পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জে এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হোসিয়ারি ব্যবসায়ীকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা সদর মডেল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) এনায়েত করিম। এ ঘটনায় মো. জিকু (২৯) নামের ওই ব্যবসায়ী কারাগারে রয়েছেন। গতকাল সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে মো. জিকুর মুক্তি ও অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন স্বজনরা। সংবাদ সম্মেলনে জিকুর পিতা মজিবুর রহমান, মা সুলতানা বেগম, চাচা ইসমাইল হোসেন, ভাতিজী অন্তরা আক্তার, ছোট ভাই জামিল আহমেদ রিকু উপস্থিত ছিলেন।

স্বজনদের দাবি, দাবিকৃত দুই লাখ টাকা না পাওয়ায় তাদের সন্তানকে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছেন এএসআই এনায়েত করিম। সংবাদ সম্মেলনে মজিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৮নং ওয়ার্ডের শহীদ নগরের বাসিন্দা। আমার ছেলে জিকু তিনটি মেশিন নিয়ে ছোট হোসিয়ারির ব্যবসা করে। গত ১২ ডিসেম্বর জিকু ও তার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী শামীমকে কোন কারণ ছাড়াই তুলে নিয়ে যায় এএসআই এনায়েত করিমের নেতৃত্বের একদল পুলিশ। পরে দুই লাখ টাকা দাবি করে এনায়েত। আমি অনেক কষ্ট করে স্ত্রীর অলংকার বন্ধক রেখে ৩০ হাজার টাকা পরের দিন শুক্রবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় জনৈক সুমনের মাধ্যমে এএসআইকে দেই। টাকা লেনদেনের ব্যাপারে ০১৯১১৬৯৩৯২৫ নম্বর থেকে যোগাযোগ করা হয়। ৩০ হাজার টাকা দেওয়ার পরও সে আমার ছেলে জিকু ও শামীমকে ১০ গ্রাম হেরোইন দিয়ে চালান দেয়।’

জিকুর বাবা বলেন, ‘আমার ছেলে সিগারেটও খায় না। সেখানে হেরোইনের মতো নেশাদ্রব্য দিয়ে আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। আজ অপরাধ না করেও অসাধু পুলিশ এএসআই এনায়েত করিমের জন্য বিনা অপরাধে জেলহাজত খাটছে আমার ছেলে। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ও জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অভিযোগ দিয়েছি। তবে অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে নারাজ অভিযুক্ত এএসআই এনায়েত করিম। মুঠোফোনে তিনি বলেন, ‘তারা এসপি স্যারের কাছে অভিযোগ দিছে। এখন আমি উর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া কিছু বলতে পারবো না। আপনারা যা খুশি লিখতে পারেন।’ এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মনিরুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। দোষী যেই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ , ১৬ পৌষ ১৪২৬, ৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ

প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জে এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হোসিয়ারি ব্যবসায়ীকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা সদর মডেল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) এনায়েত করিম। এ ঘটনায় মো. জিকু (২৯) নামের ওই ব্যবসায়ী কারাগারে রয়েছেন। গতকাল সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে মো. জিকুর মুক্তি ও অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন স্বজনরা। সংবাদ সম্মেলনে জিকুর পিতা মজিবুর রহমান, মা সুলতানা বেগম, চাচা ইসমাইল হোসেন, ভাতিজী অন্তরা আক্তার, ছোট ভাই জামিল আহমেদ রিকু উপস্থিত ছিলেন।

স্বজনদের দাবি, দাবিকৃত দুই লাখ টাকা না পাওয়ায় তাদের সন্তানকে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছেন এএসআই এনায়েত করিম। সংবাদ সম্মেলনে মজিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৮নং ওয়ার্ডের শহীদ নগরের বাসিন্দা। আমার ছেলে জিকু তিনটি মেশিন নিয়ে ছোট হোসিয়ারির ব্যবসা করে। গত ১২ ডিসেম্বর জিকু ও তার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী শামীমকে কোন কারণ ছাড়াই তুলে নিয়ে যায় এএসআই এনায়েত করিমের নেতৃত্বের একদল পুলিশ। পরে দুই লাখ টাকা দাবি করে এনায়েত। আমি অনেক কষ্ট করে স্ত্রীর অলংকার বন্ধক রেখে ৩০ হাজার টাকা পরের দিন শুক্রবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় জনৈক সুমনের মাধ্যমে এএসআইকে দেই। টাকা লেনদেনের ব্যাপারে ০১৯১১৬৯৩৯২৫ নম্বর থেকে যোগাযোগ করা হয়। ৩০ হাজার টাকা দেওয়ার পরও সে আমার ছেলে জিকু ও শামীমকে ১০ গ্রাম হেরোইন দিয়ে চালান দেয়।’

জিকুর বাবা বলেন, ‘আমার ছেলে সিগারেটও খায় না। সেখানে হেরোইনের মতো নেশাদ্রব্য দিয়ে আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। আজ অপরাধ না করেও অসাধু পুলিশ এএসআই এনায়েত করিমের জন্য বিনা অপরাধে জেলহাজত খাটছে আমার ছেলে। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ও জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অভিযোগ দিয়েছি। তবে অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে নারাজ অভিযুক্ত এএসআই এনায়েত করিম। মুঠোফোনে তিনি বলেন, ‘তারা এসপি স্যারের কাছে অভিযোগ দিছে। এখন আমি উর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া কিছু বলতে পারবো না। আপনারা যা খুশি লিখতে পারেন।’ এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মনিরুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। দোষী যেই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।