সাম্প্রদায়িকতা রোধে ৭ প্রস্তাব ৭৬ সংগঠনের

সাম্প্রদায়িকতা রোধে সাত দফা প্রস্তাবে সম্প্রীতি সমাবেশ করেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ৭৬টির অধিক সংগঠনের সম্মিলিত সংগঠন ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’। গতকাল বিকেল ৩টায় রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক বিশিষ্ট নাট্যকার পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় এই সম্প্রীতি সমাবেশ। সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করেন রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, কলামিস্টসহ নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ।

সম্প্রীতি সমাবেশে বক্তারা সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘটে যাওয়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং অসাম্প্রদায়িক দর্শন বিনষ্টের ষড়যন্ত্রমূলক কাজে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বক্তারা বলেন, ‘হাজার বছরের সম্প্রীতির সংস্কৃতি ধ্বংস করতে ৭৫ সালের পর থেকে চলছে পরিকল্পিত চক্রান্ত এবং আঘাত। বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী শক্তির বারবার যে উত্থান ঘটেছে, তা রোধ করা না গেলে দেশের গণতান্ত্রিক ও মানবিক ভবিষ্যৎ রক্ষা করা কঠিন হবে। তাই আজ প্রয়োজন প্রগতিশীল শক্তির ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ। একই সঙ্গে সম্প্রীতির পবিত্র বাণী প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দেয়াও অত্যন্ত জরুরি। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের জন্য বীর শহীদরা আত্মাহুতি দিয়েছিলেন। তাই শহীদদের রক্ত যেন বৃথা না যায়, সে জন্য শুভবোধসম্পন্ন সবাইকে একাত্তরের মতো ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।

চেতনা একাত্তরের সভাপতি আসিফ মনির তন্ময় বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের ঘটনা আর যেন না ঘটে সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও বেশি তৎপর হতে হবে। এটি বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা নয়, এটি সাম্প্রতিককালে অনেকবার আলোচিত হয়েছে। সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায় থেকেও সে রকমটি বলা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দু-একজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও মূল হোতাদের সরাসরি চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না। রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতি টিকিয়ে রাখতে হলে রাজনৈতিক আন্দোলনের পাশাপাশি সামাজিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনও চালিয়ে যেতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন’ বাংলাদেশে সম্প্রিতি বিনষ্টকারী যে কোন অপশক্তির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়, বঙ্গবন্ধুর চেতনায় উজ্জীবিত মানুষ যে সব সময় একনিষ্ঠ থাকে আজকের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের এই সম্প্রিতি সমাবেশ তারই প্রমাণ। সাম্প্রদায়িক অপশক্তি যখন যেখানে মাথা ছাড়া দিয়ে উঠবে সেখানেই তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানানো, প্রতিরোধ গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি। সেই দিকেই আমরা অগ্রসর হব। এটি একটি রাজনৈতিক সাম্প্রদায়িকতা। যদি রাজনৈতিক সাম্প্রদায়িকতাই হয়, তাহলে রাজনৈতিক দলসমূহ যারা অন্তত অসাম্প্রদায়িক মানবিক চেতনায় বিশ্বাস করেন, সেই মানুষগুলো সহমত পোষণ করে একই মঞ্চে আসতে হবে। সাম্প্রদায়িকতা রুখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস বলেন,’ আমরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, এই দেশকে যারা আফগানিস্তান, পাকিস্তান বা ইরাকে পরিণত করতে চায়, তাদেরকে আমরা রাজপথে মোকাবিলা করব।

সভাপতির বক্তব্যে নাট্যাভিনেতা পীযূষ বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘বিষদাত আমরা ভেঙে দেবই, দেব। আজকের এই সম্প্রীতি সমাবেশে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে, বাঙালি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী হয়ে এই দেশের চলমান হাজার বছরের অসাম্প্রদায়িকতা, সম্প্রীতি এবং ভ্রাতৃত্ব আমরা রক্ষা করব। এই দেশে আগামী দিনে সাম্প্রদায়িক শক্তি কোন অস্তিত্ব থাকবে না! থাকবে না!

অধ্যাপক ড. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মুক্তযুদ্ধ একাডেমি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান আবুল আজাদ, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এম ওহিদুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক উত্তম কুমার বড়ুয়া, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী দক্ষিণ এশীয় গণসম্মেলনের সভাপতি বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের মহাসচিব হারুন হাবিব, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ঢাকা মহানগরীর সভাপতি চিত্ত রঞ্জন দাস, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ভাষা সৈনিক মনোরঞ্জন ঘোষাল, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মনিরুজ্জামান নান্টু প্রমুখ।

সমাবেশে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, প্রজন্ম একাত্তরসহ প্রায় ৮০টির অধিক সংগঠন সংহতি প্রকাশ করেছে। এছাড়াও লন্ডন থেকে একুশের কবিতা রচয়িতা সাংবাদিক ও লেখক আবদুল গাফফার চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন দেশের বাইরে থেকে সংহতি বার্তা পাঠিয়েছেন।

সভাপতি পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় সমাবেশ থেকে সাত দফা কর্মসূচি ঘোষণা করে। সেগুলো হলোÑ ১. সাম্প্রদায়িক ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে ২. অতীতের ঘটনার দ্রুত বিচার সম্পন্ন করতে হবে ৩. সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের ঘটনা আর যেন না ঘটে, সে জন্য প্রশাসনকে আরও বেশি তৎপর হতে হবে ৪. সাম্প্রতিক ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর এবং উপাসনালয় দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা করতে হবে ৫. মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদসহ শিক্ষা ব্যবস্থায় মানবিক মূল্যবোধ ও সহনশীলতার বিষয় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে ৬. আবহমান বাংলার সংস্কৃতি চর্চায় তরুণ ও যুব সমাজকে অধিকতর সম্পৃক্ত করতে যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে এবং ৭. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ও উস্কানি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

image

গতকাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘গাহি সাম্যের গান’ শীর্ষক সম্প্রীতি সমাবেশে সম্প্রীতি সংগীত পরিবেশন করেন বাউল শিল্পীরা -সংবাদ

আরও খবর
রাজশাহী অঞ্চলে ইউপি নির্বাচন নিয়ে উত্তাপ বাড়ছে
বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলবদের খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিশন চেয়ে রিট
বাউল শিল্পী রিতা দেওয়ানের বিচার শুরুর নির্দেশ
আ’লীগের বহিষ্কৃত নেতাকে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নের অভিযোগ
অভিযোগকারী ৯ পরিবারের এক পরিবারকে মামলায় ফাঁসালেন
এডিস মশার উপদ্রব কমছে না
আবাসিক এলাকায় নতুন গ্যাস সংযোগ কেন নয় : হাইকোর্ট
উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন, কংগ্রেসের নানা প্রতিশ্রুতি
সুন্দরবনঘেরা সাতক্ষীরা মুন্সিগঞ্জকে পর্যটনকেন্দ্র ঘোষণার দাবি

মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর ২০২১ , ১০ কার্তিক ১৪২৮ ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

সাম্প্রদায়িকতা রোধে ৭ প্রস্তাব ৭৬ সংগঠনের

প্রতিনিধি, ঢাবি

image

গতকাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘গাহি সাম্যের গান’ শীর্ষক সম্প্রীতি সমাবেশে সম্প্রীতি সংগীত পরিবেশন করেন বাউল শিল্পীরা -সংবাদ

সাম্প্রদায়িকতা রোধে সাত দফা প্রস্তাবে সম্প্রীতি সমাবেশ করেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ৭৬টির অধিক সংগঠনের সম্মিলিত সংগঠন ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’। গতকাল বিকেল ৩টায় রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক বিশিষ্ট নাট্যকার পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় এই সম্প্রীতি সমাবেশ। সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করেন রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, কলামিস্টসহ নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ।

সম্প্রীতি সমাবেশে বক্তারা সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘটে যাওয়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং অসাম্প্রদায়িক দর্শন বিনষ্টের ষড়যন্ত্রমূলক কাজে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বক্তারা বলেন, ‘হাজার বছরের সম্প্রীতির সংস্কৃতি ধ্বংস করতে ৭৫ সালের পর থেকে চলছে পরিকল্পিত চক্রান্ত এবং আঘাত। বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী শক্তির বারবার যে উত্থান ঘটেছে, তা রোধ করা না গেলে দেশের গণতান্ত্রিক ও মানবিক ভবিষ্যৎ রক্ষা করা কঠিন হবে। তাই আজ প্রয়োজন প্রগতিশীল শক্তির ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ। একই সঙ্গে সম্প্রীতির পবিত্র বাণী প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দেয়াও অত্যন্ত জরুরি। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের জন্য বীর শহীদরা আত্মাহুতি দিয়েছিলেন। তাই শহীদদের রক্ত যেন বৃথা না যায়, সে জন্য শুভবোধসম্পন্ন সবাইকে একাত্তরের মতো ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।

চেতনা একাত্তরের সভাপতি আসিফ মনির তন্ময় বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের ঘটনা আর যেন না ঘটে সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও বেশি তৎপর হতে হবে। এটি বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা নয়, এটি সাম্প্রতিককালে অনেকবার আলোচিত হয়েছে। সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায় থেকেও সে রকমটি বলা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দু-একজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও মূল হোতাদের সরাসরি চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না। রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতি টিকিয়ে রাখতে হলে রাজনৈতিক আন্দোলনের পাশাপাশি সামাজিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনও চালিয়ে যেতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন’ বাংলাদেশে সম্প্রিতি বিনষ্টকারী যে কোন অপশক্তির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়, বঙ্গবন্ধুর চেতনায় উজ্জীবিত মানুষ যে সব সময় একনিষ্ঠ থাকে আজকের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের এই সম্প্রিতি সমাবেশ তারই প্রমাণ। সাম্প্রদায়িক অপশক্তি যখন যেখানে মাথা ছাড়া দিয়ে উঠবে সেখানেই তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানানো, প্রতিরোধ গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি। সেই দিকেই আমরা অগ্রসর হব। এটি একটি রাজনৈতিক সাম্প্রদায়িকতা। যদি রাজনৈতিক সাম্প্রদায়িকতাই হয়, তাহলে রাজনৈতিক দলসমূহ যারা অন্তত অসাম্প্রদায়িক মানবিক চেতনায় বিশ্বাস করেন, সেই মানুষগুলো সহমত পোষণ করে একই মঞ্চে আসতে হবে। সাম্প্রদায়িকতা রুখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস বলেন,’ আমরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, এই দেশকে যারা আফগানিস্তান, পাকিস্তান বা ইরাকে পরিণত করতে চায়, তাদেরকে আমরা রাজপথে মোকাবিলা করব।

সভাপতির বক্তব্যে নাট্যাভিনেতা পীযূষ বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘বিষদাত আমরা ভেঙে দেবই, দেব। আজকের এই সম্প্রীতি সমাবেশে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে, বাঙালি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী হয়ে এই দেশের চলমান হাজার বছরের অসাম্প্রদায়িকতা, সম্প্রীতি এবং ভ্রাতৃত্ব আমরা রক্ষা করব। এই দেশে আগামী দিনে সাম্প্রদায়িক শক্তি কোন অস্তিত্ব থাকবে না! থাকবে না!

অধ্যাপক ড. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মুক্তযুদ্ধ একাডেমি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান আবুল আজাদ, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এম ওহিদুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক উত্তম কুমার বড়ুয়া, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী দক্ষিণ এশীয় গণসম্মেলনের সভাপতি বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের মহাসচিব হারুন হাবিব, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ঢাকা মহানগরীর সভাপতি চিত্ত রঞ্জন দাস, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ভাষা সৈনিক মনোরঞ্জন ঘোষাল, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মনিরুজ্জামান নান্টু প্রমুখ।

সমাবেশে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, প্রজন্ম একাত্তরসহ প্রায় ৮০টির অধিক সংগঠন সংহতি প্রকাশ করেছে। এছাড়াও লন্ডন থেকে একুশের কবিতা রচয়িতা সাংবাদিক ও লেখক আবদুল গাফফার চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন দেশের বাইরে থেকে সংহতি বার্তা পাঠিয়েছেন।

সভাপতি পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় সমাবেশ থেকে সাত দফা কর্মসূচি ঘোষণা করে। সেগুলো হলোÑ ১. সাম্প্রদায়িক ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে ২. অতীতের ঘটনার দ্রুত বিচার সম্পন্ন করতে হবে ৩. সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের ঘটনা আর যেন না ঘটে, সে জন্য প্রশাসনকে আরও বেশি তৎপর হতে হবে ৪. সাম্প্রতিক ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর এবং উপাসনালয় দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা করতে হবে ৫. মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদসহ শিক্ষা ব্যবস্থায় মানবিক মূল্যবোধ ও সহনশীলতার বিষয় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে ৬. আবহমান বাংলার সংস্কৃতি চর্চায় তরুণ ও যুব সমাজকে অধিকতর সম্পৃক্ত করতে যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে এবং ৭. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ও উস্কানি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।