ক্ষণগণনা

আর ৪৯ দিন

মুজিববর্ষ’র আর ৪৯ দিন বাকি। ঐতিহাসিক মুজিববর্ষের মধ্যেই শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি জানিয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ শিক্ষক সংগঠন স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ(স্বাশিপ)।

গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান স্বাশিপ সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাশিপ সভাপতি প্রফেসর ড. আবদুল মান্নানসহ সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা।

অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু বলেন, ‘শিক্ষা বান্ধব শেখ হাসিনার সরকার গত ১১ বছরে এদেশের শিক্ষা খাতে প্রভূত উন্নয়ন করেছে। বেসরকারি শিক্ষকদের বেতন দ্বিগুন বৃদ্ধি, ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট, ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতা, বিপুল সংখ্যক প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি, কল্যাণ এবং অবসর বোর্ডের জন্য এক হাজার ৬৭৭ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নজিরবিহীন অবকাঠামো উন্নয়ন বিশেষভাবে উল্লেখ্যযোগ্য। ফলে শিক্ষার হার ও র্শিক্ষার মান বৃদ্ধি পাচ্ছে। তথাপি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তাদের চরম অবজ্ঞা, অবহেলা, রাজনৈতিক প্রভাবাধীন ব্যবস্থাপনা কমিটির অযাথিত হস্তক্ষেপে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা অসহায় হয়ে পড়েন। ফলে শিক্ষার কাক্সিক্ষত উন্নয়ন চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

শেখ হাসিনার স্বপ্নের তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিশ্বমানে উন্নীত করা একান্ত প্রয়োজন মন্তব্য করে শাহজাহান আলম সাজু বলেন, ‘সে জন্য প্রয়োজন বৈষম্যহীন শিক্ষা তথা শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ। স্বাশিপ মনে করে একমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার পক্ষেই শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ সম্ভব, অন্য কারও পক্ষে নয়।’

মুজিববর্ষে শিক্ষা প্রশাসন থেকে মুক্তিযুদ্ধ চেতনা বিরোধী ও দুর্নীতিবাজদের অপসারণ করা না হলে স্বাশিপ তাদের তালিকা প্রকাশ করে এর বিরুদ্ধে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রদান করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বাশিপ।

অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ও উৎসব ভাতা সরকারি শিক্ষকদের অনুরূপ প্রদান, ব্যবস্থাপনা কমিটির অযাথিত হস্তক্ষেপ বন্ধ এবং স্কুল পর্যায়ে ব্যবস্থাপনা কমিটিতে নূন্যতম ডিগ্রি পাস ও কলেজ পর্যায় গভর্নিং কমিটিতে মাস্টার্স পাস ও স্বচ্ছ ইমেজের ব্যক্তিদের নিয়োগ এবং মাউশি, এনসিটিবি, নায়েম, ব্যানবেইসসহ বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডে এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যোগ্যতার ভিত্তিতে বেসরকারি শিক্ষকদের নিয়োগের দাবি জানান।

এছাড়াও মুজিববর্ষ উপলক্ষে বছরব্যাপী, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মভিত্তিক বিভিন্ন সভা, সেমিনার, আলোচনা সভা, শিশু সমাবেশ, চিত্রাংকন, র‌্যালি, রচনা প্রতিযোগিতা এবং ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবসে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নূন্যতম দুই লাখ শিক্ষকের উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং প্রবীণ শিক্ষকদের সংবর্ধনা ও ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা পদক’ প্রদানের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আসন্ন ঢাকা সিটি করপোরেশন উত্তর ও দক্ষিণের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আতিকুল ইসলামকে এবং ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী করার জন্য সবার প্রতি আবেদন জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে অধ্যক্ষ শরিফ আহমেদ সাদী, অধ্যক্ষ একরামুল হক, সাইদুর রহমান পান্না, অধ্যক্ষ মোনতাজ উদ্দিন মুর্তুজা, অধ্যক্ষ তেলোয়াত হোসেন খাঁন, অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, অধ্যক্ষ আবদুল্লাহ আল মামুনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ১৭ মার্চ স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী। এ উপলক্ষে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত বছরব্যাপী ‘মুজিববর্ষ’ পালন করবে সরকার।

সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২০ , ১৩ মাঘ ১৪২৬, ১ জমাদিউস সানি ১৪৪১

ক্ষণগণনা

আর ৪৯ দিন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

মুজিববর্ষ’র আর ৪৯ দিন বাকি। ঐতিহাসিক মুজিববর্ষের মধ্যেই শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি জানিয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ শিক্ষক সংগঠন স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ(স্বাশিপ)।

গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান স্বাশিপ সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাশিপ সভাপতি প্রফেসর ড. আবদুল মান্নানসহ সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা।

অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু বলেন, ‘শিক্ষা বান্ধব শেখ হাসিনার সরকার গত ১১ বছরে এদেশের শিক্ষা খাতে প্রভূত উন্নয়ন করেছে। বেসরকারি শিক্ষকদের বেতন দ্বিগুন বৃদ্ধি, ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট, ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতা, বিপুল সংখ্যক প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি, কল্যাণ এবং অবসর বোর্ডের জন্য এক হাজার ৬৭৭ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নজিরবিহীন অবকাঠামো উন্নয়ন বিশেষভাবে উল্লেখ্যযোগ্য। ফলে শিক্ষার হার ও র্শিক্ষার মান বৃদ্ধি পাচ্ছে। তথাপি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তাদের চরম অবজ্ঞা, অবহেলা, রাজনৈতিক প্রভাবাধীন ব্যবস্থাপনা কমিটির অযাথিত হস্তক্ষেপে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা অসহায় হয়ে পড়েন। ফলে শিক্ষার কাক্সিক্ষত উন্নয়ন চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

শেখ হাসিনার স্বপ্নের তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিশ্বমানে উন্নীত করা একান্ত প্রয়োজন মন্তব্য করে শাহজাহান আলম সাজু বলেন, ‘সে জন্য প্রয়োজন বৈষম্যহীন শিক্ষা তথা শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ। স্বাশিপ মনে করে একমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার পক্ষেই শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ সম্ভব, অন্য কারও পক্ষে নয়।’

মুজিববর্ষে শিক্ষা প্রশাসন থেকে মুক্তিযুদ্ধ চেতনা বিরোধী ও দুর্নীতিবাজদের অপসারণ করা না হলে স্বাশিপ তাদের তালিকা প্রকাশ করে এর বিরুদ্ধে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রদান করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বাশিপ।

অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ও উৎসব ভাতা সরকারি শিক্ষকদের অনুরূপ প্রদান, ব্যবস্থাপনা কমিটির অযাথিত হস্তক্ষেপ বন্ধ এবং স্কুল পর্যায়ে ব্যবস্থাপনা কমিটিতে নূন্যতম ডিগ্রি পাস ও কলেজ পর্যায় গভর্নিং কমিটিতে মাস্টার্স পাস ও স্বচ্ছ ইমেজের ব্যক্তিদের নিয়োগ এবং মাউশি, এনসিটিবি, নায়েম, ব্যানবেইসসহ বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডে এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যোগ্যতার ভিত্তিতে বেসরকারি শিক্ষকদের নিয়োগের দাবি জানান।

এছাড়াও মুজিববর্ষ উপলক্ষে বছরব্যাপী, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মভিত্তিক বিভিন্ন সভা, সেমিনার, আলোচনা সভা, শিশু সমাবেশ, চিত্রাংকন, র‌্যালি, রচনা প্রতিযোগিতা এবং ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবসে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নূন্যতম দুই লাখ শিক্ষকের উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং প্রবীণ শিক্ষকদের সংবর্ধনা ও ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা পদক’ প্রদানের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আসন্ন ঢাকা সিটি করপোরেশন উত্তর ও দক্ষিণের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আতিকুল ইসলামকে এবং ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী করার জন্য সবার প্রতি আবেদন জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে অধ্যক্ষ শরিফ আহমেদ সাদী, অধ্যক্ষ একরামুল হক, সাইদুর রহমান পান্না, অধ্যক্ষ মোনতাজ উদ্দিন মুর্তুজা, অধ্যক্ষ তেলোয়াত হোসেন খাঁন, অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, অধ্যক্ষ আবদুল্লাহ আল মামুনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ১৭ মার্চ স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী। এ উপলক্ষে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত বছরব্যাপী ‘মুজিববর্ষ’ পালন করবে সরকার।