ওই বছরের ২৬ জুন মামলার এজাহারনামীয় আসামি শাহাদাৎ হোসেন ও নিহত হওয়ার কারণে দিদারুল আলম ইমতিয়াজকে মামলার অভিযোগের দায় থেকে বাদ দেয়ার আবেদন জানিয়ে রুবেল ও আবদুল্লাহ আল মামুন প্রিয়র বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। আদালত দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে গতকাল দুপুরে চার্জশিটভুক্ত দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দেন। এ সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিল। সরকারপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন ওই আদালতের পিপি প্রদীপ কুমার দত্ত। মামলার রায় ঘোষণার সময় শিশু ফুলের মা সালমা আক্তার, নানি খাদিজা বেগম, নানা সামছুল আলম আদালতে উপস্থিত ছিলেন।