বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব

নাটক নৃত্য ও ঐতিহ্যবাহী পালাগান আজ

‘বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব’-এর আজ ১৬তম দিন। বিকেল ৪টায় সিলেট, বরিশাল ও নাটোর জেলা শিল্পকলা একাডেমির নিজস্ব শিল্পীদের পরিবেশনার মাধ্যমে শুরু হবে আজকের আয়োজন। রাত ৮টায় উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহ্যবাহী ‘পালা গান’। বাংলাশে শিল্পকলা একাডেমিতে গত ৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ২১ দিনব্যাপী এই উৎসব চলবে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। উৎসবে বাংলাদেশ জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির নিজস্ব শিল্পীসহ পর্যায়ক্রমে অংশগ্রহণ করছে দেশের ৬৪টি জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও ৬৪টি উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির পাঁচ হাজারের অধিক স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীরা। তাদের পরিবেশনার মধ্যে রয়েছে-সমবেত সংগীত, যন্ত্রসংগীত, একক সংগীত, বাউল সংগীত, সমবেত নৃত্য, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গান ও নৃত্য, আবৃতি, পালা, লোকনাট্য, পুতুলনাট্য, অ্যাক্রোবেটিক, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের পরিবেশনা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পরিবেশনা এবং জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে নির্মিত ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে জেলা ব্রান্ডিং।

গতকাল বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসবের ১৫তম দিনে পরিবেশিত হয়-বাংলাদেশ জাতীয় শিল্পকলা একাডেমি, হবিগঞ্জ, খুলনা, দিনাজপুর ও নেত্রকোনা জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের পরিবেশনা। প্রথমেই নন্দন মঞ্চে বাংলাদেশ জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির নিজস্ব শিল্পীরা জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। এর পরে তাদের পরিবেশনায় অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলার পরিবেশনায় ছিল-হবিগঞ্জ জেলার পরিবেশনায় জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ এবং ‘অধর মারিলো তোরে’ ২টি সমবেত সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী জয় দাস, পলাশ চৌধুরী, শুভ ভট্টাচায্য, নির্জন দাস, তিতু মিয়া, মেরিন, জয়শ্রী, শতাব্দী, প্রিয়শী ও স্বর্ণা। ‘কোন মিস্ত্রী নাও বানাইলো’ এবং ‘বাজেরে বাজে বাংলাদেশের ঢোল’ ২টি সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পী প্রবীর, ঐশী, রিধি, জীবন, কাশেম, জয়, গৌতম, মুন্নি, সাইফ ও জুঁই। একক সংগীত পরিবেশন করে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী ঐশি মৃত্তিকা স্বর্না এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী প্রিয়ন্তী মোদক। ‘এক সাগর রক্তের মিনিময়ে’ গানে যন্ত্রে সুর তোলেন শিল্পী বিল্লাল আহমেদ, সুবির কান্ত রায় এবং হরিপদ দাস।

খুলনা জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, ২টি সমবেত সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী অয়ন মজুমদার, চন্দন রায়, জয়কৃষ্ণ রায়, ইমন শাহরিয়ার, সুদীপ্ত সহলী, রকিবা খান লুবা, তাসফিয়া জামান, তিথি তরফদার, উর্মি আক্তার ও অরণি সরকার। ২টি সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পী রিফাত আকাশ, শরিফ মাসনুন, প্রিতিশ কুমার, অক্ষয় সাহা, এনামুল হক বাচ্চু, লিজা, রোদশী, নুপুর, মনিয়া ও ডলি। একক সংগীত পরিবেশন করে জেলার জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী গুরুপদ গুপ্ত। যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করে শিল্পী সজল বিশ্বাস, অপূর্ব রায়, রতন বিশ্বাস, বুবুল বিশ্বাস, রুবেল মোড়ল এবং অনুপ ঘোষ।

দিনাজপুর জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, আঞ্চলিক গান ‘বাংলাদেশের মানুষগুলো’ এবং ‘বাংলার হিন্দু বাংলার বৌদ্ধ’ ২টি সমবেত সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী সুজন কুমার, লক্ষ্মী রায়, সরোয়ার হোসেন, দিপ্ত সরকার, চিন্ময় রায় ও ফাল্গুনি বিশ্বাস, মিতুল, সাবিত্রী, তন্নি ও স্বপ্না। নৃত্য আলেখ্য (ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী ও মুক্তিযুদ্ধ) পরিবেশন করে শিল্পী ইতি, ইম্মাকুলতা কুহেলী, রুমী, ক্রীস্টিনা, পিংকি, প্লাবন, জিগার, পল্লব, হেলাল ও আলম। একক সংগীত পরিবেশন করে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী এটি এম জাহাঙ্গীর এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী দুলাল বসাক। ’যদি বন্ধু যাবার চাও’ গানের কথায় যন্ত্রে সুর তোলেন শিল্পী পলাশ দাস, বিষ্ণু, রানা পন্ডিত ও মহাবি দাস।

সবশেষে নেত্রকোনা জেলার পরিবেশনায় জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, সমবেত সংগীত, সমবেত নৃত্য, একক সংগীত এবং যন্ত্র সংগীত পরিবেশিত হয়।

ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব জমে উঠেছে

ইরান ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া প্রদর্শনী আজ

ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের আজ অষ্টম দিন। ১১ জানুয়ারি শুরু হওয়া এ উৎসব চলবে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। ‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’- স্লোগানকে ধারণ করে রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদ আয়োজিত ১৮তম এ উৎসবে বিভিন্ন দেশ থেকে ৯৫জন প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন। বিভিন্ন মিলনায়তন ও প্রেক্ষাগৃহে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে শুরু হয় প্রতিদিনের প্রদর্শনী। ৭৪টি দেশের ২২০টি চলচ্চিত্র প্রর্দশিত হচ্ছে এবারের উৎসবে।

২২০টি চলচ্চিত্রের মধ্যে পূর্ণদৈর্ঘ্য ১১৭টি, স্বল্পদৈর্ঘ্য ও স্বাধীন চলচ্চিত্র ১০৩টি এবং বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ২৬টি। চলচ্চিত্রগুলো প্রদর্শিত হচ্ছে- জাতীয় জাদুঘরের প্রধান ও কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তন, জাতীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তন, বাংলাদেশ জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তন, সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তন,অঁলিয়াস ফ্রঁয়েজ, মধুমিতা সিনেমা হল, স্টার সিনেপ্লেক্স বসুন্ধরা সিটি এবং সীমান্ত স্কোয়ার হলে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তন এবং অঁলিয়াস ফ্রঁয়েজ মিলনায়ত ছাড়া বাকি স্থানগুলোতে প্রদর্শনীর বিনিময়ে চলচ্চিত্রগুলো দেখানো হচ্ছে। তবে শিক্ষার্থীরা তাদের পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে জাতীয় জাদুঘরের প্রধান ও কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে চলচ্চিত্রগুলো দেখতে পারবেন।

জাতীয় জাদুঘরের মূল মিলনায়তন :

সকাল ১০.৩০ মিনিট, দুপুর ১.০০টা, বিকেল ৩.৩০ মিনিট, বিকেল ৫টা ও সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে প্রদর্শিত হবে- ইরানের ‘বাইক লাভার’ ও ‘ডারক্কোব’, ভারতের ‘ট্রিস আন্ডার দ্যা সান’ ও ‘ফাইনালি লাভ’, দক্ষিণ কোরিয়ার ‘টিনি লাইট’।

জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তন :

সকাল ১০টা, দুপুর ১টা, দুপুর ২.৩০ মিনিট, বিকেল ৫টা ও সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে প্রদর্শিত হবে-বাংলাদেশের ‘সূতোয় বাঁধা ডানা’, মেক্সিকো ও আমেরিকার যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘উইথ আউট টাইটেল’, ইরানের ‘আজাদী’, রাশিয়ার ‘ওল্ড ওয়ারিয়র’, কসোভোর ‘সালোন’,জাপানের ‘সাকানা’, ভারতের ‘হায় রাম’, ‘গ্যেচু’ ও একোরিয়াম’, আমেরিকার ‘থিংস দ্যাট ফল’, দক্ষিণ আফ্রিকার ‘দ্যা ম্যাটারস’, কাজাকিস্তানের ‘টিচার’ ও ‘গার্ডিয়ান আব দ্যা লাইট’, ফিলিপাইনের ‘বিউটিফুল পেইন’।

জাতীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তন :

সকাল ১০টা, দুপুর ১টা, বিকেল ৩টা, বিকেল ৫টা ও সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে প্রদর্শিত হবে-ভারতের ‘পান্ডাম আমাদা’, ব্রাজিলের ‘দ্যা মুভি অব মাই লাইফ’, রাশিয়ার ’ডীপ রিভারস’, ফিলিপাইনের ‘লাটায়’, বাংলাদেশের ‘ফাগুন হাওয়া’।

শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তন :

সকাল ১০.৩০ মিনিট, দুপুর ১টা, বিকেল ৩টা ও ৫টায় প্রদর্শিত হবে- রাশিয়ার ‘পাস্তুতা’, ভারতের ‘ইডাম’, নরওয়ের ‘হোয়াট উইল পিপলস স্যে’, স্পেন ও গ্রিসের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘ উইন্ডো টু দ্যা সি’।

জাতীয় সংগীত ও নৃত্যশালা মিলনায়তন :

সকাল ১০.৩০ মিনিট, দুপুর ১টা, বিকেল ৩টা ও সন্ধ্যা ৫.৩০ মিনিটে প্রদর্শিত হবে- ফ্রান্সের ‘হারবর’, নেপালের অ্যান্নাঘাট’, ভারতের ‘মিসটেক মেমোরি’, পোল্যান্ডের ‘বার্ডস আর সিংগিং কিগালি’।

অঁলিয়াস ফ্রঁয়েজ মিলনায়তন :

দুপুর ১.১৫ মিনিট ও রাত ৮.৩০ মিনিটে প্রদর্শিত হবে- ভারতের ‘ভিঞ্চি দা, সকাল ১০.৫০ ও সন্ধ্যা ৬টায় ভারতের ‘আহারে’, বিকেল ৩.৪০ মিনিটে থাইল্যান্ডের ‘দ্যা স্যাভি’,।

স্টার সিনেপ্লেক্স বসুন্ধরা সিটি :

দুপুর ২.৩০ মিনিট ও সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে ভারতের ‘শাহজাহান রিজেন্সি’, সকাল ১০.৫০ মিনিট ও সন্ধ্যা ৫.৩০ মিনিটে ইরানের ‘তাল্লা’, দুপুর ১২.৫০ মিনিটে রাশিয়ার ‘ডীপ রিভার্স’।

সীমান্ত স্কোয়ার :

সকাল ১০.৩০ মিনিট, বিকেল ৩.২৫ মিনিট ও রাত ৮.১৫ মিনিটে ভারতের ‘শাহজাহান রিজেন্সি’, দুপুর ১.৩০ মিনিট ও সন্ধ্যা ৬.২০ মিনিটে প্রদর্শিত হবে-ইরানের ‘ক্যাস্টল অব ড্রিমস’।

image

বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসবে নৃত্য পরিবেশনা -সংবাদ

আরও খবর
বৃহত্তর জুমার নামাজ আদায়
কমছে পিয়াজের দাম
বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শে শিশুদের উজ্জীবিত করতে হবে স্পিকার
বাংলাদেশ বিশ্বে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার
নির্বাচন-পূজা বিষয়টি ইসির অধীনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মুজিববর্ষ উদযাপনে পৃথিবীর মানুষ জানতে পেরেছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
স্মৃতির আয়নায় বিউটি বোর্ডিং
সাহিত্য ও সংস্কৃতির দুই বাংলার ১৬ গুণী ব্যক্তিকে সম্মাননা দেয়া হবে
বগুড়ায় জমজমাট পিঠা উৎসব
এশিয়ান টিভির সপ্তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ
তারিখ পরিবর্তন না করলে ভোট বর্জন করবে হিন্দু মহাজোট
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠন
চিকিৎসা সেবার নামে চলছে চরম অনিয়ম
গণমাধ্যমে লিখেছিল ভেবেছি অতিরঞ্জিত নিহতের স্বামী
কক্সবাজার শহরের সড়কে পচা দুর্গন্ধ পানি

শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২০ , ৪ মাঘ ১৪২৬, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব

নাটক নৃত্য ও ঐতিহ্যবাহী পালাগান আজ

সাংস্কৃতিক বার্তা পরিবেশক |

image

বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসবে নৃত্য পরিবেশনা -সংবাদ

‘বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব’-এর আজ ১৬তম দিন। বিকেল ৪টায় সিলেট, বরিশাল ও নাটোর জেলা শিল্পকলা একাডেমির নিজস্ব শিল্পীদের পরিবেশনার মাধ্যমে শুরু হবে আজকের আয়োজন। রাত ৮টায় উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহ্যবাহী ‘পালা গান’। বাংলাশে শিল্পকলা একাডেমিতে গত ৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ২১ দিনব্যাপী এই উৎসব চলবে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। উৎসবে বাংলাদেশ জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির নিজস্ব শিল্পীসহ পর্যায়ক্রমে অংশগ্রহণ করছে দেশের ৬৪টি জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও ৬৪টি উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির পাঁচ হাজারের অধিক স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীরা। তাদের পরিবেশনার মধ্যে রয়েছে-সমবেত সংগীত, যন্ত্রসংগীত, একক সংগীত, বাউল সংগীত, সমবেত নৃত্য, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গান ও নৃত্য, আবৃতি, পালা, লোকনাট্য, পুতুলনাট্য, অ্যাক্রোবেটিক, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের পরিবেশনা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পরিবেশনা এবং জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে নির্মিত ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে জেলা ব্রান্ডিং।

গতকাল বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসবের ১৫তম দিনে পরিবেশিত হয়-বাংলাদেশ জাতীয় শিল্পকলা একাডেমি, হবিগঞ্জ, খুলনা, দিনাজপুর ও নেত্রকোনা জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের পরিবেশনা। প্রথমেই নন্দন মঞ্চে বাংলাদেশ জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির নিজস্ব শিল্পীরা জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। এর পরে তাদের পরিবেশনায় অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলার পরিবেশনায় ছিল-হবিগঞ্জ জেলার পরিবেশনায় জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ এবং ‘অধর মারিলো তোরে’ ২টি সমবেত সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী জয় দাস, পলাশ চৌধুরী, শুভ ভট্টাচায্য, নির্জন দাস, তিতু মিয়া, মেরিন, জয়শ্রী, শতাব্দী, প্রিয়শী ও স্বর্ণা। ‘কোন মিস্ত্রী নাও বানাইলো’ এবং ‘বাজেরে বাজে বাংলাদেশের ঢোল’ ২টি সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পী প্রবীর, ঐশী, রিধি, জীবন, কাশেম, জয়, গৌতম, মুন্নি, সাইফ ও জুঁই। একক সংগীত পরিবেশন করে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী ঐশি মৃত্তিকা স্বর্না এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী প্রিয়ন্তী মোদক। ‘এক সাগর রক্তের মিনিময়ে’ গানে যন্ত্রে সুর তোলেন শিল্পী বিল্লাল আহমেদ, সুবির কান্ত রায় এবং হরিপদ দাস।

খুলনা জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, ২টি সমবেত সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী অয়ন মজুমদার, চন্দন রায়, জয়কৃষ্ণ রায়, ইমন শাহরিয়ার, সুদীপ্ত সহলী, রকিবা খান লুবা, তাসফিয়া জামান, তিথি তরফদার, উর্মি আক্তার ও অরণি সরকার। ২টি সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পী রিফাত আকাশ, শরিফ মাসনুন, প্রিতিশ কুমার, অক্ষয় সাহা, এনামুল হক বাচ্চু, লিজা, রোদশী, নুপুর, মনিয়া ও ডলি। একক সংগীত পরিবেশন করে জেলার জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী গুরুপদ গুপ্ত। যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করে শিল্পী সজল বিশ্বাস, অপূর্ব রায়, রতন বিশ্বাস, বুবুল বিশ্বাস, রুবেল মোড়ল এবং অনুপ ঘোষ।

দিনাজপুর জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, আঞ্চলিক গান ‘বাংলাদেশের মানুষগুলো’ এবং ‘বাংলার হিন্দু বাংলার বৌদ্ধ’ ২টি সমবেত সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী সুজন কুমার, লক্ষ্মী রায়, সরোয়ার হোসেন, দিপ্ত সরকার, চিন্ময় রায় ও ফাল্গুনি বিশ্বাস, মিতুল, সাবিত্রী, তন্নি ও স্বপ্না। নৃত্য আলেখ্য (ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী ও মুক্তিযুদ্ধ) পরিবেশন করে শিল্পী ইতি, ইম্মাকুলতা কুহেলী, রুমী, ক্রীস্টিনা, পিংকি, প্লাবন, জিগার, পল্লব, হেলাল ও আলম। একক সংগীত পরিবেশন করে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী এটি এম জাহাঙ্গীর এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী দুলাল বসাক। ’যদি বন্ধু যাবার চাও’ গানের কথায় যন্ত্রে সুর তোলেন শিল্পী পলাশ দাস, বিষ্ণু, রানা পন্ডিত ও মহাবি দাস।

সবশেষে নেত্রকোনা জেলার পরিবেশনায় জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, সমবেত সংগীত, সমবেত নৃত্য, একক সংগীত এবং যন্ত্র সংগীত পরিবেশিত হয়।

ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব জমে উঠেছে

ইরান ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া প্রদর্শনী আজ

ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের আজ অষ্টম দিন। ১১ জানুয়ারি শুরু হওয়া এ উৎসব চলবে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। ‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’- স্লোগানকে ধারণ করে রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদ আয়োজিত ১৮তম এ উৎসবে বিভিন্ন দেশ থেকে ৯৫জন প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন। বিভিন্ন মিলনায়তন ও প্রেক্ষাগৃহে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে শুরু হয় প্রতিদিনের প্রদর্শনী। ৭৪টি দেশের ২২০টি চলচ্চিত্র প্রর্দশিত হচ্ছে এবারের উৎসবে।

২২০টি চলচ্চিত্রের মধ্যে পূর্ণদৈর্ঘ্য ১১৭টি, স্বল্পদৈর্ঘ্য ও স্বাধীন চলচ্চিত্র ১০৩টি এবং বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ২৬টি। চলচ্চিত্রগুলো প্রদর্শিত হচ্ছে- জাতীয় জাদুঘরের প্রধান ও কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তন, জাতীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তন, বাংলাদেশ জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তন, সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তন,অঁলিয়াস ফ্রঁয়েজ, মধুমিতা সিনেমা হল, স্টার সিনেপ্লেক্স বসুন্ধরা সিটি এবং সীমান্ত স্কোয়ার হলে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তন এবং অঁলিয়াস ফ্রঁয়েজ মিলনায়ত ছাড়া বাকি স্থানগুলোতে প্রদর্শনীর বিনিময়ে চলচ্চিত্রগুলো দেখানো হচ্ছে। তবে শিক্ষার্থীরা তাদের পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে জাতীয় জাদুঘরের প্রধান ও কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে চলচ্চিত্রগুলো দেখতে পারবেন।

জাতীয় জাদুঘরের মূল মিলনায়তন :

সকাল ১০.৩০ মিনিট, দুপুর ১.০০টা, বিকেল ৩.৩০ মিনিট, বিকেল ৫টা ও সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে প্রদর্শিত হবে- ইরানের ‘বাইক লাভার’ ও ‘ডারক্কোব’, ভারতের ‘ট্রিস আন্ডার দ্যা সান’ ও ‘ফাইনালি লাভ’, দক্ষিণ কোরিয়ার ‘টিনি লাইট’।

জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তন :

সকাল ১০টা, দুপুর ১টা, দুপুর ২.৩০ মিনিট, বিকেল ৫টা ও সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে প্রদর্শিত হবে-বাংলাদেশের ‘সূতোয় বাঁধা ডানা’, মেক্সিকো ও আমেরিকার যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘উইথ আউট টাইটেল’, ইরানের ‘আজাদী’, রাশিয়ার ‘ওল্ড ওয়ারিয়র’, কসোভোর ‘সালোন’,জাপানের ‘সাকানা’, ভারতের ‘হায় রাম’, ‘গ্যেচু’ ও একোরিয়াম’, আমেরিকার ‘থিংস দ্যাট ফল’, দক্ষিণ আফ্রিকার ‘দ্যা ম্যাটারস’, কাজাকিস্তানের ‘টিচার’ ও ‘গার্ডিয়ান আব দ্যা লাইট’, ফিলিপাইনের ‘বিউটিফুল পেইন’।

জাতীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তন :

সকাল ১০টা, দুপুর ১টা, বিকেল ৩টা, বিকেল ৫টা ও সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে প্রদর্শিত হবে-ভারতের ‘পান্ডাম আমাদা’, ব্রাজিলের ‘দ্যা মুভি অব মাই লাইফ’, রাশিয়ার ’ডীপ রিভারস’, ফিলিপাইনের ‘লাটায়’, বাংলাদেশের ‘ফাগুন হাওয়া’।

শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তন :

সকাল ১০.৩০ মিনিট, দুপুর ১টা, বিকেল ৩টা ও ৫টায় প্রদর্শিত হবে- রাশিয়ার ‘পাস্তুতা’, ভারতের ‘ইডাম’, নরওয়ের ‘হোয়াট উইল পিপলস স্যে’, স্পেন ও গ্রিসের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘ উইন্ডো টু দ্যা সি’।

জাতীয় সংগীত ও নৃত্যশালা মিলনায়তন :

সকাল ১০.৩০ মিনিট, দুপুর ১টা, বিকেল ৩টা ও সন্ধ্যা ৫.৩০ মিনিটে প্রদর্শিত হবে- ফ্রান্সের ‘হারবর’, নেপালের অ্যান্নাঘাট’, ভারতের ‘মিসটেক মেমোরি’, পোল্যান্ডের ‘বার্ডস আর সিংগিং কিগালি’।

অঁলিয়াস ফ্রঁয়েজ মিলনায়তন :

দুপুর ১.১৫ মিনিট ও রাত ৮.৩০ মিনিটে প্রদর্শিত হবে- ভারতের ‘ভিঞ্চি দা, সকাল ১০.৫০ ও সন্ধ্যা ৬টায় ভারতের ‘আহারে’, বিকেল ৩.৪০ মিনিটে থাইল্যান্ডের ‘দ্যা স্যাভি’,।

স্টার সিনেপ্লেক্স বসুন্ধরা সিটি :

দুপুর ২.৩০ মিনিট ও সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে ভারতের ‘শাহজাহান রিজেন্সি’, সকাল ১০.৫০ মিনিট ও সন্ধ্যা ৫.৩০ মিনিটে ইরানের ‘তাল্লা’, দুপুর ১২.৫০ মিনিটে রাশিয়ার ‘ডীপ রিভার্স’।

সীমান্ত স্কোয়ার :

সকাল ১০.৩০ মিনিট, বিকেল ৩.২৫ মিনিট ও রাত ৮.১৫ মিনিটে ভারতের ‘শাহজাহান রিজেন্সি’, দুপুর ১.৩০ মিনিট ও সন্ধ্যা ৬.২০ মিনিটে প্রদর্শিত হবে-ইরানের ‘ক্যাস্টল অব ড্রিমস’।