টিকাদান কেন্দ্রেও নিবন্ধন : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা ছাড়া করোনাভাইরাস দেশ থেকে একেবারে নির্মূল করা দুরূহ কাজ। আগের ইতিহাসও একই কথা বলে। ভ্যাকসিন প্রয়োগের ফলেই এর আগে পৃথিবী থেকে পোলিও, প্লেগসহ অন্যান্য মহামারী বিদায় নিয়েছে। করোনাভাইরাসের টিকার জন্য কেউ অনলাইনে নিবন্ধন করতে না পারলে টিকাদান কেন্দ্রেও সেই ব্যবস্থা রাখা হবে বলে আশ্বস্ত করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

গতকাল রাজধানীর র‌্যাডিসন হোটেলে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ও অ্যাসেন্ড বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বিশ্ব এনটিডি দিবস উদযাপন’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিকার জন্য সবাই আমাদের অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারবেন। অ্যাপে না পারলে সাহায্য নেন। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে সাহায্য নিতে পারেন। টিকাদান কেন্দ্রে গেলে ফরম ফিলাপ করে দিলে তারাই নিবন্ধন করে দেবে। কাজেই সব ব্যবস্থা আছে। আপনি টিকা নেন, সুস্থ থাকেন, দেশকে সুস্থ রাখেন।

জাহিদ মালেক জানান, এরই মধ্যে সব জেলায় টিকা পৌঁছে গেছে। শীঘ্রই উপজেলা পর্যায়েও যাবে। ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করবে স্বাস্থ্য বিভাগ।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৭ জানুয়ারি ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এরপর টিকার নিবন্ধনের জন্য সুরক্ষা প্লাটফর্মের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন (www.surokkha.gov.bd) সীমিত আকারে উন্মুক্ত করা হয়।

করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে যাদের মনে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব আছে, তাদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সব টিকারই কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। অক্সফোর্ডের টিকারও কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। তবে এই টিকা অনেক নিরাপদ। শুধু শহর নয়, একদম প্রত্যন্ত অঞ্চলে আমাদের মুরব্বিরা, মা-বোনেরা আছেন, তাদের আহ্বান করব আমাদের জেলা-উপজেলায় এসে টিকা নেয়ার জন্য।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আপনারা আপনাদের এলাকার মানুষকে টিকাদান কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন। তাদের উদ্বুদ্ধ করবেন টিকাদানে।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হার যে কমে এসেছে, সে বিষয়টি তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই হার ধরে রাখতে হবে, আর সেজন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি। এখন শনাক্তের হার ৩ শতাংশের ঘরে আছে। আমরা একটা ভালো পর্যায়ে আছি। এটা ধরে রাখতে হবে। এটা ধরে রাখতে হলে কিছু কাজ আমাদেরও করতে হবে। মাস্ক পরতে হবে নিয়মিত।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান বলেন, ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে একযোগে করোনাভ্যাকসিন দেয়া হবে। সরকারের টাকায় কেনা একটি ভ্যাকসিনও যেন অপচয় বা নষ্ট না হয়, সে ব্যাপারে কঠোর নজরদারি রাখা হচ্ছে।

বুধবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২০ মাঘ ১৪২৭, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪২

টিকাদান কেন্দ্রেও নিবন্ধন : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা ছাড়া করোনাভাইরাস দেশ থেকে একেবারে নির্মূল করা দুরূহ কাজ। আগের ইতিহাসও একই কথা বলে। ভ্যাকসিন প্রয়োগের ফলেই এর আগে পৃথিবী থেকে পোলিও, প্লেগসহ অন্যান্য মহামারী বিদায় নিয়েছে। করোনাভাইরাসের টিকার জন্য কেউ অনলাইনে নিবন্ধন করতে না পারলে টিকাদান কেন্দ্রেও সেই ব্যবস্থা রাখা হবে বলে আশ্বস্ত করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

গতকাল রাজধানীর র‌্যাডিসন হোটেলে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ও অ্যাসেন্ড বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বিশ্ব এনটিডি দিবস উদযাপন’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিকার জন্য সবাই আমাদের অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারবেন। অ্যাপে না পারলে সাহায্য নেন। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে সাহায্য নিতে পারেন। টিকাদান কেন্দ্রে গেলে ফরম ফিলাপ করে দিলে তারাই নিবন্ধন করে দেবে। কাজেই সব ব্যবস্থা আছে। আপনি টিকা নেন, সুস্থ থাকেন, দেশকে সুস্থ রাখেন।

জাহিদ মালেক জানান, এরই মধ্যে সব জেলায় টিকা পৌঁছে গেছে। শীঘ্রই উপজেলা পর্যায়েও যাবে। ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করবে স্বাস্থ্য বিভাগ।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৭ জানুয়ারি ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এরপর টিকার নিবন্ধনের জন্য সুরক্ষা প্লাটফর্মের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন (www.surokkha.gov.bd) সীমিত আকারে উন্মুক্ত করা হয়।

করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে যাদের মনে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব আছে, তাদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সব টিকারই কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। অক্সফোর্ডের টিকারও কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। তবে এই টিকা অনেক নিরাপদ। শুধু শহর নয়, একদম প্রত্যন্ত অঞ্চলে আমাদের মুরব্বিরা, মা-বোনেরা আছেন, তাদের আহ্বান করব আমাদের জেলা-উপজেলায় এসে টিকা নেয়ার জন্য।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আপনারা আপনাদের এলাকার মানুষকে টিকাদান কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন। তাদের উদ্বুদ্ধ করবেন টিকাদানে।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হার যে কমে এসেছে, সে বিষয়টি তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই হার ধরে রাখতে হবে, আর সেজন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি। এখন শনাক্তের হার ৩ শতাংশের ঘরে আছে। আমরা একটা ভালো পর্যায়ে আছি। এটা ধরে রাখতে হবে। এটা ধরে রাখতে হলে কিছু কাজ আমাদেরও করতে হবে। মাস্ক পরতে হবে নিয়মিত।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান বলেন, ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে একযোগে করোনাভ্যাকসিন দেয়া হবে। সরকারের টাকায় কেনা একটি ভ্যাকসিনও যেন অপচয় বা নষ্ট না হয়, সে ব্যাপারে কঠোর নজরদারি রাখা হচ্ছে।