নতুন আতঙ্ক করোনাভাইরাস
চলতি বছরের শুরুতে গত এক মাসে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নতুন করে ১৯৩ জন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। এভাবে প্রতিদিন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তবে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে চলতি বছর কেউ মারা যায়নি। অপর দিকে নতুন করে দেশবাসীর আতঙ্ক করোনাভাইরাস।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলর্থ ইমাজেন্সি অপারেশন সেন্টারের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার জানান, চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৯৩ জন। আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ছেড়েছে ১৭৫ জন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি রোগী আছে ১৮ জন। ঢাকার ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে সর্বমোট ১১জন। ঢাকার বাহিরে হাসপাতালে ভর্তি আছে ২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১ জন ভর্তি হয়েছে আরও ১ জন। এ বছর (২০২০) ডেঙ্গু সন্দেহে কোন মৃত্যুর তথ্য জানা যায়নি।
জানা গেছে, গেল বছর দেশজুড়ে ডেঙ্গুজ্বরের বাহক অ্যাডিশ মশার উপদ্রব আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছিল। প্রতিদিন শিশু ও বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ আক্রান্ত হয়েছিল। এখনও মশার উপদ্রব থামেনি। আর মশার ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। রাজধানীর বাসবাড়ি থেকে শুরু করে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে জমে থাকা পানিতে এখনও মশার উপদ্রব রয়েছে। বাসার দরজা জানালা খুললে ঘরে মশা ঢুকছে। গেল বছরের মশার আতঙ্ক এখনও কাটেনি। আবার নতুন করে শুরু হয়েছে করোনাভাইরাস। এছাড়াও নিপাভাইরাস আতঙ্ক। কাঁচা খেজুরের রস থেকে এ ভাইরাস ছড়ায়। কাঁচা খেজুরের রস বাদুরে খায়। বাদুরের মুখের লালা ও মলমূত্র রসের হাঁড়িতে মিশে যায়। ওই রস কাঁচা খেলে নিপাভাইরাসে আক্রান্ত হয়। এভাবে ডেঙ্গুজ্বর, করোনাভাইরাস ও নিপাভাইরাসের কারণে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২০ , ১৬ মাঘ ১৪২৬, ৪ জমাদিউস সানি ১৪৪১
নতুন আতঙ্ক করোনাভাইরাস
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
চলতি বছরের শুরুতে গত এক মাসে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নতুন করে ১৯৩ জন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। এভাবে প্রতিদিন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তবে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে চলতি বছর কেউ মারা যায়নি। অপর দিকে নতুন করে দেশবাসীর আতঙ্ক করোনাভাইরাস।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলর্থ ইমাজেন্সি অপারেশন সেন্টারের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার জানান, চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৯৩ জন। আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ছেড়েছে ১৭৫ জন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি রোগী আছে ১৮ জন। ঢাকার ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে সর্বমোট ১১জন। ঢাকার বাহিরে হাসপাতালে ভর্তি আছে ২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১ জন ভর্তি হয়েছে আরও ১ জন। এ বছর (২০২০) ডেঙ্গু সন্দেহে কোন মৃত্যুর তথ্য জানা যায়নি।
জানা গেছে, গেল বছর দেশজুড়ে ডেঙ্গুজ্বরের বাহক অ্যাডিশ মশার উপদ্রব আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছিল। প্রতিদিন শিশু ও বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ আক্রান্ত হয়েছিল। এখনও মশার উপদ্রব থামেনি। আর মশার ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। রাজধানীর বাসবাড়ি থেকে শুরু করে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে জমে থাকা পানিতে এখনও মশার উপদ্রব রয়েছে। বাসার দরজা জানালা খুললে ঘরে মশা ঢুকছে। গেল বছরের মশার আতঙ্ক এখনও কাটেনি। আবার নতুন করে শুরু হয়েছে করোনাভাইরাস। এছাড়াও নিপাভাইরাস আতঙ্ক। কাঁচা খেজুরের রস থেকে এ ভাইরাস ছড়ায়। কাঁচা খেজুরের রস বাদুরে খায়। বাদুরের মুখের লালা ও মলমূত্র রসের হাঁড়িতে মিশে যায়। ওই রস কাঁচা খেলে নিপাভাইরাসে আক্রান্ত হয়। এভাবে ডেঙ্গুজ্বর, করোনাভাইরাস ও নিপাভাইরাসের কারণে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।