করোনার তৃতীয় ঢেউ যেন আসতে না পারে সতর্ক থাকতে হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ যাতে দেশে চলে আসতে না পারে সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘করোনার ১ম ঢেউ আমরা সফলভাবে সামলে নিয়েছিলাম। মানুষের স্বাস্থ্যবিধিতে ব্যাপক অনীহা ও অবহেলার কারণে দেশে করোনার ২য় ঢেউ এসেছে। এখন ২য় ঢেউ কিছুটা কমে যাচ্ছে। তবে ১ম ঢেউয়ের পর যেভাবে মানুষ স্বাস্থ্যবিধির প্রতি উদাসীন হয়েছিল সেই ঘটনা আবার ঘটতে দিলে খুব দ্রুতই দেশে ৩য় ঢেউ চলে আসতে পারে।’

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৫০ বছর পূর্তির সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতে করোনার ভয়াবহ অবস্থা হয়েছে। ভারত থেকে এই ভাইরাস আমাদের দেশেও চলে আসতে পারে। এ কারণে আগামীতে স্বাস্থ্য খাতের সব পর্যায়ের কর্মীদের সতর্কতার সঙ্গে সেবা প্রদান অব্যাহত রাখতে হবে।

তিনি বলেন, মানুষ যুদ্ধ করার জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। কিন্তু মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য মানুষ খুব বেশি ভাবে নি এবং স্বাস্থ্য খাতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ করতে তেমন কোন পরিকল্পনাও নেয়নি। এবারের করোনা মহামারীতে বিশ্ব বুঝতে পেরেছে স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ কতটা জরুরি।

জাহিদ মালেক বলেন, করোনা দেখিয়ে দিচ্ছে স্বাস্থ্য-সুরক্ষা ছাড়া এ পৃথিবীতে মানুষ বেশিদিন বাঁচতে পারবে না। আমাদের দেশেও স্বাস্থ্যসেবা খাতে বাজেট অনেক কম। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতেই হবে। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বৃদ্ধিসহ বিনিয়োগও বৃদ্ধি করতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য-শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কমিউনিটি ক্লিনিকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সেনাল এবং মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজও বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

সোমবার, ০৩ মে ২০২১ , ২১ বৈশাখ ১৪২৮ ২১ রমজান ১৪৪২

করোনার তৃতীয় ঢেউ যেন আসতে না পারে সতর্ক থাকতে হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ যাতে দেশে চলে আসতে না পারে সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘করোনার ১ম ঢেউ আমরা সফলভাবে সামলে নিয়েছিলাম। মানুষের স্বাস্থ্যবিধিতে ব্যাপক অনীহা ও অবহেলার কারণে দেশে করোনার ২য় ঢেউ এসেছে। এখন ২য় ঢেউ কিছুটা কমে যাচ্ছে। তবে ১ম ঢেউয়ের পর যেভাবে মানুষ স্বাস্থ্যবিধির প্রতি উদাসীন হয়েছিল সেই ঘটনা আবার ঘটতে দিলে খুব দ্রুতই দেশে ৩য় ঢেউ চলে আসতে পারে।’

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৫০ বছর পূর্তির সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতে করোনার ভয়াবহ অবস্থা হয়েছে। ভারত থেকে এই ভাইরাস আমাদের দেশেও চলে আসতে পারে। এ কারণে আগামীতে স্বাস্থ্য খাতের সব পর্যায়ের কর্মীদের সতর্কতার সঙ্গে সেবা প্রদান অব্যাহত রাখতে হবে।

তিনি বলেন, মানুষ যুদ্ধ করার জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। কিন্তু মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য মানুষ খুব বেশি ভাবে নি এবং স্বাস্থ্য খাতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ করতে তেমন কোন পরিকল্পনাও নেয়নি। এবারের করোনা মহামারীতে বিশ্ব বুঝতে পেরেছে স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ কতটা জরুরি।

জাহিদ মালেক বলেন, করোনা দেখিয়ে দিচ্ছে স্বাস্থ্য-সুরক্ষা ছাড়া এ পৃথিবীতে মানুষ বেশিদিন বাঁচতে পারবে না। আমাদের দেশেও স্বাস্থ্যসেবা খাতে বাজেট অনেক কম। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতেই হবে। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বৃদ্ধিসহ বিনিয়োগও বৃদ্ধি করতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য-শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কমিউনিটি ক্লিনিকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সেনাল এবং মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজও বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।