তাবিথের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে রিট

নির্বাচনী হলফনামায় সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ এনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। গতকাল হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদন করেন আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক। তিনি বলেন, রিট আবেদনের ওপর সোমবার বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হবে। রিটে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

গত ২৩ জানুয়ারি বিকেলে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাবিথের প্রার্থিতা বাতিলের দাবি জানান শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। এ সময় তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন। পরে বিচারপতি মানিক জানান, সিঙ্গাপুরে এনএফএম এনার্জি (সিঙ্গাপুর) প্রাইভেট কোম্পানি লিমিটেড নামে একটি কোম্পানিতে তিনজনের শেয়ার রয়েছে। এই তিনজন শেয়ারহোল্ডারের একজন তাবিথ আউয়াল। অন্য দু’জন তার সহযোগী।

বিচারপতি মানিক আরও বলেন, তাবিথসহ তিনজন মিলে এ কোম্পানির সব শেয়ারের মালিক হয়েছেন। এ কোম্পানির মূল্য দেখানো হয়েছে ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ওপর। এনএফএম এনার্জি (সিঙ্গাপুর) প্রাইভেট কোম্পানির কথা তাবিথ আউয়াল তার হলফনামায় উল্লেখ করেননি। আইন হচ্ছে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ও তার পরিবারের সব সদস্যের সব সম্পদ হলফনামায় দেখাতে হবে। কিন্তু তাবিথ আউয়াল তা দেখাননি।

পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশনে দেয়া ওই আবেদনের বিষয়ে কোন সাড়া না পেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক। বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, তাবিথ আউয়ালের মনোনয়ন আইনত বাতিল হতে বাধ্য। এখন সমস্যা হচ্ছে এই, সময়টা খুব কম। যদি আসলেই জিতে যায়, তাহলে কিন্তু উনি (তাবিথ) টিকতে পারবেন না, যদি তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগগুলো প্রমাণিত হয়। কারণ নির্বাচনের পরই এই প্রশ্ন আসবে, তখন যদি প্রতিষ্ঠিত হয় যে উনি মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন হফলনামায়, তাহলে উনি আর থাকতে পারবেন না। তার সিট শূন্য হয়ে যাবে। আবার নতুন নির্বাচন হবে।

সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২০ , ১৩ মাঘ ১৪২৬, ১ জমাদিউস সানি ১৪৪১

হলফনামায় তথ্য গোপন

তাবিথের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে রিট

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

নির্বাচনী হলফনামায় সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ এনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। গতকাল হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদন করেন আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক। তিনি বলেন, রিট আবেদনের ওপর সোমবার বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হবে। রিটে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

গত ২৩ জানুয়ারি বিকেলে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাবিথের প্রার্থিতা বাতিলের দাবি জানান শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। এ সময় তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন। পরে বিচারপতি মানিক জানান, সিঙ্গাপুরে এনএফএম এনার্জি (সিঙ্গাপুর) প্রাইভেট কোম্পানি লিমিটেড নামে একটি কোম্পানিতে তিনজনের শেয়ার রয়েছে। এই তিনজন শেয়ারহোল্ডারের একজন তাবিথ আউয়াল। অন্য দু’জন তার সহযোগী।

বিচারপতি মানিক আরও বলেন, তাবিথসহ তিনজন মিলে এ কোম্পানির সব শেয়ারের মালিক হয়েছেন। এ কোম্পানির মূল্য দেখানো হয়েছে ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ওপর। এনএফএম এনার্জি (সিঙ্গাপুর) প্রাইভেট কোম্পানির কথা তাবিথ আউয়াল তার হলফনামায় উল্লেখ করেননি। আইন হচ্ছে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ও তার পরিবারের সব সদস্যের সব সম্পদ হলফনামায় দেখাতে হবে। কিন্তু তাবিথ আউয়াল তা দেখাননি।

পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশনে দেয়া ওই আবেদনের বিষয়ে কোন সাড়া না পেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক। বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, তাবিথ আউয়ালের মনোনয়ন আইনত বাতিল হতে বাধ্য। এখন সমস্যা হচ্ছে এই, সময়টা খুব কম। যদি আসলেই জিতে যায়, তাহলে কিন্তু উনি (তাবিথ) টিকতে পারবেন না, যদি তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগগুলো প্রমাণিত হয়। কারণ নির্বাচনের পরই এই প্রশ্ন আসবে, তখন যদি প্রতিষ্ঠিত হয় যে উনি মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন হফলনামায়, তাহলে উনি আর থাকতে পারবেন না। তার সিট শূন্য হয়ে যাবে। আবার নতুন নির্বাচন হবে।