কারাবন্দী রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি এবং তাকে হেনস্তাকারী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন সাংবাদিকনেতারা। তারা রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছেন। গতকাল রাজধানীতে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন আয়োজিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এ দাবি জানানো হয়।
গতকাল সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে বিএফইউজে, ডিইউজে, সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম, ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, বরিশাল ডিভিশনাল জানার্লিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতি ও ফরিদপুর জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন যৌথভাবে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণের বাইরে মানববন্ধন করে নারী সাংবাদিক কেন্দ্র। অন্যদিকে দুপুর ১২টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন সাংবাদিক নেতারা।
এসব কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজের সভাপতি মোল্লা জালাল, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আবদুল মজিদ, সহসভাপতি সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, সদস্য শেখ মামুনুর রশীদ ও সাবেক মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া, ডিইউজের সাবেক সভাপতি আবু জাফর সূর্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক কাজল হাজরা, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সভাপতি শারমীন রিনভী, এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (এটিজেএফবি) সভাপতি নাদিরা কিরণ, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুনিমা সুলতানা, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক সমিতির সভাপতি নাসিমা আক্তার, বিএসআরএফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, বরিশাল ডিভিশনাল জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিন আল রশিদ, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব সৈকত প্রমুখ।
মানববন্ধনে সংবাদিকরা রোজিনা ইসলামের ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটিও প্রত্যাখ্যান করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানায়। এছাড়া সাজানো মামলা প্রত্যাহার করে রোজিনা ইসলামকে নির্যাতনকারী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে সাংবাদিকরা। ঘটনার দিন রোজিনা ইসলামকে হত্যার জন্য গলা চেপে ধরা হয়েছে বলে মনে করছেন তারা।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ব্যানারে আয়োজিত এ প্রতিবাদ সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করেন জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব), রিপোর্টার্স অ্যাগেনইস্ট করাপশন (র্যাক), সেক্রেটেরিয়াল রিপোর্টার্স ফোরাম, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ), ঢাকাস্ত শরীয়তপুর সাংবাদিক সমিতিসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন। এদিকে রোজিনা ইসলামের মুক্তির দাবিতে আজ (বৃহস্পতিবারও) কর্মসূচি দিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি। রোজিনা ইসলামকে মুক্তি দেয়া না হলে পরবর্তী কর্মসূচিতে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা বলেন, জাতির বিবেককে জেলখানায় রাখা হয়েছে। গণতান্ত্রিক দেশ এভাবে চলতে পারে না। এটি সাংবাদিকদের জন্য লজ্জার এবং কষ্টের। আমাদের দাবি একটাইÑ যারা এই অপকর্ম করেছে, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। যে আইনে মামলা হয়েছে সেটি সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হতে পারে না। এই আইনসহ সব কালো আইন বাতিল করতে হবে। একটি বিষয় পরিষ্কারÑ আমাদের সাংবাদিকদের কখনও কেউ বন্ধু ছিল না।
ডিআরইউ আয়োজিত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সচিবালয় রিপোর্টার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ, ডিআরইউ সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, ডিআরইউয়ের সাবেক নেতা আজমল হক হেলাল, ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, বরিশাল বিভাগীয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আমিন আল রশীদ, শরীয়তপুর সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হক, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি শারমীন রিনভী, সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হাসান ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মিজান মালিক, সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আরিফসহ অন্যরা।
বৃহস্পতিবার, ২০ মে ২০২১ , ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ৭ শাওয়াল ১৪৪২
কারাবন্দী রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি এবং তাকে হেনস্তাকারী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন সাংবাদিকনেতারা। তারা রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছেন। গতকাল রাজধানীতে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন আয়োজিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এ দাবি জানানো হয়।
গতকাল সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে বিএফইউজে, ডিইউজে, সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম, ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, বরিশাল ডিভিশনাল জানার্লিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতি ও ফরিদপুর জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন যৌথভাবে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণের বাইরে মানববন্ধন করে নারী সাংবাদিক কেন্দ্র। অন্যদিকে দুপুর ১২টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন সাংবাদিক নেতারা।
এসব কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজের সভাপতি মোল্লা জালাল, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আবদুল মজিদ, সহসভাপতি সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, সদস্য শেখ মামুনুর রশীদ ও সাবেক মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া, ডিইউজের সাবেক সভাপতি আবু জাফর সূর্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক কাজল হাজরা, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সভাপতি শারমীন রিনভী, এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (এটিজেএফবি) সভাপতি নাদিরা কিরণ, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুনিমা সুলতানা, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক সমিতির সভাপতি নাসিমা আক্তার, বিএসআরএফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, বরিশাল ডিভিশনাল জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিন আল রশিদ, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব সৈকত প্রমুখ।
মানববন্ধনে সংবাদিকরা রোজিনা ইসলামের ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটিও প্রত্যাখ্যান করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানায়। এছাড়া সাজানো মামলা প্রত্যাহার করে রোজিনা ইসলামকে নির্যাতনকারী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে সাংবাদিকরা। ঘটনার দিন রোজিনা ইসলামকে হত্যার জন্য গলা চেপে ধরা হয়েছে বলে মনে করছেন তারা।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ব্যানারে আয়োজিত এ প্রতিবাদ সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করেন জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব), রিপোর্টার্স অ্যাগেনইস্ট করাপশন (র্যাক), সেক্রেটেরিয়াল রিপোর্টার্স ফোরাম, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ), ঢাকাস্ত শরীয়তপুর সাংবাদিক সমিতিসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন। এদিকে রোজিনা ইসলামের মুক্তির দাবিতে আজ (বৃহস্পতিবারও) কর্মসূচি দিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি। রোজিনা ইসলামকে মুক্তি দেয়া না হলে পরবর্তী কর্মসূচিতে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা বলেন, জাতির বিবেককে জেলখানায় রাখা হয়েছে। গণতান্ত্রিক দেশ এভাবে চলতে পারে না। এটি সাংবাদিকদের জন্য লজ্জার এবং কষ্টের। আমাদের দাবি একটাইÑ যারা এই অপকর্ম করেছে, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। যে আইনে মামলা হয়েছে সেটি সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হতে পারে না। এই আইনসহ সব কালো আইন বাতিল করতে হবে। একটি বিষয় পরিষ্কারÑ আমাদের সাংবাদিকদের কখনও কেউ বন্ধু ছিল না।
ডিআরইউ আয়োজিত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সচিবালয় রিপোর্টার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ, ডিআরইউ সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, ডিআরইউয়ের সাবেক নেতা আজমল হক হেলাল, ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, বরিশাল বিভাগীয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আমিন আল রশীদ, শরীয়তপুর সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হক, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি শারমীন রিনভী, সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হাসান ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মিজান মালিক, সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আরিফসহ অন্যরা।