শামীমকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ

জালিয়াতির মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ একাডেমিক ভবন নির্মাণের কাজ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় কথিত যুবলীগ নেতা মো. গোলাম কিবরিয়া শামীমকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন একটি আদালত। গতকাল চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল হোসেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবীর করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দিয়েছেন। এদিন কড়া নিরাপত্তায় কারাগার থেকে শামীমকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল।

অভিযুক্ত মো. গোলাম কিবরিয়া শামীম যিনি জিকে শামীম নামে পরিচিত, তাকে সরকারের দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের আওতায় ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর গ্রেপ্তার করা হয়। নিজেকে যুবলীগের কেন্দ্রীয় সমবায় সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দেয়া জিকে শামীম ঢাকার জিকেবি অ্যান্ড েেকাম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

মামলায় অভিযুক্ত অন্যজন হলেন- দি বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল করিম চৌধুরী। ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর দুদক সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক ফখরুল ইসলাম বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ একাডেমিক ভবনের (দ্বিতীয় কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ ভবন) দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মাণ কাজের জন্য ২০১৬ সালের ২৮ আগস্ট দরপত্র আহ্বান করা হয়। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে দি বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্সকে (জিকেবিএল) ৭৫ কোটি এক লাখ ২৯৫ টাকার কার্যাদেশ দেয়া হয়। ওই বছরের ১৪ নভেম্বর চুক্তি হয়। দরপত্রের সঙ্গে শর্ত অনুযায়ী ওই প্রতিষ্ঠান আগের পাঁচ বছরে কমপক্ষে একটি ৩৫ কোটি টাকার বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ সন্তোষজনকভাবে সমাপ্তির সনদপত্র জমা দেয়। আগের পাঁচবছরে গড়ে কমপক্ষে ৪১ কোটি টাকার টার্নওভার এবং ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকার লিকুইড অ্যাসেট সংক্রান্ত কাগজপত্রও জমা দেয়া হয়। অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দুদকের অভিযোগ- জিকে শামীম ও ফজলুল করিম প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে কোম্পানির প্রকৃত নিবন্ধিত নামের সঙ্গে একক মালিকানাধীন ফার্মের নাম সংযুক্ত করে নিবন্ধনের সনদ জমা দেন। কিন্তু এক্ষেত্রে কোন চুক্তির কাগজপত্র জমা দেননি। এছাড়া নিবন্ধিত প্রকৃত শেয়ার সংখ্যার চেয়ে বেশি শেয়ার দেখানো হয়। টেন্ডার নোটিশের ১৯ (ডি, ই ও এফ) নম্বর শর্তানুযায়ী ১০ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা ও টার্নওভার সংক্রান্ত যে কাগজপত্র জমা দেয়া হয় তাও জালিয়াতির মাধ্যমে সৃজন করা বলে দুদকের অভিযোগ।

বুধবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২০ মাঘ ১৪২৭, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪২

চবিতে ভবন নির্মাণে অনিয়ম

শামীমকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ

চট্টগ্রাম ব্যুরো

জালিয়াতির মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ একাডেমিক ভবন নির্মাণের কাজ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় কথিত যুবলীগ নেতা মো. গোলাম কিবরিয়া শামীমকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন একটি আদালত। গতকাল চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল হোসেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবীর করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দিয়েছেন। এদিন কড়া নিরাপত্তায় কারাগার থেকে শামীমকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল।

অভিযুক্ত মো. গোলাম কিবরিয়া শামীম যিনি জিকে শামীম নামে পরিচিত, তাকে সরকারের দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের আওতায় ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর গ্রেপ্তার করা হয়। নিজেকে যুবলীগের কেন্দ্রীয় সমবায় সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দেয়া জিকে শামীম ঢাকার জিকেবি অ্যান্ড েেকাম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

মামলায় অভিযুক্ত অন্যজন হলেন- দি বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল করিম চৌধুরী। ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর দুদক সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক ফখরুল ইসলাম বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ একাডেমিক ভবনের (দ্বিতীয় কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ ভবন) দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মাণ কাজের জন্য ২০১৬ সালের ২৮ আগস্ট দরপত্র আহ্বান করা হয়। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে দি বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্সকে (জিকেবিএল) ৭৫ কোটি এক লাখ ২৯৫ টাকার কার্যাদেশ দেয়া হয়। ওই বছরের ১৪ নভেম্বর চুক্তি হয়। দরপত্রের সঙ্গে শর্ত অনুযায়ী ওই প্রতিষ্ঠান আগের পাঁচ বছরে কমপক্ষে একটি ৩৫ কোটি টাকার বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ সন্তোষজনকভাবে সমাপ্তির সনদপত্র জমা দেয়। আগের পাঁচবছরে গড়ে কমপক্ষে ৪১ কোটি টাকার টার্নওভার এবং ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকার লিকুইড অ্যাসেট সংক্রান্ত কাগজপত্রও জমা দেয়া হয়। অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দুদকের অভিযোগ- জিকে শামীম ও ফজলুল করিম প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে কোম্পানির প্রকৃত নিবন্ধিত নামের সঙ্গে একক মালিকানাধীন ফার্মের নাম সংযুক্ত করে নিবন্ধনের সনদ জমা দেন। কিন্তু এক্ষেত্রে কোন চুক্তির কাগজপত্র জমা দেননি। এছাড়া নিবন্ধিত প্রকৃত শেয়ার সংখ্যার চেয়ে বেশি শেয়ার দেখানো হয়। টেন্ডার নোটিশের ১৯ (ডি, ই ও এফ) নম্বর শর্তানুযায়ী ১০ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা ও টার্নওভার সংক্রান্ত যে কাগজপত্র জমা দেয়া হয় তাও জালিয়াতির মাধ্যমে সৃজন করা বলে দুদকের অভিযোগ।