জাতীয় পার্টির চিফ পেট্রোন ও বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ কর্তৃক তার ছেলে সাদ এরশাদসহ ১৬ জনকে দলের কো চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন পদবি দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাপার দূর্গ বলে পরিচিত রংপুরে দলের নেতাকর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। রওশন এরশাদের এ ধরনের নির্দেশনা দলের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে দলকে দুর্বল করার শামিল বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন রংপুর জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির নেতাসহ তৃণমূল নেতাকর্মীরা। সেই সঙ্গে রওশন এরশাদের এ ধরনের কোন সিদ্ধান্ত দেয়ার কোন এখতিয়ার নেই বলে বলে তারা মনে করেন। অতিসম্প্রতি এ পদবি প্রদানের ঘটনায় রংপুরে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে মহানগর ও জেলা জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতারা রওশন এরশাদের এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এ ব্যাপারে রংপুর মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক ও সদস্য দলের যুগ্ম মহাসচিব পদ পাওয়া এসএম ইয়াসির জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির সম্মেলনে দলের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে বিভিন্ন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। সেখানে সারাদেশের নেতাকর্মীদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রওশন এরশাদকে সম্মানজনক পদ চিফ পেট্রোন করা হয়েছে। দলের সব সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত দেয়ার ক্ষমতা দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে দেয়া হয়েছে। তার পরেও রওশন এরশাদ কোন ক্ষমতাবলে ১৬ জনকে বিভিন্ন পদবি প্রদান করেন। তিনি রওশন এরশাদের সাংগঠনিক ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, এভাবে নিজের খেয়ালখুশিমতো যা ইচ্ছে তাই করার ক্ষমতা দল তাকে দেয়নি। তিনি আরও বলেন তিনি এর আগে আমাদের দলের প্রয়াত চেয়ারম্যান এরশাদকে বেকায়দায় ফেলানোর জন্য বিভিন্ন সিদ্ধান্ত তার উপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছেন এতে করে দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে এ ধরনের কোন সিদ্ধান্ত না নিয়ে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কাজ করার জন্য রওশন এরশাদের প্রতি আহ্বান জানান।
অন্যদিকে, রংপুর সিটি করপেরেশনের মেয়র ও মহানগর জাপার সভাপতি ও দলের প্রেসিডিয়ামের অন্যতম সদস্য মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা রওশন এরশাদের সাংগঠনিক ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন তিনি বার বার যা ইচ্ছে তাই করবেন তা হতে পারে না। আমরা দলের নেতাকর্মীরা রওশন এরমাদের এ ধরনের সিদ্ধান্ত মানতে পারি না। তিনি আরও বলেন এবারের দলের সম্মেলনে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে সর্বময় ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। তিনি দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেই এখন পর্যন্ত সবকিছু করেছেন। রওশন এরশাদ দলের চিফ পেট্রোন, দলের কোন নীতি নির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণ কিংবা দলের কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেয়ার কোন এখতিয়ার তার নেই। ইচ্ছে করলে তিনি নিজের ছেলে সাদসহ ১৬ জনকে বিভিন্ন পদবি দেয়ার আগে দলের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলতে পারতেন। কিন্তু তা করেননি। মহানগর সভাপতি মোস্তফা বলেন, রংপুর হচ্ছে জাপার দুর্গ। এখানে রওশন এরশাদের কথায় নয়, জিএম কাদেরের কথায় দল চলবে। একই কথা জানান রংপুর জেলা জাপার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, দলের গঠনতন্ত্র সবাইকেই মানতে হবে। রওশন এরশাদ আমাদের শ্রদ্ধার। তিনি এমন কোন সিদ্ধান্ত নেবেন না যা দলের গঠনতন্ত্রবিরোধী। ফলে তার এ ধরনের একতরফা সিদ্ধান্ত রংপুরে সর্বস্তরের নেতাকর্মী মানেন না এবং মানবেন না। অন্যদিকে, রংপুরে তৃণমূল পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তারা বলেছেন রংপুরে রওশন এরশাদের স্থান নেই। তিনি দলের চিফ পেট্রোন এটা নিয়ে থাকা উচিত। বাড়াবাড়ি করলে তার সম্মানহানি হবে রংপুরের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা জিএম কাদের ছাড়া আর কারও নির্দেশনা মানবে না বলে জানান।
রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২০ , ৫ মাঘ ১৪২৬, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, রংপুর
জাতীয় পার্টির চিফ পেট্রোন ও বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ কর্তৃক তার ছেলে সাদ এরশাদসহ ১৬ জনকে দলের কো চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন পদবি দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাপার দূর্গ বলে পরিচিত রংপুরে দলের নেতাকর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। রওশন এরশাদের এ ধরনের নির্দেশনা দলের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে দলকে দুর্বল করার শামিল বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন রংপুর জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির নেতাসহ তৃণমূল নেতাকর্মীরা। সেই সঙ্গে রওশন এরশাদের এ ধরনের কোন সিদ্ধান্ত দেয়ার কোন এখতিয়ার নেই বলে বলে তারা মনে করেন। অতিসম্প্রতি এ পদবি প্রদানের ঘটনায় রংপুরে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে মহানগর ও জেলা জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতারা রওশন এরশাদের এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এ ব্যাপারে রংপুর মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক ও সদস্য দলের যুগ্ম মহাসচিব পদ পাওয়া এসএম ইয়াসির জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির সম্মেলনে দলের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে বিভিন্ন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। সেখানে সারাদেশের নেতাকর্মীদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রওশন এরশাদকে সম্মানজনক পদ চিফ পেট্রোন করা হয়েছে। দলের সব সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত দেয়ার ক্ষমতা দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে দেয়া হয়েছে। তার পরেও রওশন এরশাদ কোন ক্ষমতাবলে ১৬ জনকে বিভিন্ন পদবি প্রদান করেন। তিনি রওশন এরশাদের সাংগঠনিক ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, এভাবে নিজের খেয়ালখুশিমতো যা ইচ্ছে তাই করার ক্ষমতা দল তাকে দেয়নি। তিনি আরও বলেন তিনি এর আগে আমাদের দলের প্রয়াত চেয়ারম্যান এরশাদকে বেকায়দায় ফেলানোর জন্য বিভিন্ন সিদ্ধান্ত তার উপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছেন এতে করে দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে এ ধরনের কোন সিদ্ধান্ত না নিয়ে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কাজ করার জন্য রওশন এরশাদের প্রতি আহ্বান জানান।
অন্যদিকে, রংপুর সিটি করপেরেশনের মেয়র ও মহানগর জাপার সভাপতি ও দলের প্রেসিডিয়ামের অন্যতম সদস্য মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা রওশন এরশাদের সাংগঠনিক ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন তিনি বার বার যা ইচ্ছে তাই করবেন তা হতে পারে না। আমরা দলের নেতাকর্মীরা রওশন এরমাদের এ ধরনের সিদ্ধান্ত মানতে পারি না। তিনি আরও বলেন এবারের দলের সম্মেলনে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে সর্বময় ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। তিনি দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেই এখন পর্যন্ত সবকিছু করেছেন। রওশন এরশাদ দলের চিফ পেট্রোন, দলের কোন নীতি নির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণ কিংবা দলের কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেয়ার কোন এখতিয়ার তার নেই। ইচ্ছে করলে তিনি নিজের ছেলে সাদসহ ১৬ জনকে বিভিন্ন পদবি দেয়ার আগে দলের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলতে পারতেন। কিন্তু তা করেননি। মহানগর সভাপতি মোস্তফা বলেন, রংপুর হচ্ছে জাপার দুর্গ। এখানে রওশন এরশাদের কথায় নয়, জিএম কাদেরের কথায় দল চলবে। একই কথা জানান রংপুর জেলা জাপার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, দলের গঠনতন্ত্র সবাইকেই মানতে হবে। রওশন এরশাদ আমাদের শ্রদ্ধার। তিনি এমন কোন সিদ্ধান্ত নেবেন না যা দলের গঠনতন্ত্রবিরোধী। ফলে তার এ ধরনের একতরফা সিদ্ধান্ত রংপুরে সর্বস্তরের নেতাকর্মী মানেন না এবং মানবেন না। অন্যদিকে, রংপুরে তৃণমূল পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তারা বলেছেন রংপুরে রওশন এরশাদের স্থান নেই। তিনি দলের চিফ পেট্রোন এটা নিয়ে থাকা উচিত। বাড়াবাড়ি করলে তার সম্মানহানি হবে রংপুরের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা জিএম কাদের ছাড়া আর কারও নির্দেশনা মানবে না বলে জানান।