খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য

আর্থ্রাইটিসের উন্নতি হচ্ছে না

বিএনপির চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়ার আর্থ্রাইটিসের আশানুরূপ উন্নতি হচ্ছে না। আর ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও এবং বয়সজনিত কিছু সমস্যা সম্পূর্ণ নির্মূলযোগ্য নয়। গতকাল বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতাল শাখার পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একে মাহবুবুল হকের স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গত ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল চিকিৎসার জন্য বঙ্গববন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালে ভর্তি হন। ভর্তিকালীন সময়ে তিনি অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন (উচ্চ রক্তচাপ), আর্থ্রাইটিস (অস্থিসন্ধির ব্যথা), দাঁতের ব্যথা, কাফ ভেরিয়েন্ট এ্যাজমা ইত্যাদি সমস্যায় ভুগছিলেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা জন্য পাঁচ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। যে মেডিকেল বোর্ডের প্রধান হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডিন ও ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান, অধ্যাপক ডা. মো. জিলন মিঞা সরকার। এই মেডিকেল বোর্ডে চিকিৎসক রিউমাটোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হকসহ আরও তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন। মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী গত ১৭ ডিসেম্বর আরও দুইজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তারা হলেন বিশিষ্ট এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. মো. ফরিদ উদ্দিন এবং বক্ষ্যব্যাধি বিশেষজ্ঞ। তাছাড়াও বোর্ডের সুপারিশ ক্রমে আরও দুইজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক- মনোরোগ ও গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। এছাড়াও বেগম খালেদা জিয়ার পছন্দ অনুযায়ী সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. শামীম আহমেদ (রিউমাটোলজিস্ট) ও ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. মামুনুর রহমান (কনসালটেন্ট-কার্ডিওলজি বিভাগ) নিয়মিত মেডিকেল বোর্ড সহায়তা করে যাচ্ছেন।

গত প্রায় ১০ মাসে বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক সমস্যার কোন কোন ক্ষেত্রে আশানুরূপ উন্নতি হয়েছে এবং কোন কোন রোগ স্থিতিশীল রয়েছে। দাঁতের ব্যথা ভালো হয়েছে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শারীরিক দুর্বলতার উন্নতি হয়েছে।

২০০৯ ও ২০১২ সালে তার উভয় হাঁটুতেই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নী-রিপ্লেসমেন্ট করা হয়। আর্থাইটিসের ব্যথা কমানোর জন্য মেডিকেল বোর্ডের পক্ষ থেকে ভ্যাকসিন নেয়া, বায়োলজিকস ও অন্য আধুনিক মেডিসিন সেবনের পরামর্শ দেয়া হয়। কয়েক মাস ধরে মেডিকেল বোর্ডের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা আর্থ্রাইটিসের উন্নত চিকিৎসা নেয়ার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে অনুরোধ করে যাচ্ছেন। কিন্তু তিনি এখন পর্যন্ত আথ্রাইটিসের ঐ সব আধুনিক চিকিৎসা গ্রহণে সম্মতি জ্ঞাপন করেননি। ফলে আর্থাইটিসের আশানুরূপ উন্নতি হচ্ছে না। ডায়াবেটিস, আর্থাইটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং বয়সজনিত কিছু সমস্যা সম্পূর্ণ নির্মূলযোগ্য নয়। যথাযথ ও উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা ও রোগীকে ভালো রাখার চেষ্টা করা হয়।

বেগম খালেদা জিয়ার বিষয়ে রাজনীতি বা ব্যক্তিগত পরিচয় বিবেচনায় না এনে একজন রোগী হিসেবে বিবেচনা করেই সম্পূর্ণ আন্তরিকতার সঙ্গে উন্নত চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়ার বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে মিডিয়ায় উনার চিকিৎসা সংক্রান্ত যে সব তথ্যাদি প্রচার করা হয় তা মিডিয়ায় নিজস্ব সংগৃহীত তথ্য ও বক্তব্য। এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকবৃন্দের কোন সম্পৃক্ততা নেই। বেগম খালেদা জিয়াকে মেডিকেল বোর্ড বা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের শুধুমাত্র চিকিৎসাসেবা দেয়ার সুযোগ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট মেডিকেল বোর্ড আন্তরিকতার সঙ্গে সেই কাজটিই করে যাচ্ছে।

সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২০ , ১৩ মাঘ ১৪২৬, ১ জমাদিউস সানি ১৪৪১

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য

আর্থ্রাইটিসের উন্নতি হচ্ছে না

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

বিএনপির চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়ার আর্থ্রাইটিসের আশানুরূপ উন্নতি হচ্ছে না। আর ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও এবং বয়সজনিত কিছু সমস্যা সম্পূর্ণ নির্মূলযোগ্য নয়। গতকাল বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতাল শাখার পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একে মাহবুবুল হকের স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গত ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল চিকিৎসার জন্য বঙ্গববন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালে ভর্তি হন। ভর্তিকালীন সময়ে তিনি অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন (উচ্চ রক্তচাপ), আর্থ্রাইটিস (অস্থিসন্ধির ব্যথা), দাঁতের ব্যথা, কাফ ভেরিয়েন্ট এ্যাজমা ইত্যাদি সমস্যায় ভুগছিলেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা জন্য পাঁচ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। যে মেডিকেল বোর্ডের প্রধান হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডিন ও ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান, অধ্যাপক ডা. মো. জিলন মিঞা সরকার। এই মেডিকেল বোর্ডে চিকিৎসক রিউমাটোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হকসহ আরও তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন। মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী গত ১৭ ডিসেম্বর আরও দুইজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তারা হলেন বিশিষ্ট এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. মো. ফরিদ উদ্দিন এবং বক্ষ্যব্যাধি বিশেষজ্ঞ। তাছাড়াও বোর্ডের সুপারিশ ক্রমে আরও দুইজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক- মনোরোগ ও গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। এছাড়াও বেগম খালেদা জিয়ার পছন্দ অনুযায়ী সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. শামীম আহমেদ (রিউমাটোলজিস্ট) ও ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. মামুনুর রহমান (কনসালটেন্ট-কার্ডিওলজি বিভাগ) নিয়মিত মেডিকেল বোর্ড সহায়তা করে যাচ্ছেন।

গত প্রায় ১০ মাসে বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক সমস্যার কোন কোন ক্ষেত্রে আশানুরূপ উন্নতি হয়েছে এবং কোন কোন রোগ স্থিতিশীল রয়েছে। দাঁতের ব্যথা ভালো হয়েছে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শারীরিক দুর্বলতার উন্নতি হয়েছে।

২০০৯ ও ২০১২ সালে তার উভয় হাঁটুতেই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নী-রিপ্লেসমেন্ট করা হয়। আর্থাইটিসের ব্যথা কমানোর জন্য মেডিকেল বোর্ডের পক্ষ থেকে ভ্যাকসিন নেয়া, বায়োলজিকস ও অন্য আধুনিক মেডিসিন সেবনের পরামর্শ দেয়া হয়। কয়েক মাস ধরে মেডিকেল বোর্ডের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা আর্থ্রাইটিসের উন্নত চিকিৎসা নেয়ার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে অনুরোধ করে যাচ্ছেন। কিন্তু তিনি এখন পর্যন্ত আথ্রাইটিসের ঐ সব আধুনিক চিকিৎসা গ্রহণে সম্মতি জ্ঞাপন করেননি। ফলে আর্থাইটিসের আশানুরূপ উন্নতি হচ্ছে না। ডায়াবেটিস, আর্থাইটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং বয়সজনিত কিছু সমস্যা সম্পূর্ণ নির্মূলযোগ্য নয়। যথাযথ ও উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা ও রোগীকে ভালো রাখার চেষ্টা করা হয়।

বেগম খালেদা জিয়ার বিষয়ে রাজনীতি বা ব্যক্তিগত পরিচয় বিবেচনায় না এনে একজন রোগী হিসেবে বিবেচনা করেই সম্পূর্ণ আন্তরিকতার সঙ্গে উন্নত চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়ার বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে মিডিয়ায় উনার চিকিৎসা সংক্রান্ত যে সব তথ্যাদি প্রচার করা হয় তা মিডিয়ায় নিজস্ব সংগৃহীত তথ্য ও বক্তব্য। এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকবৃন্দের কোন সম্পৃক্ততা নেই। বেগম খালেদা জিয়াকে মেডিকেল বোর্ড বা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের শুধুমাত্র চিকিৎসাসেবা দেয়ার সুযোগ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট মেডিকেল বোর্ড আন্তরিকতার সঙ্গে সেই কাজটিই করে যাচ্ছে।