সিটি নির্বাচন যেন প্রহসনে পরিণত না হয় মোশাররফ

নির্বাচনের জন্য ন্যূনতম লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এখনও ঠিক হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটলেও নির্বাচন কমিশন (ইসি) কোন ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা আশঙ্কা করছি সিটি করপোরেশন নির্বাচনও বিগত সব নির্বাচনের মতো যেন তামাশা ও প্রহসনে পরিণত না হয়। এ সময় নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ঢাকায় ৩০ লাখ নেতা-কর্মী এবং অস্ত্র-শস্ত্রসহ এনেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

গতকাল রাজধানীর গোপীবাগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনের বাসায় এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আবদুস সালাম, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, গত ১৫ জানুয়ারি ধানমন্ডি এলাকায় গণসংযোগ শেষে বাসায় ফেরার পথে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ যুব বিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলীকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী মেহেরুন নেছার নির্বাচনী অফিসে হামলা ও ভাঙচুর করেছে আওয়ামী লীগ ও কাউন্সিলর প্রার্থীর লোকেরা। হামলায় প্রার্থীর ছেলেসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। বিএনপির প্রার্থীর ছেলে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

তিনি বলেন, গত ২৫ শে জানুয়ারি সন্ধ্যায় পুরোনো ঢাকার হোসেনী দালানের মেইন গেটের সামনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ১০ থেকে ১৫ জন সন্ত্রাসী ধানের শীষে মাইক ভাঙচুর ও প্রচার কাজে নিয়োজিত প্রচার কর্মী এবং রিকশা চালককে মারধর করেছে। ২৬ শে জানুয়ারি টিকাটুলিতে বিএনপি কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এত বড় একটি ঘটনার পরও নির্বাচন কমিশন থেকে ন্যূনতম কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। উপরন্তু তাদের দলের প্রায় ২০০ নেতা-কর্মীর নামে মামলা দয়ে হয়েছে। একচোখা নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের ন্যক্কারজনক আচরণ ও ভূমিকায় এই নির্বাচনকেও যদি গতানুগতিক প্রহসনের নির্বাচনে পরিণত করা হয়, তাহলে উদ্ভূত পরিস্থিতির দায়-দায়িত্ব সরকার ও একচোখা নির্বাচন কমিশনকেই বহন করতে হবে।

ওবায়দুল কাদেরের এক বক্তব্যে প্রেক্ষিতে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা জানি যে, আওয়ামী লীগ এটা আসলে করছে। তারা বাইরে থেকে নেতা-কর্মীদের ঢাকা শহরে এনে সয়লাব করে ফেলেছে, ৩০ লাখ নেতা-কর্মী ঢাকা শহরে এনেছে এবং অস্ত্র-শস্ত্রসহ এনেছে। এই অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আসতে তাদের কর্মীরা সাহস পায়, কারণ পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে না। এই কাজটি তারা করেছে, এই কাজটি করবে বলেই আগে থেকে বিএনপির ওপরে দোষ চাপানোর জন্য ওবায়দুল কাদের সাহেব এই ‘উদোর পিণ্ডি বুঁদোর ঘাড়ে’ নেয়ার যে তাদের সবসময়ের অভ্যাস, সেটা করার জন্য এই কথা উনি বলেছেন। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।

আরও খবর
তাপমাত্রা বাড়লেও হিমেল হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত
যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নে পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে
গভীর সমুদ্রবন্দর হবে মাতারবাড়ি
সরস্বতী পূজা আজ
সমন্বিতভাবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের আহ্বান
প্রধানমন্ত্রী অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন
চালের দাম নিয়ন্ত্রণে বিশেষ মনিটরিং টিম
প্রতিবন্ধী ও শিশু ধর্ষণ ঘটনায় ২ জন গ্রেফতার
মেয়র আইভীর আমন্ত্রণে নারায়ণগঞ্জে জাপানের নারোতো সিটি মেয়র
জহির রায়হানের অন্তর্ধান দিবস আজ
কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে আজ ‘দীপু নাম্বার টু’
হবিগঞ্জে চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড আজ
এক মাসে ডেঙ্গুতে ১৯৩ জন আক্রান্ত
ভল্ট থেকে তিন কোটি টাকা চুরি করে জুয়া খেলল ব্যাংক কর্মকর্তা
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে ডাকাতি
হত্যা মামলায় মা-মামাসহ ৪ ভাইয়ের কারাদণ্ড

বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২০ , ১৬ মাঘ ১৪২৬, ৪ জমাদিউস সানি ১৪৪১

সিটি নির্বাচন যেন প্রহসনে পরিণত না হয় মোশাররফ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

নির্বাচনের জন্য ন্যূনতম লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এখনও ঠিক হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটলেও নির্বাচন কমিশন (ইসি) কোন ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা আশঙ্কা করছি সিটি করপোরেশন নির্বাচনও বিগত সব নির্বাচনের মতো যেন তামাশা ও প্রহসনে পরিণত না হয়। এ সময় নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ঢাকায় ৩০ লাখ নেতা-কর্মী এবং অস্ত্র-শস্ত্রসহ এনেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

গতকাল রাজধানীর গোপীবাগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনের বাসায় এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আবদুস সালাম, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, গত ১৫ জানুয়ারি ধানমন্ডি এলাকায় গণসংযোগ শেষে বাসায় ফেরার পথে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ যুব বিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলীকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী মেহেরুন নেছার নির্বাচনী অফিসে হামলা ও ভাঙচুর করেছে আওয়ামী লীগ ও কাউন্সিলর প্রার্থীর লোকেরা। হামলায় প্রার্থীর ছেলেসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। বিএনপির প্রার্থীর ছেলে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

তিনি বলেন, গত ২৫ শে জানুয়ারি সন্ধ্যায় পুরোনো ঢাকার হোসেনী দালানের মেইন গেটের সামনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ১০ থেকে ১৫ জন সন্ত্রাসী ধানের শীষে মাইক ভাঙচুর ও প্রচার কাজে নিয়োজিত প্রচার কর্মী এবং রিকশা চালককে মারধর করেছে। ২৬ শে জানুয়ারি টিকাটুলিতে বিএনপি কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এত বড় একটি ঘটনার পরও নির্বাচন কমিশন থেকে ন্যূনতম কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। উপরন্তু তাদের দলের প্রায় ২০০ নেতা-কর্মীর নামে মামলা দয়ে হয়েছে। একচোখা নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের ন্যক্কারজনক আচরণ ও ভূমিকায় এই নির্বাচনকেও যদি গতানুগতিক প্রহসনের নির্বাচনে পরিণত করা হয়, তাহলে উদ্ভূত পরিস্থিতির দায়-দায়িত্ব সরকার ও একচোখা নির্বাচন কমিশনকেই বহন করতে হবে।

ওবায়দুল কাদেরের এক বক্তব্যে প্রেক্ষিতে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা জানি যে, আওয়ামী লীগ এটা আসলে করছে। তারা বাইরে থেকে নেতা-কর্মীদের ঢাকা শহরে এনে সয়লাব করে ফেলেছে, ৩০ লাখ নেতা-কর্মী ঢাকা শহরে এনেছে এবং অস্ত্র-শস্ত্রসহ এনেছে। এই অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আসতে তাদের কর্মীরা সাহস পায়, কারণ পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে না। এই কাজটি তারা করেছে, এই কাজটি করবে বলেই আগে থেকে বিএনপির ওপরে দোষ চাপানোর জন্য ওবায়দুল কাদের সাহেব এই ‘উদোর পিণ্ডি বুঁদোর ঘাড়ে’ নেয়ার যে তাদের সবসময়ের অভ্যাস, সেটা করার জন্য এই কথা উনি বলেছেন। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।