বিকল্প সন্ধানে চীনের আঞ্চলিক টিকা উদ্যোগে যোগ দিচ্ছে বাংলাদেশ

রাশিয়ার সঙ্গে টিকা উৎপাদন চুক্তি

করোনাভাইরাসের টিকার সংকট মোকাবিলায় চীনের উদ্যোগে ছয় দেশের নতুন একটি আঞ্চলিক মঞ্চে যোগ দিচ্ছে বাংলাদেশ। ‘ইমার্জেন্সি ভ্যাকসিন স্টোরেজ ফ্যাসিলিটি ফর কোভিড ফর সাউথ এশিয়া’ নামের এই উদ্যোগে চীন এবং বাংলাদেশ ছাড়া যুক্ত হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার আরও চারটি দেশ আফগানিস্তান, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা।

আর রাশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে কোভিডের টিকা উৎপাদনের জন্যও চুক্তি সই করেছে সরকার। সেখান থেকে বাণিজ্যিকভাবেও টিকা কিনবে বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন গতকাল সংবাদমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।

‘এখন আমরা চীনের সঙ্গে সম্পর্ক করেছি। চীন আমাদের ভ্যাকসিন দেবে। এ ভ্যাকসিন তারা খুব শীঘ্রই দেবে’ বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

শুরুতেই চীন উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে ছয় লাখ ডোজ টিকা দেবে বলেও জানান তিনি। এজন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে, যার খসড়াও তৈরি হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, চীনের সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচ দেশের যে সমঝোতা তাতে ‘যখন যার দরকার হবে, ওই ফ্যাসিলিটি থেকে তারা টিকা সংগ্রহ’ করতে পারবে। ‘এটাকে বলছি সাউথ এশিয়া কো-অপারেশন (পারস্পরিক সহযোগিতা),’ বলেন মোমেন।

রাশিয়ার সঙ্গেও সমঝোতা

টিকা উৎপাদনের জন্য তাদের প্রযুক্তি বাংলাদেশকে দেবে রাশিয়া। এ বিষয়ে একটি চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে টিকা তৈরির এই প্রযুক্তিটি অন্য কোথাও দেয়া যাবে না এই শর্তে সমঝোতা হয়েছে। বাংলাদেশে উৎপাদিত টিকা অন্য দেশে রপ্তানি করা যাবে, বাংলাদেশের এই প্রস্তাবে রাশিয়া রাজি হয়েছে বলেও জানান মোমেন।

বাংলাদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী কোন প্রতিষ্ঠানকে এই প্রযুক্তি দেয়ার কথা বলছে রাশিয়া। আর এই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে দুই থেকে তিন মাস সময় লাগতে পারে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

‘বাংলাদেশের যে চাহিদা, সেটা তারা (রাশিয়া) পূরণ করতে পারবে না। এজন্য তারা টিকার ফর্মুলা দিতে রাজি হয়েছে। তারা জানিয়েছে, যৌথভাবে টিকা উৎপাদন হতে পারে। তবে বাংলাদেশকে একটা কাজ করতে হবে। টিকার ফর্মুলা গোপন রাখা হবে, এটা কাউকে জানানো হবে না, এই শর্তে আমরা চুক্তি সই করেছি,’ জানান মোমেন।

এই চুক্তিটি সম্প্রতি স্বাক্ষরিত হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের আনুষ্ঠানিক দলিলে সই করেছি। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে যৌথ উৎপাদনের বিষয়ে চুক্তিটা হয়েছে।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশে টিকা উৎপাদনে সক্ষম এমন একাধিক প্রতিষ্ঠানের নামের তালিকা রাশিয়াকে দেয়া হয়েছে। রাশিয়া এক বা একাধিক প্রতিষ্ঠানকে এ ফর্মুলা দিতে পারে।

মোমেন জাজান, রাশিয়া থেকে বাণিজ্যিকভাবেও টিকা কেনা হবে। ‘রাশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে টিকা উৎপাদনের জন্য তো সময় লাগবে। জরুরি ভিত্তিতে যে টিকা লাগবে, সেটা তাদের কাছ থেকে কেনা হবে,’ বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ভারত থেকে টিকা প্রাপ্তিতে অনিশ্চয়তা

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে মজুদ এক কোটি দুই লাখ ডোজ টিকার মধ্যে গতকাল পর্যন্ত ৭৭ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬১ ডোজ মানুষকে দেয়া হয়েছে। সময়মত টিকার নতুন চালান না পেলে টিকাদান কর্মসূচি সমস্যায় পড়বে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজেই এর আগে জানিয়েছেন।

গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকার স্থানীয় এজেন্ট বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মাধ্যমে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ কোভিশিল্ড টিকা কেনার চুক্তি করে। চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশকে প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে টিকা দেয়ার কথা।

সে হিসাবে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে দেড় কোটি ডোজ টিকা আসার কথা থাকলেও সেরাম ইনস্টিটিউট দুই চালানে ৭০ লাখ ডোজ পাঠাতে পেরেছে। আর ভারত সরকার উপহার হিসেবে আরও ৩২ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছে। তবে ভারত অভ্যন্তরীণ চাহিদা আগে মেটানোর সিদ্ধান্ত নেয়ায় মার্চ থেকে টিকা রপ্তানি আটকে আছে। ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সাম্প্রতিক সময়ে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে চুক্তি অনুযায়ী সময়মতো টিকা দেয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

সেরামের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আদর পুনাওয়ালা গত বুধবার ভারতের সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আগামী জুন-জুলাইয়ের আগে করোনার টিকা রপ্তানির বিষয়ে ‘কোন নিশ্চয়তা নেই’।

পুনাওয়ালা বলেন, ‘বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে মাস দু-একের মতো আমাদের টিকা রপ্তানির দিকে নজর দেয়া ঠিক হবে না। এই মুহূর্তে আমরা দেশের চাহিদাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।‘ তিনি বলেন ‘আগামী জুলাই পর্যন্ত এই অবস্থা’ চলতে পারে।

তবে বাংলাদেশে করোনার টিকার কার্যক্রম যেন চলমান থাকে, সেজন্য ভারত ‘কাজ করে যাচ্ছে’ বলে বলছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দ্বোরাইস্বামী।

‘সরবরাহের তুলনায় চাহিদা অনেক বেশি। সবাই মিলে টিকার প্রাপ্যতা ও সরবরাহ বাড়াতে কাজ করছে। বাংলাদেশে করোনার টিকার কার্যক্রম যেন চলমান থাকে, সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউটা অনেক বড়। ভারতের অবস্থাও দিন দিন কঠিন হচ্ছে। আমরা সবাই একত্রে কাজ করছি। সবাই মিলে এই পরিস্থিতি থেকে বের হতে পারব,’ বলেন দ্বোরাইস্বামী।

নিজ দেশে চার দিনের ছুটি কাটিয়ে গতকাল সকালে বাংলাদেশে আসার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেমশন চেকপোস্টে সাংবাদিকদের এ কথা জানান দ্বোরাইস্বামী।

শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল ২০২১ , ১০ বৈশাখ ১৪২৮ ১০ রমজান ১৪৪২

বিকল্প সন্ধানে চীনের আঞ্চলিক টিকা উদ্যোগে যোগ দিচ্ছে বাংলাদেশ

রাশিয়ার সঙ্গে টিকা উৎপাদন চুক্তি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

করোনাভাইরাসের টিকার সংকট মোকাবিলায় চীনের উদ্যোগে ছয় দেশের নতুন একটি আঞ্চলিক মঞ্চে যোগ দিচ্ছে বাংলাদেশ। ‘ইমার্জেন্সি ভ্যাকসিন স্টোরেজ ফ্যাসিলিটি ফর কোভিড ফর সাউথ এশিয়া’ নামের এই উদ্যোগে চীন এবং বাংলাদেশ ছাড়া যুক্ত হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার আরও চারটি দেশ আফগানিস্তান, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা।

আর রাশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে কোভিডের টিকা উৎপাদনের জন্যও চুক্তি সই করেছে সরকার। সেখান থেকে বাণিজ্যিকভাবেও টিকা কিনবে বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন গতকাল সংবাদমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।

‘এখন আমরা চীনের সঙ্গে সম্পর্ক করেছি। চীন আমাদের ভ্যাকসিন দেবে। এ ভ্যাকসিন তারা খুব শীঘ্রই দেবে’ বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

শুরুতেই চীন উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে ছয় লাখ ডোজ টিকা দেবে বলেও জানান তিনি। এজন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে, যার খসড়াও তৈরি হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, চীনের সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচ দেশের যে সমঝোতা তাতে ‘যখন যার দরকার হবে, ওই ফ্যাসিলিটি থেকে তারা টিকা সংগ্রহ’ করতে পারবে। ‘এটাকে বলছি সাউথ এশিয়া কো-অপারেশন (পারস্পরিক সহযোগিতা),’ বলেন মোমেন।

রাশিয়ার সঙ্গেও সমঝোতা

টিকা উৎপাদনের জন্য তাদের প্রযুক্তি বাংলাদেশকে দেবে রাশিয়া। এ বিষয়ে একটি চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে টিকা তৈরির এই প্রযুক্তিটি অন্য কোথাও দেয়া যাবে না এই শর্তে সমঝোতা হয়েছে। বাংলাদেশে উৎপাদিত টিকা অন্য দেশে রপ্তানি করা যাবে, বাংলাদেশের এই প্রস্তাবে রাশিয়া রাজি হয়েছে বলেও জানান মোমেন।

বাংলাদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী কোন প্রতিষ্ঠানকে এই প্রযুক্তি দেয়ার কথা বলছে রাশিয়া। আর এই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে দুই থেকে তিন মাস সময় লাগতে পারে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

‘বাংলাদেশের যে চাহিদা, সেটা তারা (রাশিয়া) পূরণ করতে পারবে না। এজন্য তারা টিকার ফর্মুলা দিতে রাজি হয়েছে। তারা জানিয়েছে, যৌথভাবে টিকা উৎপাদন হতে পারে। তবে বাংলাদেশকে একটা কাজ করতে হবে। টিকার ফর্মুলা গোপন রাখা হবে, এটা কাউকে জানানো হবে না, এই শর্তে আমরা চুক্তি সই করেছি,’ জানান মোমেন।

এই চুক্তিটি সম্প্রতি স্বাক্ষরিত হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের আনুষ্ঠানিক দলিলে সই করেছি। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে যৌথ উৎপাদনের বিষয়ে চুক্তিটা হয়েছে।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশে টিকা উৎপাদনে সক্ষম এমন একাধিক প্রতিষ্ঠানের নামের তালিকা রাশিয়াকে দেয়া হয়েছে। রাশিয়া এক বা একাধিক প্রতিষ্ঠানকে এ ফর্মুলা দিতে পারে।

মোমেন জাজান, রাশিয়া থেকে বাণিজ্যিকভাবেও টিকা কেনা হবে। ‘রাশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে টিকা উৎপাদনের জন্য তো সময় লাগবে। জরুরি ভিত্তিতে যে টিকা লাগবে, সেটা তাদের কাছ থেকে কেনা হবে,’ বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ভারত থেকে টিকা প্রাপ্তিতে অনিশ্চয়তা

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে মজুদ এক কোটি দুই লাখ ডোজ টিকার মধ্যে গতকাল পর্যন্ত ৭৭ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬১ ডোজ মানুষকে দেয়া হয়েছে। সময়মত টিকার নতুন চালান না পেলে টিকাদান কর্মসূচি সমস্যায় পড়বে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজেই এর আগে জানিয়েছেন।

গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকার স্থানীয় এজেন্ট বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মাধ্যমে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ কোভিশিল্ড টিকা কেনার চুক্তি করে। চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশকে প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে টিকা দেয়ার কথা।

সে হিসাবে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে দেড় কোটি ডোজ টিকা আসার কথা থাকলেও সেরাম ইনস্টিটিউট দুই চালানে ৭০ লাখ ডোজ পাঠাতে পেরেছে। আর ভারত সরকার উপহার হিসেবে আরও ৩২ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছে। তবে ভারত অভ্যন্তরীণ চাহিদা আগে মেটানোর সিদ্ধান্ত নেয়ায় মার্চ থেকে টিকা রপ্তানি আটকে আছে। ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সাম্প্রতিক সময়ে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে চুক্তি অনুযায়ী সময়মতো টিকা দেয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

সেরামের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আদর পুনাওয়ালা গত বুধবার ভারতের সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আগামী জুন-জুলাইয়ের আগে করোনার টিকা রপ্তানির বিষয়ে ‘কোন নিশ্চয়তা নেই’।

পুনাওয়ালা বলেন, ‘বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে মাস দু-একের মতো আমাদের টিকা রপ্তানির দিকে নজর দেয়া ঠিক হবে না। এই মুহূর্তে আমরা দেশের চাহিদাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।‘ তিনি বলেন ‘আগামী জুলাই পর্যন্ত এই অবস্থা’ চলতে পারে।

তবে বাংলাদেশে করোনার টিকার কার্যক্রম যেন চলমান থাকে, সেজন্য ভারত ‘কাজ করে যাচ্ছে’ বলে বলছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দ্বোরাইস্বামী।

‘সরবরাহের তুলনায় চাহিদা অনেক বেশি। সবাই মিলে টিকার প্রাপ্যতা ও সরবরাহ বাড়াতে কাজ করছে। বাংলাদেশে করোনার টিকার কার্যক্রম যেন চলমান থাকে, সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউটা অনেক বড়। ভারতের অবস্থাও দিন দিন কঠিন হচ্ছে। আমরা সবাই একত্রে কাজ করছি। সবাই মিলে এই পরিস্থিতি থেকে বের হতে পারব,’ বলেন দ্বোরাইস্বামী।

নিজ দেশে চার দিনের ছুটি কাটিয়ে গতকাল সকালে বাংলাদেশে আসার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেমশন চেকপোস্টে সাংবাদিকদের এ কথা জানান দ্বোরাইস্বামী।