আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয় মুজিববর্ষে জাতির জন্য উপহার প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের আইসিসির অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপর জয়কে মুজিববর্ষে জাতির জন্য উপহার হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

গতকাল সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী আরও ঘোষণা করেন যে, দলটি দেশে ফিরে আসার পরে এই দুর্দান্ত সাফল্যের জন্য তাদের একটি বিশাল সংবর্ধনা দেয়া হবে। তরুণ টাইগাররা গত রোববার দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমের সেনউইস পার্কে টুর্নামেন্টের ফাইনালে শক্তিশালী ভারতকে তিন উইকেটে পরাজিত করে আকাক্সিক্ষত ট্রফি জয় করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের আইসিসির অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ট্রফি জয় করাটা মুজিববর্ষে জাতির জন্য একটি উপহার।’

শেখ হাসিনা স্মরণ করেন, ১৯৯৭ সালে আইসিসি টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা দেয়া হয়েছিল।

তিনি বলেন, ‘যখনই বাংলাদেশ দল কোন ট্রপি জিতেছে, আমরা তাদের সংবর্ধনা দিয়েছি। আমরা আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী বাংলাদেশ দলকেও জমকালো সংবর্ধনা দেব।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে গত চার বছর কঠোর পরিশ্রম করেছে। পুরো টুর্নামেন্টে দারুণ পারফরমেন্সের মাধ্যমে তারা পরিশ্রমের সুফল পেয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দল চার বারের আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় দলকে হারিয়েছে। তাদের (বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের) অনেক সাহস আছে এবং তারা ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে।’

মন্ত্রিপরিষদের কয়েকজন সদস্য বাংলাদেশ দলের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ বিজয়ের উৎসব পালনের জন্য একদিনের সরকারি ছুটি ঘোষণার প্রস্তাব দিলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অর্জনের জন্য সবাইকে আরও বেশি কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘আমার প্রস্তাব হচ্ছে এই খুশিতে সবাইকে একদিন বা একঘণ্টা বেশি কাজ করতে হবে।’

এই ইস্যুতে একজন মন্ত্রী বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের ঘটনাকে বাংলাদেশের খেলাধুলার ইতিহাসের ‘সবচেয়ে বড় অর্জন’ হিসেবে অভিহিত করেন।

তিনি বলেন, ‘এটা বাংলাদেশের খেলাধুলার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সাফল্য। এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।’

মন্ত্রী আরও বলেন, দলনায়ক আকবর আলি টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে তার পরিপক্কতার পরিচয় দিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এখানে কিভাবে সংকটপূর্ণ সময়ে মোকাবিলা করতে হয়ে তা তার থেকে শেখার আছে। আমাদের সবাইকেই সংকটের সময়ে তা থেকে উত্তরণের জন্য এভাবেই চেষ্টা চালাতে হবে।’

তিনি আকবরের এই ম্যাচ উইনিং ইনিংসটিকে কুয়ালালামপুরের ১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফিতে নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে আকরাম খানের সেই স্মরণীয় ব্যাটিংয়ের সঙ্গে তুলনা করেন।

image
আরও খবর
গণপরিবহনে লাগামহীন ভাড়া
বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা এখনও অনিশ্চিত
সড়ক দুর্ঘটনা ৩ দশমিক ৯১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে
বোনের মৃত্যু শোককে শক্তিতে পরিণত করে বিশ্বকাপ ছিনিয়ে এনেছে আকবর
আনন্দে মেতেছে সারাদেশ
বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটারদের প্লট ও সম্মানি দেয়ার দাবি সংসদে
বিশ্বসেরা আরচার রোমান সানা
আনসার আল ইসলামের ৫ জঙ্গি গ্রেফতার
ফিরতি টিকিট ৫০ শতাংশ করার দাবি
চীন থেকে আর কাউকে আনবে না সরকার
ভোট পুনর্যাচাই ঘুড়ি নয়, ঝুড়ি জিতেছে
চীন থেকে আসা একজনকে রংপুর থেকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে স্থানান্তর
দুই কিশোরী ধর্ষণ
তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়েই রয়ে গেছে
কলকাতা বইমেলা ২০২১ বঙ্গবন্ধুর নামে উৎসর্গ করা হবে
ক্ষণগণনা : আর ৩৪ দিন
আ-মরি বাংলা ভাষা

মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২৮ মাঘ ১৪২৬, ১৬ জমাদিউল সানি ১৪৪১

আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয় মুজিববর্ষে জাতির জন্য উপহার প্রধানমন্ত্রী

বাসস

image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের আইসিসির অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপর জয়কে মুজিববর্ষে জাতির জন্য উপহার হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

গতকাল সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী আরও ঘোষণা করেন যে, দলটি দেশে ফিরে আসার পরে এই দুর্দান্ত সাফল্যের জন্য তাদের একটি বিশাল সংবর্ধনা দেয়া হবে। তরুণ টাইগাররা গত রোববার দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমের সেনউইস পার্কে টুর্নামেন্টের ফাইনালে শক্তিশালী ভারতকে তিন উইকেটে পরাজিত করে আকাক্সিক্ষত ট্রফি জয় করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের আইসিসির অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ট্রফি জয় করাটা মুজিববর্ষে জাতির জন্য একটি উপহার।’

শেখ হাসিনা স্মরণ করেন, ১৯৯৭ সালে আইসিসি টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা দেয়া হয়েছিল।

তিনি বলেন, ‘যখনই বাংলাদেশ দল কোন ট্রপি জিতেছে, আমরা তাদের সংবর্ধনা দিয়েছি। আমরা আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী বাংলাদেশ দলকেও জমকালো সংবর্ধনা দেব।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে গত চার বছর কঠোর পরিশ্রম করেছে। পুরো টুর্নামেন্টে দারুণ পারফরমেন্সের মাধ্যমে তারা পরিশ্রমের সুফল পেয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দল চার বারের আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় দলকে হারিয়েছে। তাদের (বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের) অনেক সাহস আছে এবং তারা ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে।’

মন্ত্রিপরিষদের কয়েকজন সদস্য বাংলাদেশ দলের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ বিজয়ের উৎসব পালনের জন্য একদিনের সরকারি ছুটি ঘোষণার প্রস্তাব দিলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অর্জনের জন্য সবাইকে আরও বেশি কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘আমার প্রস্তাব হচ্ছে এই খুশিতে সবাইকে একদিন বা একঘণ্টা বেশি কাজ করতে হবে।’

এই ইস্যুতে একজন মন্ত্রী বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের ঘটনাকে বাংলাদেশের খেলাধুলার ইতিহাসের ‘সবচেয়ে বড় অর্জন’ হিসেবে অভিহিত করেন।

তিনি বলেন, ‘এটা বাংলাদেশের খেলাধুলার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সাফল্য। এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।’

মন্ত্রী আরও বলেন, দলনায়ক আকবর আলি টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে তার পরিপক্কতার পরিচয় দিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এখানে কিভাবে সংকটপূর্ণ সময়ে মোকাবিলা করতে হয়ে তা তার থেকে শেখার আছে। আমাদের সবাইকেই সংকটের সময়ে তা থেকে উত্তরণের জন্য এভাবেই চেষ্টা চালাতে হবে।’

তিনি আকবরের এই ম্যাচ উইনিং ইনিংসটিকে কুয়ালালামপুরের ১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফিতে নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে আকরাম খানের সেই স্মরণীয় ব্যাটিংয়ের সঙ্গে তুলনা করেন।