অক্সিজেন সংকটে ভুগছে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর ‘কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড’ হাসপাতাল। অক্সিজেন সংকটে হাসপাতালে ‘কোভিড-১৯’ রোগী মারাও যাচ্ছেন। ঢাকার হাসপাতালগুলোতেও তীব্র হচ্ছে ‘আইসিইউ’ চাহিদা। ঢাকার কোভিড ডেডিকেটেড ১৫টি সরকারি হাসপাতালের অধিকাংশেই ‘আইসিইউ’ খালি নেই।
বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ‘হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা’ সংকটে সাত করোনা রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। আরও ১০ জন রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে গত শুক্রবার গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বগুড়ার সিভিল সার্জন ডা. গাওসুল আজিম চৌধুরী গতকাল সংবাদকে বলেন, ‘আমাদের জেলায় কোন হাসপাতালেই অক্সিজেনের সংকট নেই। এখানে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ব্যবস্থা চালু হয়েছে।’
১০ জন রোগী অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছেন, এমন খবরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অভিযোগটি সঠিক নয়। যারা মারা গেছেন, তাদের ‘কোমর্ভিডিটি’ (নানা জটিল রোগে আক্রান্ত) ছিল, বয়সও বেশি ছিল। তাদের সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এ কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে।’
এদিকে গতকাল জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনের সমাপনী দিনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে বিএনপির সংসদ সদস্য গোলাম মুহম্মদ সিরাজ বলেন, ‘বগুড়া এখন কোভিডের হটস্পট। গত তিনদিনে সেখানে ২৪ জন মারা গেছেন। সেখানে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা (অক্সিজেনের বিকল্প) সংকট। সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নেই। জেলার তিনটি কোভিড-১৯ হাসপাতালে করোনা রোগীতে ঠাসা।’
এ পর্যায়ে ফ্লোর নিয়ে জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘আজকের খবর আসছে বাংলাদেশের ৩৭টি জেলায় অক্সিজেনের ব্যবস্থা নেই। হাসপাতালে ৫ জন রোগী অক্সিজেন পায় তো ২০ জন লাইনে থাকে। কেবলমাত্র অক্সিজেনের কারণে তারা ছটফট করে মারা যাচ্ছেন।’
রাজধানীর ‘কোভিড ডেডিকেটেড’ ১৬টি সরকারি হাসপাতালের মধ্যে গতকাল কমপক্ষে আটটি হাসপাতালে কোন আইসিইউ খালি ছিল না। হাসপাতালগুলো হলো কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল, ৫০০ শয্যা কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ৫০০ শয্যা মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিসেস অ্যান্ড ইউরোলজি, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতাল।
রাজধানীর ১৬টি সরকারি হাসপাতালে ‘কোভিড ডেডিকেটেড ৩৮৪টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে গতকাল খালি ছিল মাত্র ১১৭টি। এর মধ্যে ৯১টি আইসিইউ খালি ছিল ডিএনসিসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে।
রবিবার, ০৪ জুলাই ২০২১ , ২০ আষাঢ় ১৪২৮ ২২ জিলক্বদ ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
অক্সিজেন সংকটে ভুগছে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর ‘কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড’ হাসপাতাল। অক্সিজেন সংকটে হাসপাতালে ‘কোভিড-১৯’ রোগী মারাও যাচ্ছেন। ঢাকার হাসপাতালগুলোতেও তীব্র হচ্ছে ‘আইসিইউ’ চাহিদা। ঢাকার কোভিড ডেডিকেটেড ১৫টি সরকারি হাসপাতালের অধিকাংশেই ‘আইসিইউ’ খালি নেই।
বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ‘হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা’ সংকটে সাত করোনা রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। আরও ১০ জন রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে গত শুক্রবার গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বগুড়ার সিভিল সার্জন ডা. গাওসুল আজিম চৌধুরী গতকাল সংবাদকে বলেন, ‘আমাদের জেলায় কোন হাসপাতালেই অক্সিজেনের সংকট নেই। এখানে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ব্যবস্থা চালু হয়েছে।’
১০ জন রোগী অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছেন, এমন খবরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অভিযোগটি সঠিক নয়। যারা মারা গেছেন, তাদের ‘কোমর্ভিডিটি’ (নানা জটিল রোগে আক্রান্ত) ছিল, বয়সও বেশি ছিল। তাদের সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এ কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে।’
এদিকে গতকাল জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনের সমাপনী দিনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে বিএনপির সংসদ সদস্য গোলাম মুহম্মদ সিরাজ বলেন, ‘বগুড়া এখন কোভিডের হটস্পট। গত তিনদিনে সেখানে ২৪ জন মারা গেছেন। সেখানে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা (অক্সিজেনের বিকল্প) সংকট। সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নেই। জেলার তিনটি কোভিড-১৯ হাসপাতালে করোনা রোগীতে ঠাসা।’
এ পর্যায়ে ফ্লোর নিয়ে জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘আজকের খবর আসছে বাংলাদেশের ৩৭টি জেলায় অক্সিজেনের ব্যবস্থা নেই। হাসপাতালে ৫ জন রোগী অক্সিজেন পায় তো ২০ জন লাইনে থাকে। কেবলমাত্র অক্সিজেনের কারণে তারা ছটফট করে মারা যাচ্ছেন।’
রাজধানীর ‘কোভিড ডেডিকেটেড’ ১৬টি সরকারি হাসপাতালের মধ্যে গতকাল কমপক্ষে আটটি হাসপাতালে কোন আইসিইউ খালি ছিল না। হাসপাতালগুলো হলো কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল, ৫০০ শয্যা কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ৫০০ শয্যা মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিসেস অ্যান্ড ইউরোলজি, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতাল।
রাজধানীর ১৬টি সরকারি হাসপাতালে ‘কোভিড ডেডিকেটেড ৩৮৪টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে গতকাল খালি ছিল মাত্র ১১৭টি। এর মধ্যে ৯১টি আইসিইউ খালি ছিল ডিএনসিসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে।