ঝিনাইগাতীতে হাত ধোয়ার বেসিন পরিত্যক্ত

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে ঝিনাইগাতীর কয়েকটি স্থানে হাত ধোয়ার জন্য নির্মিত ‘বেসিন’ অবহেলায় এখন পরিত্যক্ত রয়েছে। উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর নির্মিত এসব হাত দোয়ার বেসিন নোংরা, আবর্জনার স্তূপ, ধুলো-বালিতে মাখামাখি হয়ে ব্যবহার অযোগ্য অবস্থায় পড়ে আছে। মাঝখানে কয়েক মাস করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিম্নমুখী হওয়ায় এসব বেসিন ব্যবহারে কেউ গুরুত্ব দেয়নি। করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার রেকর্ড অতিক্রম করলেও এসব বেসিন পরিষ্কার কিংবা ব্যবহার উপযোগী করার ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা শহরের থানা মোড় এলাকায়, মডেল পাইলট স্কুলের সামনেসহ বেসিন নির্মাণ করেছে ঝিনাইগাতী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। স্থানীয়রা জানান, নির্মাণের কিছুদিন এগুলো সচল থাকলেও এখন বেসিনগুলো অকেজো হয়ে পড়েছে, যার ফলে পথচারীরা এগুলো ব্যবহার করতে পারছে না। সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যায় করে নির্মিত বেসিনগুলো দ্রুত সংস্কার করে জনসাধারণের ব্যবহার উপযোগী করার দাবি করছেন তারা। এগুলো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ঝিনাইগাতী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের। বাজার ব্যবসায়ী ইজমাউল হক বলেন, ‘গতবছর করোনাকালীন সময় তাড়াহুড়ো করে বেসিনগুলো নির্মাণ করে কেউ এটার দেখভাল করেনি। কিছুদিন চলার পর হঠাৎ অচল হয়ে যায়। সাবান, পানি কোন কিছুরই ব্যবস্থা ছিল না।’ ঝিনাইগাতী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাধা বল্লভ বলেন, ‘আমরা ইউনিসেফ থেকে যে পরিমাণ সাবান পেয়েছি তা সব বেসিনেই দিয়েছি। কিন্তু পরেরদিন আর সাবান পাওয়া যায়নি।’ বেসিনগুলোর পরিচর্যার ব্যাপারে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। গতবছর জরুরি ভিত্তিতে কয়েকটি বেসিন নির্মাণ করা হয়। করোনা পরবর্তী সময় এগুলো আর পরিচর্যা করা হয়নি। ‘নির্মাণের সময় যে স্থানে বেসিনগুলো নির্মাণ করা হয়েছে সেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহ করবে বলে তারা প্রস্তাব রেখেছিল। কিন্তু কেউ প্রতিশ্রুতি রাখেনি।’ যেহেতু আবার কোভিড-১৯ দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়েছে তাই বেসিনগুলো পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করার প্রয়োজনীয়তার জন্য নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে পত্র দেয়া হয়েছে। পত্রের উত্তর পেলে বেসিনগুলো সচলের উদ্যোগ নেয়া হবে।

শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল ২০২১ , ১০ বৈশাখ ১৪২৮ ১০ রমজান ১৪৪২

ঝিনাইগাতীতে হাত ধোয়ার বেসিন পরিত্যক্ত

প্রতিনিধি, ঝিনাইগাতী (শেরপুর)

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে ঝিনাইগাতীর কয়েকটি স্থানে হাত ধোয়ার জন্য নির্মিত ‘বেসিন’ অবহেলায় এখন পরিত্যক্ত রয়েছে। উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর নির্মিত এসব হাত দোয়ার বেসিন নোংরা, আবর্জনার স্তূপ, ধুলো-বালিতে মাখামাখি হয়ে ব্যবহার অযোগ্য অবস্থায় পড়ে আছে। মাঝখানে কয়েক মাস করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিম্নমুখী হওয়ায় এসব বেসিন ব্যবহারে কেউ গুরুত্ব দেয়নি। করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার রেকর্ড অতিক্রম করলেও এসব বেসিন পরিষ্কার কিংবা ব্যবহার উপযোগী করার ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা শহরের থানা মোড় এলাকায়, মডেল পাইলট স্কুলের সামনেসহ বেসিন নির্মাণ করেছে ঝিনাইগাতী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। স্থানীয়রা জানান, নির্মাণের কিছুদিন এগুলো সচল থাকলেও এখন বেসিনগুলো অকেজো হয়ে পড়েছে, যার ফলে পথচারীরা এগুলো ব্যবহার করতে পারছে না। সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যায় করে নির্মিত বেসিনগুলো দ্রুত সংস্কার করে জনসাধারণের ব্যবহার উপযোগী করার দাবি করছেন তারা। এগুলো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ঝিনাইগাতী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের। বাজার ব্যবসায়ী ইজমাউল হক বলেন, ‘গতবছর করোনাকালীন সময় তাড়াহুড়ো করে বেসিনগুলো নির্মাণ করে কেউ এটার দেখভাল করেনি। কিছুদিন চলার পর হঠাৎ অচল হয়ে যায়। সাবান, পানি কোন কিছুরই ব্যবস্থা ছিল না।’ ঝিনাইগাতী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাধা বল্লভ বলেন, ‘আমরা ইউনিসেফ থেকে যে পরিমাণ সাবান পেয়েছি তা সব বেসিনেই দিয়েছি। কিন্তু পরেরদিন আর সাবান পাওয়া যায়নি।’ বেসিনগুলোর পরিচর্যার ব্যাপারে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। গতবছর জরুরি ভিত্তিতে কয়েকটি বেসিন নির্মাণ করা হয়। করোনা পরবর্তী সময় এগুলো আর পরিচর্যা করা হয়নি। ‘নির্মাণের সময় যে স্থানে বেসিনগুলো নির্মাণ করা হয়েছে সেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহ করবে বলে তারা প্রস্তাব রেখেছিল। কিন্তু কেউ প্রতিশ্রুতি রাখেনি।’ যেহেতু আবার কোভিড-১৯ দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়েছে তাই বেসিনগুলো পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করার প্রয়োজনীয়তার জন্য নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে পত্র দেয়া হয়েছে। পত্রের উত্তর পেলে বেসিনগুলো সচলের উদ্যোগ নেয়া হবে।