চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা

বন্দরনগরী চট্টগ্রাম হলো হাজারো লোকের জীবন-জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা মানুষের ব্যস্ত শহর। জলাবদ্ধতা যেন এখানকার বর্ষা মৌসুমের নিত্যকার ব্যাপার। বর্ষার একদিনের টানা বৃষ্টিতে যেখানে জলাবদ্ধতা প্রকট আকার ধারণ করেছিল; সেখানে পুরো মৌসুমে ঠিক কী অবস্থা হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।

বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায় নগরীর রাস্তাঘাট, দোকানপাট, হাসপাতাল, ভবনসহ নিচু এলাকা। জলজট হওয়ায় বিপাকে পড়েন যাত্রী ও পথচারীরা। যানবাহনের ইঞ্জিন বিকল হলে দেখা দেয় দীর্ঘ যানজট। ঘন্টার পর ঘণ্টা যানজট ও জলজটে আটকে থেকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রী ও চালকদের। পথচারীদের রাস্তার পাশে খোলা নালা-ড্রেনে পড়ে আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটে অহরহ।

অপরিকল্পিত নগরায়ন, যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা, সুষ্ঠু পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার অভাব, খাল ভরাট, অনুন্নত ড্রেনেজ সিস্টেম প্রভৃতি কারণে বর্ষা মৌসুমে পানি প্রবাহে বিঘœ ঘটে। প্রতিবছর এমন পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেন ও কিছুটা তৎপর হন। কিন্তু সীমিত সময় পরে তা স্তিমিত হয়ে পড়ে। জলাবদ্ধতার স্থায়ী নিরসন হয় না। একের পর এক নগরীর অভিভাবক পরিবর্তন হলেও নগরবাসীর ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। নগরবাসীর দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে সুপরিকল্পিত ও সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে স্থায়ী জলবদ্ধতার নিরসন চায় নগরবাসী।

নুর-ই-সালমা লামিয়া

বুধবার, ২৩ জুন ২০২১ , ৯ আষাঢ় ১৪২৮ ১১ জিলকদ ১৪৪২

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা

image

বন্দরনগরী চট্টগ্রাম হলো হাজারো লোকের জীবন-জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা মানুষের ব্যস্ত শহর। জলাবদ্ধতা যেন এখানকার বর্ষা মৌসুমের নিত্যকার ব্যাপার। বর্ষার একদিনের টানা বৃষ্টিতে যেখানে জলাবদ্ধতা প্রকট আকার ধারণ করেছিল; সেখানে পুরো মৌসুমে ঠিক কী অবস্থা হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।

বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায় নগরীর রাস্তাঘাট, দোকানপাট, হাসপাতাল, ভবনসহ নিচু এলাকা। জলজট হওয়ায় বিপাকে পড়েন যাত্রী ও পথচারীরা। যানবাহনের ইঞ্জিন বিকল হলে দেখা দেয় দীর্ঘ যানজট। ঘন্টার পর ঘণ্টা যানজট ও জলজটে আটকে থেকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রী ও চালকদের। পথচারীদের রাস্তার পাশে খোলা নালা-ড্রেনে পড়ে আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটে অহরহ।

অপরিকল্পিত নগরায়ন, যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা, সুষ্ঠু পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার অভাব, খাল ভরাট, অনুন্নত ড্রেনেজ সিস্টেম প্রভৃতি কারণে বর্ষা মৌসুমে পানি প্রবাহে বিঘœ ঘটে। প্রতিবছর এমন পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেন ও কিছুটা তৎপর হন। কিন্তু সীমিত সময় পরে তা স্তিমিত হয়ে পড়ে। জলাবদ্ধতার স্থায়ী নিরসন হয় না। একের পর এক নগরীর অভিভাবক পরিবর্তন হলেও নগরবাসীর ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। নগরবাসীর দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে সুপরিকল্পিত ও সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে স্থায়ী জলবদ্ধতার নিরসন চায় নগরবাসী।

নুর-ই-সালমা লামিয়া