ইউরো-২০২০ প্রথম সেমিফাইনাল আজ

ইতালি ফেবারিট হলেও পিছিয়ে নেই স্পেন

ইতালি এবং স্পেন মঙ্গলবার রাতে (১টায়) ইউরো ২০২০ এর সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে। উইম্বলির এ ম্যাচ নিয়ে দল দুটি টানা চতুর্থবার ইউরোতে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। এবারের ইউরোতে শুরুর দিকে যে সব দল ফেবারিট ছিল তারা বিদায় নিয়েছে। সেমিফাইনাল পর্যায়ে ওঠা চারটি দল দারুণ খেলেই এ পর্যায়ে পৌঁছেছে। তবে বাস্তবতা হলো ইতালি ছাড়া আর কোন দলকে সেভাবে ফেবারিট হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি প্রতিযোগিতার শুরুতে। বর্তমানে সব হিসেব বদলে দিয়েছে সেমিফাইনালে ওঠা দলগুলো। ইতালি অবশ্য শুরুতেই ফেবারিট ছিল এবং এখনও তাই মনে করা হচ্ছে। নবীনদের নিয়ে গড়া স্পেন ভালো খেললেও চাপ সামলানোর ক্ষেত্রে দুর্বলতা রয়ে গেছে। যা দেখা গেছে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে। এগিয়ে গিয়েও তারা তা ধরে রাখতে পারেনি। অন্যদিকে ইতালি বেশ ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে প্রতিযোগিতায়। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচেই জিতেছিল রবার্তো মানচিনির দল। সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ বেলজিয়ামকে কোয়ার্টার ফাইনালে হারিয়ে ইতালি বুঝিয়ে দিয়েছে তারা আসলেই এবার ফেবারিট।

স্পেন গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচে ড্র করার পর শেষ ম্যাচ জিতে ওঠে শেষ ষোলতে। প্রথম দিকে গোল খড়া থাকলেও এখন তারা অনেক বেশি ধারাবাহিক। তরুণদের নিয়ে গড়া স্পেন দল বেশ আত্মবিশ^াসীও। তাদের অভাব কেবল অভিজ্ঞতার। তবে উজ্জীবিত খেলতে পারলে ইতালির জন্য তারা বড় বাধা হয়ে উঠতে পারে। ইতালি এবং স্পেনের মধ্যেকার লড়াইয়ের ইতিহাস বেশ পুরাতন। ১৯৯৪ সালে বিশ^কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে দুই দলের লড়াইটি হাতাহাতিতে গড়িয়েছিলে। মাউরো তাসোত্তির কনুইয়ের আঘাতা নাক ভেঙে ছিল বতর্মান কোচ লুইস এনরিকের। সে ম্যাচটি ইতালি জিতে নেয় ২-১ গোলে। সাম্প্রতিক সময়ের রেকর্ড স্পেনেরই পক্ষে। ২০০৮ সালের কোয়ার্টার ফাইনালে ইতালিকে হারিয়ে স্পেন ওঠে সেমিফাইনালে। পরে তারা চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০১২ সালের ইউরোর ফাইনালে ইতালিকে ৪-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় স্পেন। ইতালি এরপর অবশ্য ধীরে ধীরে উন্নতি করেছে এবং স্পেন আগের অবস্থান ধরে রাখতে পারেনি। সাম্প্রতিক পারফরমেন্সে ইতালিই এগিয়ে আছে তুলনামূলকভাবে। কিন্তু তাই বলে স্পেনকে দুর্বল ভাবার কোন সুযোগ নেই। স্পেন দলের খেলায় আছে বিশেষ একটি ছন্দ। তারা দ্রুত জায়গা পরিবর্তন করে খেলে। এর ফলে খেলোয়াড়দের ওপর নজর রাখা বেশ কঠিন হয় প্রতিপক্ষের জন্য। তাদের খেলায় গতিও আছে বেশ। সব মিলিয়ে মঙ্গলবারের ম্যাচে ইতালি ফেবারিট হলেও পিছিয়ে নেই স্পেন। ওয়েবসাইট।

মঙ্গলবার, ০৬ জুলাই ২০২১ , ২২ আষাঢ় ১৪২৮ ২৪ জিলক্বদ ১৪৪২

ইউরো-২০২০ প্রথম সেমিফাইনাল আজ

ইতালি ফেবারিট হলেও পিছিয়ে নেই স্পেন

সংবাদ স্পোর্টস ডেস্ক

image

ইতালি এবং স্পেন মঙ্গলবার রাতে (১টায়) ইউরো ২০২০ এর সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে। উইম্বলির এ ম্যাচ নিয়ে দল দুটি টানা চতুর্থবার ইউরোতে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। এবারের ইউরোতে শুরুর দিকে যে সব দল ফেবারিট ছিল তারা বিদায় নিয়েছে। সেমিফাইনাল পর্যায়ে ওঠা চারটি দল দারুণ খেলেই এ পর্যায়ে পৌঁছেছে। তবে বাস্তবতা হলো ইতালি ছাড়া আর কোন দলকে সেভাবে ফেবারিট হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি প্রতিযোগিতার শুরুতে। বর্তমানে সব হিসেব বদলে দিয়েছে সেমিফাইনালে ওঠা দলগুলো। ইতালি অবশ্য শুরুতেই ফেবারিট ছিল এবং এখনও তাই মনে করা হচ্ছে। নবীনদের নিয়ে গড়া স্পেন ভালো খেললেও চাপ সামলানোর ক্ষেত্রে দুর্বলতা রয়ে গেছে। যা দেখা গেছে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে। এগিয়ে গিয়েও তারা তা ধরে রাখতে পারেনি। অন্যদিকে ইতালি বেশ ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে প্রতিযোগিতায়। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচেই জিতেছিল রবার্তো মানচিনির দল। সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ বেলজিয়ামকে কোয়ার্টার ফাইনালে হারিয়ে ইতালি বুঝিয়ে দিয়েছে তারা আসলেই এবার ফেবারিট।

স্পেন গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচে ড্র করার পর শেষ ম্যাচ জিতে ওঠে শেষ ষোলতে। প্রথম দিকে গোল খড়া থাকলেও এখন তারা অনেক বেশি ধারাবাহিক। তরুণদের নিয়ে গড়া স্পেন দল বেশ আত্মবিশ^াসীও। তাদের অভাব কেবল অভিজ্ঞতার। তবে উজ্জীবিত খেলতে পারলে ইতালির জন্য তারা বড় বাধা হয়ে উঠতে পারে। ইতালি এবং স্পেনের মধ্যেকার লড়াইয়ের ইতিহাস বেশ পুরাতন। ১৯৯৪ সালে বিশ^কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে দুই দলের লড়াইটি হাতাহাতিতে গড়িয়েছিলে। মাউরো তাসোত্তির কনুইয়ের আঘাতা নাক ভেঙে ছিল বতর্মান কোচ লুইস এনরিকের। সে ম্যাচটি ইতালি জিতে নেয় ২-১ গোলে। সাম্প্রতিক সময়ের রেকর্ড স্পেনেরই পক্ষে। ২০০৮ সালের কোয়ার্টার ফাইনালে ইতালিকে হারিয়ে স্পেন ওঠে সেমিফাইনালে। পরে তারা চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০১২ সালের ইউরোর ফাইনালে ইতালিকে ৪-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় স্পেন। ইতালি এরপর অবশ্য ধীরে ধীরে উন্নতি করেছে এবং স্পেন আগের অবস্থান ধরে রাখতে পারেনি। সাম্প্রতিক পারফরমেন্সে ইতালিই এগিয়ে আছে তুলনামূলকভাবে। কিন্তু তাই বলে স্পেনকে দুর্বল ভাবার কোন সুযোগ নেই। স্পেন দলের খেলায় আছে বিশেষ একটি ছন্দ। তারা দ্রুত জায়গা পরিবর্তন করে খেলে। এর ফলে খেলোয়াড়দের ওপর নজর রাখা বেশ কঠিন হয় প্রতিপক্ষের জন্য। তাদের খেলায় গতিও আছে বেশ। সব মিলিয়ে মঙ্গলবারের ম্যাচে ইতালি ফেবারিট হলেও পিছিয়ে নেই স্পেন। ওয়েবসাইট।