দুর্ভোগ ও ভোগান্তির শেষ হচ্ছে না ঢাকামুখী যাত্রীদের

দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় দুর্ভোগ ও ভোগান্তি শেষ হচ্ছে না ঢাকামুখী যাত্রীদের। গতকালও ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশমুখে ছিল গ্রাম থেকে আসা মানুষের ভিড়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভেঙে ভেঙে ঢাকা প্রবেশ করতে দেখা গেছে তাদের। বাস না থাকায় গণপরিবহন সংকটে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে ঢাকার প্রবেশমুখে। অবশেষে কয়েকগুণ বেশি ভাড়ায় মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল ও সিএনজি অটোরিকশায় ঢাকায় প্রবেশ করতে হয়েছে বলে যাত্রীরা জানান। আগামী ২২ মে’র মধ্যে দূরপাল্লার বাস চালুর দাবি জানিয়েছেন পরিবহন সড়ক মালিক ও শ্রমিক নেতারা। গত মঙ্গলবার ৫ দফা দাবি আদায়ে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।

রংপুর থেকে ঢাকায় আসা আবু তালেব নামের এক যাত্রী বলেন, ‘এত কষ্ট করে জীবনে কোনদিন যাতায়াত করিনি। বাড়িতে বৃদ্ধ মা-বাবা থাকেন। যে কারণে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকা সত্ত্বেও ঈদে বাড়ি যেতে হয়েছিল। তখনও বেশ কষ্ট হয়েছিল, তবে ফেরার পথে কয়েকগুণ বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। জীবিকার তাগিদে ফিরতে হবে, তাই এমন কষ্ট করে ঢাকায় ফিরলাম। আমাদের মতো লাখ লাখ মানুষ এভাবে ভোগান্তির শিকার হয়ে ঢাকায় ফিরতে হয়েছে।’

তিনি জানান, মঙ্গলবার রংপুর থেকে বের হয়েছি। ভেঙে ভেঙে আমাদের আসতে হয়েছে। প্রথমে লোকাল বাসে রংপুর থেকে বগুড়া এসেছি। বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ থেকে টাঙ্গাইল। এরপর সিএনজিচালিত অটোরিকশা, আবার বাস, কিছু পথ হেঁটে এভাবেই কোলে ছোট্ট সন্তান, স্ত্রী আর ব্যাগ-ব্যাগেজ নিয়ে ঢাকায় আসলাম। ভোগান্তির শেষ নেই। এখন আমিনবাজার থেকে হেঁটে গাবতলীর ব্রিজ অতিক্রম করেছি। এরপর গাবতলী থেকে সিটি বাসে মোহাম্মদপুর বাসায় যাব।

এভাবে গতকাল সকাল থেকে রাজধানীর গাবতলীসংলগ্ন আমিনবাজার ব্রিজ পার হয়ে দলে দলে মানুষকে ঢাকায় প্রবেশ করতে দেখা গেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা যাত্রীদের ব্রিজের অনেক আগেই নামিয়ে দেয়া হয়। এরপর যাত্রীরা হেঁটে এ পথ পার হয়ে সিটি সার্ভিস বাসে করে ঢাকার বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।

গাবতলী এলাকায় নয়ন নামের দিনাজপুরের এক যাত্রী বলেন, ‘দিনাজপুর থেকে আসলাম। যেহেতু দূরপাল্লার বাস চলছে না তাই একটি কোম্পানির গাড়িতে কয়েকজনের সঙ্গে চাপাচাপি করে এসেছি কিন্তু পুলিশের বাধার কারণে অনেক দূরে নামিয়ে দিয়েছে। ভাড়া নিয়েছে ১৩০০ টাকা। এরপর বাকি পথ হেঁটে এলাম।’

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভাড়ায়চালিত প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসে করেও ঢাকায় আসতে দেখা গেছে যাত্রীদের। ট্রাফিক পুলিশের বাধা পাওয়ার ভয়ে চালকরা যাত্রীদের আমিনবাজার ব্রিজ থেকে এক কিলোমিটার দূরে নামিয়ে দেয়। আবার কিছু চালক ঢাকায় প্রবেশের আগে যাত্রী নামিয়ে খালি গাড়ি নিয়ে ঢাকায় ঢুকতে দেখা গেছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে বলে যাত্রীরা জানান।

বগুড়া থেকে আসা সাইদুর রহমান নামের এক যাত্রী বলেন, বগুড়ার একটি ফেইসবুক পেজে ঢাকা যাওয়ার মাইক্রোবাসের সন্ধান পাই। তখন তারা বলেছিল ৮ জন যাত্রী হয়ে গেছে। আপনাদের দুইটি সিট দেয়া যাবে। ভাড়া পড়বে ২ হাজার টাকা করে। এরপর ওই গাড়িতে করে এসেছি কিন্তু তারা ঢাকায় না ঢুকে আগেই আমাদের নামিয়ে দিয়েছে। বাকি পথ আমরা হেঁটে এলাম। এছাড়া পুরো পথেই ছিল নানা ভোগান্তি। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে।

এ বিষয়ে মাহতাব নামের এক মাইক্রোবাসের চালক বলেন, আমার গাড়ি ঢাকার মিরপুর এলাকার। রাজশাহী থেকে ঢাকা আসার একটি ট্রিপ পেয়ে রাজশাহী গিয়েছিলাম মঙ্গলবার রাতে। বুধবার সাত যাত্রী নিয়ে ঢাকায় আসলাম কিন্তু ট্রাফিক সার্জেন্ট ঝামেলা করে, তাই যাত্রীদের আমিনবাজার ব্রিজের আগে নামিয়ে দিয়ে ফাঁকা গাড়ি নিয়ে ঢাকায় ঢুকতে হয়। পুরো গাড়িটির ভাড়া ছিল ১৮ হাজার, যাত্রীরা নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে ভাড়া দিয়েছেন আমাকে আবার বগুড়া যাব, সেখানে রাতে ট্রিপ আছে ঢাকায় আসার। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় প্রতিদিন অসংখ্য প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস দূরপাল্লার ট্রিপ দিচ্ছে। তবে অন্য সময়ের চেয়ে ভাড়া কিছুটা বেশি নেয়া হচ্ছে।

দূরপাল্লার বাস চালুর দাবি পরিবহন সড়ক মালিক ও শ্রমিকদের

আগামী ২২ মে’র মধ্যে দূরপাল্লার বাস চালুর দাবি জানিয়েছেন পরিবহন সড়ক মালিক ও শ্রমিক নেতারা। গত মঙ্গলবার ৫ দফা দাবি আদায়ে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। তাদের অন্য দাবি হলোÑ লকডাউনে কর্মহীন শ্রমিকদের আর্থিক অনুদান ও খাদ্য সামগ্রী প্রদান, বাস টার্মিনালে ১০ টাকা মূল্যে চাল বিক্রির ব্যবস্থা করা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের সুদ মওকুফসহ কিস্তি আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করা ও ব্যতীত ড্রাইভিং লাইসেন্স ও অন্যান্য ফি মওকুফ করে জরিমানা ব্যতীত কাগজপত্র হালনাগাদের মেয়াদ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধির দাবি জানানো হয়।

এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী সংবাদকে বলেন, ঈদে বাড়ি যাওয়া যাত্রীদের ঢাকায় ফেরার জন্য দূরপাল্লার বাস চালু করা উচিত ছিল। তা না করায় আমরা আবার আন্দোলনে যাব। এ জন্য সরকারকে ২২ মে পর্যন্ত সময় দেয়া হবে। ইতোমধ্যে আমরা সড়কমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও শ্রম প্রতিমন্ত্রীর কাছে আমাদের পাঁচটি দাবি সংবলিত স্মারকলিপি প্রদান করেছি। কাজ না হলে আমরা প্রতীকী অনশন, মানববন্ধনসহ বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার, ২০ মে ২০২১ , ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ৭ শাওয়াল ১৪৪২

দুর্ভোগ ও ভোগান্তির শেষ হচ্ছে না ঢাকামুখী যাত্রীদের

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

ঢাকামুখী যাত্রীরা মানছে না কোন স্বাস্থ্যবিধি। শিবচর ঘাট থেকে তোলা -সংবাদ

দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় দুর্ভোগ ও ভোগান্তি শেষ হচ্ছে না ঢাকামুখী যাত্রীদের। গতকালও ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশমুখে ছিল গ্রাম থেকে আসা মানুষের ভিড়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভেঙে ভেঙে ঢাকা প্রবেশ করতে দেখা গেছে তাদের। বাস না থাকায় গণপরিবহন সংকটে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে ঢাকার প্রবেশমুখে। অবশেষে কয়েকগুণ বেশি ভাড়ায় মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল ও সিএনজি অটোরিকশায় ঢাকায় প্রবেশ করতে হয়েছে বলে যাত্রীরা জানান। আগামী ২২ মে’র মধ্যে দূরপাল্লার বাস চালুর দাবি জানিয়েছেন পরিবহন সড়ক মালিক ও শ্রমিক নেতারা। গত মঙ্গলবার ৫ দফা দাবি আদায়ে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।

রংপুর থেকে ঢাকায় আসা আবু তালেব নামের এক যাত্রী বলেন, ‘এত কষ্ট করে জীবনে কোনদিন যাতায়াত করিনি। বাড়িতে বৃদ্ধ মা-বাবা থাকেন। যে কারণে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকা সত্ত্বেও ঈদে বাড়ি যেতে হয়েছিল। তখনও বেশ কষ্ট হয়েছিল, তবে ফেরার পথে কয়েকগুণ বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। জীবিকার তাগিদে ফিরতে হবে, তাই এমন কষ্ট করে ঢাকায় ফিরলাম। আমাদের মতো লাখ লাখ মানুষ এভাবে ভোগান্তির শিকার হয়ে ঢাকায় ফিরতে হয়েছে।’

তিনি জানান, মঙ্গলবার রংপুর থেকে বের হয়েছি। ভেঙে ভেঙে আমাদের আসতে হয়েছে। প্রথমে লোকাল বাসে রংপুর থেকে বগুড়া এসেছি। বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ থেকে টাঙ্গাইল। এরপর সিএনজিচালিত অটোরিকশা, আবার বাস, কিছু পথ হেঁটে এভাবেই কোলে ছোট্ট সন্তান, স্ত্রী আর ব্যাগ-ব্যাগেজ নিয়ে ঢাকায় আসলাম। ভোগান্তির শেষ নেই। এখন আমিনবাজার থেকে হেঁটে গাবতলীর ব্রিজ অতিক্রম করেছি। এরপর গাবতলী থেকে সিটি বাসে মোহাম্মদপুর বাসায় যাব।

এভাবে গতকাল সকাল থেকে রাজধানীর গাবতলীসংলগ্ন আমিনবাজার ব্রিজ পার হয়ে দলে দলে মানুষকে ঢাকায় প্রবেশ করতে দেখা গেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা যাত্রীদের ব্রিজের অনেক আগেই নামিয়ে দেয়া হয়। এরপর যাত্রীরা হেঁটে এ পথ পার হয়ে সিটি সার্ভিস বাসে করে ঢাকার বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।

গাবতলী এলাকায় নয়ন নামের দিনাজপুরের এক যাত্রী বলেন, ‘দিনাজপুর থেকে আসলাম। যেহেতু দূরপাল্লার বাস চলছে না তাই একটি কোম্পানির গাড়িতে কয়েকজনের সঙ্গে চাপাচাপি করে এসেছি কিন্তু পুলিশের বাধার কারণে অনেক দূরে নামিয়ে দিয়েছে। ভাড়া নিয়েছে ১৩০০ টাকা। এরপর বাকি পথ হেঁটে এলাম।’

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভাড়ায়চালিত প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসে করেও ঢাকায় আসতে দেখা গেছে যাত্রীদের। ট্রাফিক পুলিশের বাধা পাওয়ার ভয়ে চালকরা যাত্রীদের আমিনবাজার ব্রিজ থেকে এক কিলোমিটার দূরে নামিয়ে দেয়। আবার কিছু চালক ঢাকায় প্রবেশের আগে যাত্রী নামিয়ে খালি গাড়ি নিয়ে ঢাকায় ঢুকতে দেখা গেছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে বলে যাত্রীরা জানান।

বগুড়া থেকে আসা সাইদুর রহমান নামের এক যাত্রী বলেন, বগুড়ার একটি ফেইসবুক পেজে ঢাকা যাওয়ার মাইক্রোবাসের সন্ধান পাই। তখন তারা বলেছিল ৮ জন যাত্রী হয়ে গেছে। আপনাদের দুইটি সিট দেয়া যাবে। ভাড়া পড়বে ২ হাজার টাকা করে। এরপর ওই গাড়িতে করে এসেছি কিন্তু তারা ঢাকায় না ঢুকে আগেই আমাদের নামিয়ে দিয়েছে। বাকি পথ আমরা হেঁটে এলাম। এছাড়া পুরো পথেই ছিল নানা ভোগান্তি। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে।

এ বিষয়ে মাহতাব নামের এক মাইক্রোবাসের চালক বলেন, আমার গাড়ি ঢাকার মিরপুর এলাকার। রাজশাহী থেকে ঢাকা আসার একটি ট্রিপ পেয়ে রাজশাহী গিয়েছিলাম মঙ্গলবার রাতে। বুধবার সাত যাত্রী নিয়ে ঢাকায় আসলাম কিন্তু ট্রাফিক সার্জেন্ট ঝামেলা করে, তাই যাত্রীদের আমিনবাজার ব্রিজের আগে নামিয়ে দিয়ে ফাঁকা গাড়ি নিয়ে ঢাকায় ঢুকতে হয়। পুরো গাড়িটির ভাড়া ছিল ১৮ হাজার, যাত্রীরা নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে ভাড়া দিয়েছেন আমাকে আবার বগুড়া যাব, সেখানে রাতে ট্রিপ আছে ঢাকায় আসার। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় প্রতিদিন অসংখ্য প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস দূরপাল্লার ট্রিপ দিচ্ছে। তবে অন্য সময়ের চেয়ে ভাড়া কিছুটা বেশি নেয়া হচ্ছে।

দূরপাল্লার বাস চালুর দাবি পরিবহন সড়ক মালিক ও শ্রমিকদের

আগামী ২২ মে’র মধ্যে দূরপাল্লার বাস চালুর দাবি জানিয়েছেন পরিবহন সড়ক মালিক ও শ্রমিক নেতারা। গত মঙ্গলবার ৫ দফা দাবি আদায়ে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। তাদের অন্য দাবি হলোÑ লকডাউনে কর্মহীন শ্রমিকদের আর্থিক অনুদান ও খাদ্য সামগ্রী প্রদান, বাস টার্মিনালে ১০ টাকা মূল্যে চাল বিক্রির ব্যবস্থা করা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের সুদ মওকুফসহ কিস্তি আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করা ও ব্যতীত ড্রাইভিং লাইসেন্স ও অন্যান্য ফি মওকুফ করে জরিমানা ব্যতীত কাগজপত্র হালনাগাদের মেয়াদ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধির দাবি জানানো হয়।

এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী সংবাদকে বলেন, ঈদে বাড়ি যাওয়া যাত্রীদের ঢাকায় ফেরার জন্য দূরপাল্লার বাস চালু করা উচিত ছিল। তা না করায় আমরা আবার আন্দোলনে যাব। এ জন্য সরকারকে ২২ মে পর্যন্ত সময় দেয়া হবে। ইতোমধ্যে আমরা সড়কমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও শ্রম প্রতিমন্ত্রীর কাছে আমাদের পাঁচটি দাবি সংবলিত স্মারকলিপি প্রদান করেছি। কাজ না হলে আমরা প্রতীকী অনশন, মানববন্ধনসহ বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি।