মামলা করা হলো সু চির বিরুদ্ধে

গৃহবন্দী অং সান সু চির বিরুদ্ধে এবার বেশ কয়েকটা মামলা হয়েছে। পুলিশের তথ্যের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে মামলাগুলো হয়েছে আমদানি-রপ্তানি বিষয়ক আইনের অধীনে এবং অবৈধ যোগাযোগ প্রযুক্তি রাখার অভিযোগে।

মামলা হয়েছে তার সরকারের রাষ্ট্রপতি উইন মিন্তের বিরুদ্ধেও। তার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে করোনার সময়ে সমাবেশ বন্ধের আইন ভঙ্গের অভিযোগে। তিনিও গৃহবন্দী অবস্থায় আছেন। সু চির বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি অবৈধ ওয়াকিটকি ব্যবহার করেছিলেন। আর মিন্তের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে সেদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত আইনের অধীনে। করোনার সময়ে অবশ্য পালনীয় বিধিমালা লঙ্ঘন করে ২২০ গাড়ির বহর নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়ার অভিযোগে।

এই দুইজনসহ সু চির দলের আরও শতাধিক নেতাকর্মীকে সোমবার সকালে ক্ষমতা দখলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়ার আগেই গ্রেপ্তার করে মায়ানমারের সেনাবাহিনী। এরপর সু চির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর তাকে গৃহবন্দী করার খবর জানানো হয়। মামলার কাগজপত্র অনুযায়ী, সু চিকে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। দুই সপ্তাহ রিমান্ড দেয়া হয়েছে তার প্রেসিডেন্টকেও। সামরিক বাহিনীর প্রধান মিন অং হ্লেইং ক্ষমতা দখলের পর আগামী এক বছরের জন্য বলবৎ জরুরি অবস্থায় সরকার পরিচালনায় ১১ সদস্য বিশিষ্ট সামরিক পর্ষদ গঠন করা হয়েছে। সর্বশেষ নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে ক্ষমতা দখলের প্রেক্ষাপট রচনা করে সেনাবাহিনী। এর আগে ২০১১ পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত বছর দেশটি সামরিক শাসনের অধীনে ছিল।

গণতন্ত্রে উত্তরণের পথে বিপুলভাবে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করেছিল সু চির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। সর্বশেষ নির্বাচনেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় ছিল। কিন্তু নবনির্বাচিত সরকারের অভিষেকের আগ মুহূর্তটিকেই ক্ষমতা দখলের জন্য বেছে নেয় সে দেশের সেনাবাহিনী।

বৃহস্পতিবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২১ মাঘ ১৪২৭, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪২

মামলা করা হলো সু চির বিরুদ্ধে

সংবাদ ডেস্ক

image

গৃহবন্দী অং সান সু চির বিরুদ্ধে এবার বেশ কয়েকটা মামলা হয়েছে। পুলিশের তথ্যের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে মামলাগুলো হয়েছে আমদানি-রপ্তানি বিষয়ক আইনের অধীনে এবং অবৈধ যোগাযোগ প্রযুক্তি রাখার অভিযোগে।

মামলা হয়েছে তার সরকারের রাষ্ট্রপতি উইন মিন্তের বিরুদ্ধেও। তার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে করোনার সময়ে সমাবেশ বন্ধের আইন ভঙ্গের অভিযোগে। তিনিও গৃহবন্দী অবস্থায় আছেন। সু চির বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি অবৈধ ওয়াকিটকি ব্যবহার করেছিলেন। আর মিন্তের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে সেদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত আইনের অধীনে। করোনার সময়ে অবশ্য পালনীয় বিধিমালা লঙ্ঘন করে ২২০ গাড়ির বহর নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়ার অভিযোগে।

এই দুইজনসহ সু চির দলের আরও শতাধিক নেতাকর্মীকে সোমবার সকালে ক্ষমতা দখলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়ার আগেই গ্রেপ্তার করে মায়ানমারের সেনাবাহিনী। এরপর সু চির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর তাকে গৃহবন্দী করার খবর জানানো হয়। মামলার কাগজপত্র অনুযায়ী, সু চিকে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। দুই সপ্তাহ রিমান্ড দেয়া হয়েছে তার প্রেসিডেন্টকেও। সামরিক বাহিনীর প্রধান মিন অং হ্লেইং ক্ষমতা দখলের পর আগামী এক বছরের জন্য বলবৎ জরুরি অবস্থায় সরকার পরিচালনায় ১১ সদস্য বিশিষ্ট সামরিক পর্ষদ গঠন করা হয়েছে। সর্বশেষ নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে ক্ষমতা দখলের প্রেক্ষাপট রচনা করে সেনাবাহিনী। এর আগে ২০১১ পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত বছর দেশটি সামরিক শাসনের অধীনে ছিল।

গণতন্ত্রে উত্তরণের পথে বিপুলভাবে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করেছিল সু চির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। সর্বশেষ নির্বাচনেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় ছিল। কিন্তু নবনির্বাচিত সরকারের অভিষেকের আগ মুহূর্তটিকেই ক্ষমতা দখলের জন্য বেছে নেয় সে দেশের সেনাবাহিনী।