কিশোরগঞ্জে একটি হত্যা মামলায় চার ভাইয়ের দু’জনের যাবজ্জীবন, মা ও মামাসহ অপর দুই ভাইয়ের এক বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। অপর আসামি তাদের বাবা হাফিজ উদ্দিন বিচারাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। কিশোরগঞ্জের ১ নং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবদুর রহিম গতকাল দুপুরে তার রায়ে করিমগঞ্জের হালগড়া গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের দুই ছেলে মানিক মিয়া ও আবু হানিফকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২ লাখ টাকা করে জরিমানা, হাফিজের স্ত্রী ফরিদা খাতুন, অপর দুই ছেলে আবু সিদ্দিক ও আবদুস সাত্তার এবং ফরিদার বড়ভাই পশ্চিম নোয়াবাদ গ্রামের আবুল হোসেন আলী মুন্সিকে এক বছর করে কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন। রায়ের সময় সব আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বাড়ির সীমানার বিরোধের জের ধরে একটি গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে ২০১০ সালের ১০ জুন সকালে একই গোষ্ঠীর আবদুর রশিদের ছেলে ছফির উদ্দিনের (৪২) মাথায় প্রতিপক্ষ শাবল দিয়ে আঘাত করলে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ভিকটিমের ছোটভাই মো. হেলিম বাদী হয়ে করিমগঞ্জ থানায় মামলা করলে পুলিশ উপরোক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছিল। মামলা চলাকালে আসামি হাফিজ উদ্দিন মারা যান। গতকাল অপর ৬ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেয়া হয়। সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এপিপি অ্যাডভোকেট আবদুল খালেক দাদন, আর আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট অশোক সরকার।
বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২০ , ১৬ মাঘ ১৪২৬, ৪ জমাদিউস সানি ১৪৪১
জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জে একটি হত্যা মামলায় চার ভাইয়ের দু’জনের যাবজ্জীবন, মা ও মামাসহ অপর দুই ভাইয়ের এক বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। অপর আসামি তাদের বাবা হাফিজ উদ্দিন বিচারাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। কিশোরগঞ্জের ১ নং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবদুর রহিম গতকাল দুপুরে তার রায়ে করিমগঞ্জের হালগড়া গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের দুই ছেলে মানিক মিয়া ও আবু হানিফকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২ লাখ টাকা করে জরিমানা, হাফিজের স্ত্রী ফরিদা খাতুন, অপর দুই ছেলে আবু সিদ্দিক ও আবদুস সাত্তার এবং ফরিদার বড়ভাই পশ্চিম নোয়াবাদ গ্রামের আবুল হোসেন আলী মুন্সিকে এক বছর করে কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন। রায়ের সময় সব আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বাড়ির সীমানার বিরোধের জের ধরে একটি গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে ২০১০ সালের ১০ জুন সকালে একই গোষ্ঠীর আবদুর রশিদের ছেলে ছফির উদ্দিনের (৪২) মাথায় প্রতিপক্ষ শাবল দিয়ে আঘাত করলে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ভিকটিমের ছোটভাই মো. হেলিম বাদী হয়ে করিমগঞ্জ থানায় মামলা করলে পুলিশ উপরোক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছিল। মামলা চলাকালে আসামি হাফিজ উদ্দিন মারা যান। গতকাল অপর ৬ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেয়া হয়। সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এপিপি অ্যাডভোকেট আবদুল খালেক দাদন, আর আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট অশোক সরকার।