ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ-মৃত্যু

জুনের মাঝামাঝি বড় ধাক্কার আশঙ্কা

সতর্ক করলেন স্বাস্থ্যবিদরা স্বাস্থ্যবিধি না মানলে এটা বাড়বেই

দেশে ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। মৃত্যুও বাড়ছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হারও ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। জুনের মাঝামাঝি বা শেষের দিকে করোনা সংক্রমণের আরেকটি ‘বড়’ ধাক্কা আসতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা। তারা বলেন, করোনা পুরোপুরি নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত, এটি কখনও বাড়বে, কখনও কমবে। অর্থাৎ সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।

টানা চারদিন দৈনিক শনাক্ত হাজারের নিচে থাকলেও ১৮ মে হাজার ছাড়িয়ে তা ১৩শ’র কাছাকাছি ওঠে। আর গতকাল শনাক্তের সংখ্যা এক হাজার ৬শ’ ছাড়িয়ে গেছে। এক সপ্তাহ পর গত একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক করোনা রোগীর মৃত্যুও হয়েছে।

আইইডিসিআরের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, সংক্রমণ পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রোগীর সংখ্যা, মৃত্যু ও শনাক্তের হার কিছুটা বাড়লেও তা উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে নেই। এরপরও দেশের সার্বিক করোনা পরিস্থিতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

ঈদের পর কয়েকদিন করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে করোনা নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গঠিত ‘টেকনিক্যাল কমিটি’র সদস্য ও জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. আবু জামিল ফয়সাল সংবাদকে বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি না মানলে, মানুষ গণহারে যাওয়া-আসা করলে, মাস্ক না পরলে, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না থাকলে- এটি বাড়বেই।’

ঈদের ছুটিতে লাখ লাখ মানুষ নিজেদের মতো করে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছে, ঈদ শেষে একইভাবে আবার রাজধানীতে ফিরেছে- উল্লেখ করে ডা. আবু জামিল ফয়সাল বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ বাড়বে-এটাই স্বাভাবিক। আমাদের আশঙ্কা, আগামী মাসে অর্থাৎ জুনের মাঝামাঝি সময়ে বা জুনের শেষের দিকে আবার বড় আকারে সংক্রমণ বাড়তে পারে।’

করোনা সংক্রমণ আবার বাড়লে তিনি সেটিকে তৃতীয় ঢেউ মনে করবেন না। এর ব্যাখ্যা দিয়ে ডা. আবু জামিল বলেন, ‘কারণ দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণের পর যেভাবে নিয়ন্ত্রণে আসার কথা সেটি হয়নি। কখনও কিছুটা বেড়েছে, কখনও কিছুটা কমেছে। একেবারে নিয়ন্ত্রণে আসেনি। অর্থাৎ পুরোপুরি নির্মূল হওয়ার আগ পর্যন্ত এই পরিস্থিতি চলতেই থাকবে।’

গতকাল বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে দেশে ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২ হাজার ২৪৮ জনে। গত একদিনে দেশে এক হাজার ৬০৮ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত করেছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এ নিয়ে করোনা রোগী শনাক্তের মোট সংখ্যা দাঁড়াল সাত লাখ ৮৩ হাজার ৭৩৭ জনে।

ঈদের ছুটির পর পুনরায় করোনা সংক্রমণ শনাক্ত, শনাক্তের হার ও মৃত্যু বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এএসএম আলমগীর গতকাল সংবাদকে বলেন, ‘খুব একটা বেড়েছে বা কমেছে সেটা বলা যাবে না। কারণ ঈদের ছুটিতে চারদিন নমুনা পরীক্ষা কম হয়েছে। এজন্য শনাক্ত কম ছিল। গত দু’দিনে নমুনা পরীক্ষা বেড়েছে; এ কারণে শনাক্তও বেড়েছে। সার্বিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে, বা স্থিতিশীল রয়েছে- বলা যায়।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গতকালের তথ্য অনুযায়ী, আগের ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৪৬৬টি পরীক্ষাগারে ২০ হাজার ৫২৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার ছিল ৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ। শনাক্তের এই হার গত ছয়দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬২ শতাংশ।

এর আগে ১৮ মে ১৬ হাজার ৮৫৫টি নমুনা পরীক্ষায় এক হাজার ২৭২ জনের করোনা শনাক্ত হয়, নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে শনাক্তের হার ছিল ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ। ওইদিন করোনায় ৩০ জনের মৃত্যু হয়। ১৭ মে দশ হাজার ৩৪৭টি নমুনা পরীক্ষায় ৬৯৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়, শনাক্তের হার ছিল ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং মৃত্যু হয়েছিল ৩২ জনের।

১৬ মে পাঁচ হাজার ৪৩০টি নমুনা পরীক্ষায় ৩৬৩ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয় এবং শনাক্তের হার ছিল ৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ। ওইদিন ২৫ জনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

১৫ মে তিন হাজার ৭৫৮টি নমুনা পরীক্ষায় ২৬১ জনের করোনা শনাক্ত হয়, ওইদিন মৃত্যু হয় ২২ জনের। আর শনাক্তের হার ছিল ৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

১৪ মে সাত হাজার ৮৩৫টি নমুনা পরীক্ষায় ৮৪৮ জনের সংক্রমণ শনাক্ত এবং ২৬ জনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ওইদিন শনাক্তের হার ছিল ১০ দশমিক ৮২ শতাংশ।

১৩ মে ১৩ হাজার ৪৭১টি নমুনা পরীক্ষায় এক হাজার ২৯০ জনের করোনা শনাক্ত এবং ৩১ জনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়। ওইদিন শনাক্তের হার ছিল ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

১২ মে ১৫ হাজার ২৯৬টি নমুনা পরীক্ষায় এক হাজার ১৪০ জনের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত এবং ৪০ জনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ওইদিন শনাক্তের হার ছিল ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত একদিনে বাসাবাড়ি ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক হাজার ৯২৩ জন সুস্থ হয়েছেন। এতে মোট সুস্থ করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় সাত লাখ ২৬ হাজার ১৩২ জন।

গত একদিনে মারা যাওয়া ৩৭ জনের মধ্যে পুরুষ ২৪ জন এবং নারী ১৩ জন। আর মোট মারা যাওয়া ১২ হাজার ২১১ জনের মধ্যে পুরুষ আট হাজার ৮৫৮ জন এবং নারী তিন হাজার ৩৯০ জন।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত একদিনে মৃত্যু হওয়া লোকজনের মধ্যে ২৪ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের সাত জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের দুই জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের তিন জন এবং ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী নাগরিক ছিলেন এক জন।

বিভাগভিত্তিক হিসেবে, গত একদিনে মারা যাওয়া ৩৭ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৬ জন, চট্টগ্রামে ১৫, খুলনায় দুইজন, সিলেটে দুইজন, রংপুরে একজন এবং ময়মনসিংহের বাসিন্দা ছিলেন একজন।

বৃহস্পতিবার, ২০ মে ২০২১ , ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ৭ শাওয়াল ১৪৪২

ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ-মৃত্যু

জুনের মাঝামাঝি বড় ধাক্কার আশঙ্কা

সতর্ক করলেন স্বাস্থ্যবিদরা স্বাস্থ্যবিধি না মানলে এটা বাড়বেই

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

বাড়ছে সংক্রমণ, হাসপাতালে আসছে রোগীরা। গতকাল ঢামেক হাসপাতাল থেকে তোলা -সংবাদ

দেশে ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। মৃত্যুও বাড়ছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হারও ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। জুনের মাঝামাঝি বা শেষের দিকে করোনা সংক্রমণের আরেকটি ‘বড়’ ধাক্কা আসতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা। তারা বলেন, করোনা পুরোপুরি নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত, এটি কখনও বাড়বে, কখনও কমবে। অর্থাৎ সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।

টানা চারদিন দৈনিক শনাক্ত হাজারের নিচে থাকলেও ১৮ মে হাজার ছাড়িয়ে তা ১৩শ’র কাছাকাছি ওঠে। আর গতকাল শনাক্তের সংখ্যা এক হাজার ৬শ’ ছাড়িয়ে গেছে। এক সপ্তাহ পর গত একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক করোনা রোগীর মৃত্যুও হয়েছে।

আইইডিসিআরের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, সংক্রমণ পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রোগীর সংখ্যা, মৃত্যু ও শনাক্তের হার কিছুটা বাড়লেও তা উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে নেই। এরপরও দেশের সার্বিক করোনা পরিস্থিতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

ঈদের পর কয়েকদিন করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে করোনা নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গঠিত ‘টেকনিক্যাল কমিটি’র সদস্য ও জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. আবু জামিল ফয়সাল সংবাদকে বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি না মানলে, মানুষ গণহারে যাওয়া-আসা করলে, মাস্ক না পরলে, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না থাকলে- এটি বাড়বেই।’

ঈদের ছুটিতে লাখ লাখ মানুষ নিজেদের মতো করে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছে, ঈদ শেষে একইভাবে আবার রাজধানীতে ফিরেছে- উল্লেখ করে ডা. আবু জামিল ফয়সাল বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ বাড়বে-এটাই স্বাভাবিক। আমাদের আশঙ্কা, আগামী মাসে অর্থাৎ জুনের মাঝামাঝি সময়ে বা জুনের শেষের দিকে আবার বড় আকারে সংক্রমণ বাড়তে পারে।’

করোনা সংক্রমণ আবার বাড়লে তিনি সেটিকে তৃতীয় ঢেউ মনে করবেন না। এর ব্যাখ্যা দিয়ে ডা. আবু জামিল বলেন, ‘কারণ দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণের পর যেভাবে নিয়ন্ত্রণে আসার কথা সেটি হয়নি। কখনও কিছুটা বেড়েছে, কখনও কিছুটা কমেছে। একেবারে নিয়ন্ত্রণে আসেনি। অর্থাৎ পুরোপুরি নির্মূল হওয়ার আগ পর্যন্ত এই পরিস্থিতি চলতেই থাকবে।’

গতকাল বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে দেশে ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২ হাজার ২৪৮ জনে। গত একদিনে দেশে এক হাজার ৬০৮ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত করেছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এ নিয়ে করোনা রোগী শনাক্তের মোট সংখ্যা দাঁড়াল সাত লাখ ৮৩ হাজার ৭৩৭ জনে।

ঈদের ছুটির পর পুনরায় করোনা সংক্রমণ শনাক্ত, শনাক্তের হার ও মৃত্যু বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এএসএম আলমগীর গতকাল সংবাদকে বলেন, ‘খুব একটা বেড়েছে বা কমেছে সেটা বলা যাবে না। কারণ ঈদের ছুটিতে চারদিন নমুনা পরীক্ষা কম হয়েছে। এজন্য শনাক্ত কম ছিল। গত দু’দিনে নমুনা পরীক্ষা বেড়েছে; এ কারণে শনাক্তও বেড়েছে। সার্বিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে, বা স্থিতিশীল রয়েছে- বলা যায়।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গতকালের তথ্য অনুযায়ী, আগের ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৪৬৬টি পরীক্ষাগারে ২০ হাজার ৫২৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার ছিল ৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ। শনাক্তের এই হার গত ছয়দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬২ শতাংশ।

এর আগে ১৮ মে ১৬ হাজার ৮৫৫টি নমুনা পরীক্ষায় এক হাজার ২৭২ জনের করোনা শনাক্ত হয়, নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে শনাক্তের হার ছিল ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ। ওইদিন করোনায় ৩০ জনের মৃত্যু হয়। ১৭ মে দশ হাজার ৩৪৭টি নমুনা পরীক্ষায় ৬৯৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়, শনাক্তের হার ছিল ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং মৃত্যু হয়েছিল ৩২ জনের।

১৬ মে পাঁচ হাজার ৪৩০টি নমুনা পরীক্ষায় ৩৬৩ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয় এবং শনাক্তের হার ছিল ৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ। ওইদিন ২৫ জনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

১৫ মে তিন হাজার ৭৫৮টি নমুনা পরীক্ষায় ২৬১ জনের করোনা শনাক্ত হয়, ওইদিন মৃত্যু হয় ২২ জনের। আর শনাক্তের হার ছিল ৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

১৪ মে সাত হাজার ৮৩৫টি নমুনা পরীক্ষায় ৮৪৮ জনের সংক্রমণ শনাক্ত এবং ২৬ জনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ওইদিন শনাক্তের হার ছিল ১০ দশমিক ৮২ শতাংশ।

১৩ মে ১৩ হাজার ৪৭১টি নমুনা পরীক্ষায় এক হাজার ২৯০ জনের করোনা শনাক্ত এবং ৩১ জনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়। ওইদিন শনাক্তের হার ছিল ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

১২ মে ১৫ হাজার ২৯৬টি নমুনা পরীক্ষায় এক হাজার ১৪০ জনের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত এবং ৪০ জনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ওইদিন শনাক্তের হার ছিল ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত একদিনে বাসাবাড়ি ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক হাজার ৯২৩ জন সুস্থ হয়েছেন। এতে মোট সুস্থ করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় সাত লাখ ২৬ হাজার ১৩২ জন।

গত একদিনে মারা যাওয়া ৩৭ জনের মধ্যে পুরুষ ২৪ জন এবং নারী ১৩ জন। আর মোট মারা যাওয়া ১২ হাজার ২১১ জনের মধ্যে পুরুষ আট হাজার ৮৫৮ জন এবং নারী তিন হাজার ৩৯০ জন।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত একদিনে মৃত্যু হওয়া লোকজনের মধ্যে ২৪ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের সাত জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের দুই জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের তিন জন এবং ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী নাগরিক ছিলেন এক জন।

বিভাগভিত্তিক হিসেবে, গত একদিনে মারা যাওয়া ৩৭ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৬ জন, চট্টগ্রামে ১৫, খুলনায় দুইজন, সিলেটে দুইজন, রংপুরে একজন এবং ময়মনসিংহের বাসিন্দা ছিলেন একজন।