রাজধানীতে অবৈধ অস্ত্র ও মাস্তানদের আনাগোনা বাড়ছে

বাকী বিল্লাহ ও সাইফ বাবলু

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে বহিরাগত মাস্তান ও ক্যাডারদের আনাগোনা বাড়ছে। তারা সীদান্ত এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্র কিনে আধিপত্য বিস্তারে মাঠে নামছে। রাজধানীতে ইতোমধ্যে কয়েক হাজার ভাড়াটে ক্যাডার ঢুকেছে। তারা বিদ্রোহী প্রার্থীদের হয়ে মিছিলসহ নানা আধিপত্য বিস্তার করছে। মতিঝিল, খিলগাঁও, ঢাকা দক্ষিণের ১২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে শুরু করে বিভিন্ন ওয়ার্ডগুলোতে বহিরাগতকরা মিাছিলে ঢুকছে। কুমিল্লা ও গাজীপুর থেকে অনেক ক্যাডার ঢাকায় ঢুকেছে। গুলবাগ, খিলগাঁও, মধুবাগসহ বিভিন্নস্থানে বহিরাগত মাস্তানদের দৌরাত্ব বাড়ছে। বিদ্রোহী প্রার্থী ও ঢাকার আশপাশের জেলা থেকে বহিরাগতদের নিয়ে আসছে। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বিদেশি অস্ত্রের চালান ঢুকেছে রাজধানীতে। অস্ত্র ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে এসব অস্ত্র এখন পাড়া মহল্লার সন্ত্রাসীদের হাতে। গতকাল এ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ডিবি থেকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। গতকাল গোপীবাগ এলাকায় নির্বাচনী প্রচরাণায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে অবৈধ অস্ত্রের মহড়া দেখা গেছে। সেখানে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।

গতকাল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের গোপীবাগ এলাকায় নির্বাচনী প্রচরণায় যান বিএনপির সমর্থিত প্রার্থী তাবিথ আওয়াল। ওই প্রচারণায় আওয়ামী লীগ সমর্থকের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। হামলা সংঘর্ষে এক পক্ষ অন্য পক্ষকে দায়ী করলে ওই সংঘর্ষে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। যদিও গুলিতে কারো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। স্থানীয় সূত্র জানায়, সংঘর্ষের মধ্যে বেশ কয়েক রাউন্ড ফাকা গুলির ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের মধ্যে ক্যাডারদের অস্ত্র নিয়েও মহড়া দিতে দেখা গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্র জানায়, এর পূর্বে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪২ নং ওয়ার্ডের বেরাইদ এলাকায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী জাহাঙ্গির হোসেন ও দলের বিদ্রোহী প্রার্থী স্থানীয় এমপির ভাতিজা আইয়ুম আনার মিন্টুর সমর্থকের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সংঘর্ষে অবৈধ অস্ত্রের মহড়া দেখা গেছে। গত শুক্রবার রাতে এবং শনিবার কামরাঙ্গির চর এলাকায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ হোসেন এবং দলের বিদ্রোহী প্রার্থী সাইদুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ভয়াবহ ওই সংঘর্ষে আগ্নেয়াস্ত্রের মহড় দেখা গেছে।

গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ ডিবির অতিরিক্ত যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন বলেন, আসন্ন ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার ও সহিসংসতা ছড়ানোর উদ্দেশ্যে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র আনার চেষ্টা চলছে। তবে এ অপতৎপরতা রোধে পুলিশ সতর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু অবৈধ অস্ত্রের চালান এসেছে সীমান্ত থেকে। গত ২৫ জানুয়ারি লালবাগ এলাকায় আশিকুর রহমান নামে এক অস্ত্রবাজকে অস্ত্রসহ গ্রেফতারের পর এ বিষয়ে বেশ চাঞ্চল্যকর তথ্যও মিলেছে। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন।

অতিঃকমিশনার (ডিবি) আবদুল বাতেন জানান, গত শনিবার রাতে লালবাগ থানার শেখ সাহেব বাজার রোড থেকে আশিকুর রহমান (৩০) নামে একজনকে গ্রেফতার করে ডিবি দক্ষিণ বিভাগ। এ সময় তার কাছ থেকে ৩ রাউন্ড গুলিসহ একটি দেশীয় পিস্তল এবং ৪ রাউন্ড গুলি ও বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আটক আশিকুর রহমান জানিয়েছে ঢাকার সিটি নির্বাচন উপলক্ষে বিভিন্ন লোকের কাছে বিক্রির জন্য বেনাপোল সীমান্ত এলাকা থেকে অস্ত্রগুলো সে ঢাকায় নিয়ে এসেছিল। ঢাকায় আসার সঙ্গে সঙ্গে আমরা তাকে গ্রেফতার করেছি। এ অস্ত্রগুলো আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে এলাকায় প্রভাব বিস্তার এবং সহিসংতার জন্য আনা হয়েছিল। তিনি বলেন, আমরা তৎপর রয়েছি, যেন নির্বাচন উপলক্ষে কেউ সহিংসতা না করতে পারে। ঢাকার বাইরের সন্ত্রাসীরা ঢাকায় আসার বিষয়েও আমরা সচেষ্ট রয়েছি।

গোয়েন্দা দক্ষিণ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) সাইফুর রহমান আজাদ জানান, আটক ব্যক্তি যশোর জেলার বেনাপোল সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে অস্ত্র, গুলিগুলো সংগ্রহ করে বিক্রয়ের জন্য ঢাকায় নিয়ে আসে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে লালবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, দ্রুত বিচার, মাদকদ্রব্য এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। লালবাগ থানায় আরও একটি অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ডিবির একাধিক সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে বেশ কিছু অস্ত্রের অবৈধ অস্ত্রের চালান ঢুকে পড়েছে রাজধানীতে। পেশাদার অস্ত্র ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে এসব অস্ত্রের চালান ঢুকেছে। এলাকাভাগ করে পেশাদার সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে অস্ত্রগুলো ঢুকতে শুরু করেছে।

সূত্র জানায়, যেসব চালান ইতোমধ্যে এসেছে তার মধ্যে বেশ কিছু অবৈধ অস্ত্রের চালান বিভিন্ন সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে পাড়া মহল্লায় বিক্রি হয়েছে। বিভিন্ন প্রার্থীদের পক্ষে দলীয় ক্যাডার এবং তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীরা এসব অস্ত্রের মজুদ গড়েছেন। সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের আগ থেকেই এসব অস্ত্রের মাধ্যমে প্রাথীদের পক্ষে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, ভয়ভীতি দেখানোসহ নির্বাচনের দিন কেন্দ্র দখলের জন্য ব্যবহারের টার্গেট নিয়ে অবৈধ অস্ত্রের মজুদ গড়া হয়েছে। ডিবিসহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থ্যা পাড়া মহল্লায় এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে। ইতোমধ্যে যেসব সন্ত্রাসী এবং ক্যাডারদের বিরুদ্ধে আগেও অস্ত্রসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে তাদের গতিবিধির উপর নজরদারী রয়েছে।

সরজমিনে গতকাল মতিঝিল, গুলবাগ ও খিলগাঁও, শাহজাহানপুরের গেলে কয়েকজন ওয়ার্ড কাউন্সিলার প্রার্থী বলেন, নির্বাচনের আগে বিদ্রোহী প্রার্থীরা অস্ত্র ও বহিরাগত মাস্তান নিয়ে রাস্তায় নামছে। তারা নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। এ নিয়ে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২০ , ১৩ মাঘ ১৪২৬, ১ জমাদিউস সানি ১৪৪১

নির্বাচনকে ঘিরে

রাজধানীতে অবৈধ অস্ত্র ও মাস্তানদের আনাগোনা বাড়ছে

বাকী বিল্লাহ ও সাইফ বাবলু

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে বহিরাগত মাস্তান ও ক্যাডারদের আনাগোনা বাড়ছে। তারা সীদান্ত এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্র কিনে আধিপত্য বিস্তারে মাঠে নামছে। রাজধানীতে ইতোমধ্যে কয়েক হাজার ভাড়াটে ক্যাডার ঢুকেছে। তারা বিদ্রোহী প্রার্থীদের হয়ে মিছিলসহ নানা আধিপত্য বিস্তার করছে। মতিঝিল, খিলগাঁও, ঢাকা দক্ষিণের ১২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে শুরু করে বিভিন্ন ওয়ার্ডগুলোতে বহিরাগতকরা মিাছিলে ঢুকছে। কুমিল্লা ও গাজীপুর থেকে অনেক ক্যাডার ঢাকায় ঢুকেছে। গুলবাগ, খিলগাঁও, মধুবাগসহ বিভিন্নস্থানে বহিরাগত মাস্তানদের দৌরাত্ব বাড়ছে। বিদ্রোহী প্রার্থী ও ঢাকার আশপাশের জেলা থেকে বহিরাগতদের নিয়ে আসছে। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বিদেশি অস্ত্রের চালান ঢুকেছে রাজধানীতে। অস্ত্র ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে এসব অস্ত্র এখন পাড়া মহল্লার সন্ত্রাসীদের হাতে। গতকাল এ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ডিবি থেকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। গতকাল গোপীবাগ এলাকায় নির্বাচনী প্রচরাণায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে অবৈধ অস্ত্রের মহড়া দেখা গেছে। সেখানে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।

গতকাল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের গোপীবাগ এলাকায় নির্বাচনী প্রচরণায় যান বিএনপির সমর্থিত প্রার্থী তাবিথ আওয়াল। ওই প্রচারণায় আওয়ামী লীগ সমর্থকের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। হামলা সংঘর্ষে এক পক্ষ অন্য পক্ষকে দায়ী করলে ওই সংঘর্ষে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। যদিও গুলিতে কারো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। স্থানীয় সূত্র জানায়, সংঘর্ষের মধ্যে বেশ কয়েক রাউন্ড ফাকা গুলির ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের মধ্যে ক্যাডারদের অস্ত্র নিয়েও মহড়া দিতে দেখা গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্র জানায়, এর পূর্বে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪২ নং ওয়ার্ডের বেরাইদ এলাকায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী জাহাঙ্গির হোসেন ও দলের বিদ্রোহী প্রার্থী স্থানীয় এমপির ভাতিজা আইয়ুম আনার মিন্টুর সমর্থকের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সংঘর্ষে অবৈধ অস্ত্রের মহড়া দেখা গেছে। গত শুক্রবার রাতে এবং শনিবার কামরাঙ্গির চর এলাকায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ হোসেন এবং দলের বিদ্রোহী প্রার্থী সাইদুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ভয়াবহ ওই সংঘর্ষে আগ্নেয়াস্ত্রের মহড় দেখা গেছে।

গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ ডিবির অতিরিক্ত যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন বলেন, আসন্ন ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার ও সহিসংসতা ছড়ানোর উদ্দেশ্যে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র আনার চেষ্টা চলছে। তবে এ অপতৎপরতা রোধে পুলিশ সতর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু অবৈধ অস্ত্রের চালান এসেছে সীমান্ত থেকে। গত ২৫ জানুয়ারি লালবাগ এলাকায় আশিকুর রহমান নামে এক অস্ত্রবাজকে অস্ত্রসহ গ্রেফতারের পর এ বিষয়ে বেশ চাঞ্চল্যকর তথ্যও মিলেছে। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন।

অতিঃকমিশনার (ডিবি) আবদুল বাতেন জানান, গত শনিবার রাতে লালবাগ থানার শেখ সাহেব বাজার রোড থেকে আশিকুর রহমান (৩০) নামে একজনকে গ্রেফতার করে ডিবি দক্ষিণ বিভাগ। এ সময় তার কাছ থেকে ৩ রাউন্ড গুলিসহ একটি দেশীয় পিস্তল এবং ৪ রাউন্ড গুলি ও বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আটক আশিকুর রহমান জানিয়েছে ঢাকার সিটি নির্বাচন উপলক্ষে বিভিন্ন লোকের কাছে বিক্রির জন্য বেনাপোল সীমান্ত এলাকা থেকে অস্ত্রগুলো সে ঢাকায় নিয়ে এসেছিল। ঢাকায় আসার সঙ্গে সঙ্গে আমরা তাকে গ্রেফতার করেছি। এ অস্ত্রগুলো আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে এলাকায় প্রভাব বিস্তার এবং সহিসংতার জন্য আনা হয়েছিল। তিনি বলেন, আমরা তৎপর রয়েছি, যেন নির্বাচন উপলক্ষে কেউ সহিংসতা না করতে পারে। ঢাকার বাইরের সন্ত্রাসীরা ঢাকায় আসার বিষয়েও আমরা সচেষ্ট রয়েছি।

গোয়েন্দা দক্ষিণ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) সাইফুর রহমান আজাদ জানান, আটক ব্যক্তি যশোর জেলার বেনাপোল সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে অস্ত্র, গুলিগুলো সংগ্রহ করে বিক্রয়ের জন্য ঢাকায় নিয়ে আসে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে লালবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, দ্রুত বিচার, মাদকদ্রব্য এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। লালবাগ থানায় আরও একটি অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ডিবির একাধিক সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে বেশ কিছু অস্ত্রের অবৈধ অস্ত্রের চালান ঢুকে পড়েছে রাজধানীতে। পেশাদার অস্ত্র ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে এসব অস্ত্রের চালান ঢুকেছে। এলাকাভাগ করে পেশাদার সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে অস্ত্রগুলো ঢুকতে শুরু করেছে।

সূত্র জানায়, যেসব চালান ইতোমধ্যে এসেছে তার মধ্যে বেশ কিছু অবৈধ অস্ত্রের চালান বিভিন্ন সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে পাড়া মহল্লায় বিক্রি হয়েছে। বিভিন্ন প্রার্থীদের পক্ষে দলীয় ক্যাডার এবং তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীরা এসব অস্ত্রের মজুদ গড়েছেন। সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের আগ থেকেই এসব অস্ত্রের মাধ্যমে প্রাথীদের পক্ষে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, ভয়ভীতি দেখানোসহ নির্বাচনের দিন কেন্দ্র দখলের জন্য ব্যবহারের টার্গেট নিয়ে অবৈধ অস্ত্রের মজুদ গড়া হয়েছে। ডিবিসহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থ্যা পাড়া মহল্লায় এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে। ইতোমধ্যে যেসব সন্ত্রাসী এবং ক্যাডারদের বিরুদ্ধে আগেও অস্ত্রসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে তাদের গতিবিধির উপর নজরদারী রয়েছে।

সরজমিনে গতকাল মতিঝিল, গুলবাগ ও খিলগাঁও, শাহজাহানপুরের গেলে কয়েকজন ওয়ার্ড কাউন্সিলার প্রার্থী বলেন, নির্বাচনের আগে বিদ্রোহী প্রার্থীরা অস্ত্র ও বহিরাগত মাস্তান নিয়ে রাস্তায় নামছে। তারা নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। এ নিয়ে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।