মাঠে শতভাগ প্রতিশ্রুতি রাখার

আমরা সবাই মরিয়া হয়েই চেষ্টা করছি

আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপের মূল পর্বে জয়ের দেখা পাচ্ছেই না বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আশা জাগিয়েও হার বরণ করা টাইগাররা ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়তে পারেনি। এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হাতের মুঠোয় থাকা জয় ফসকে গেছে ৩ রানের পরাজয়ে। শারজায় হাই ভোল্টেজ ম্যাচে জয়ের জন্য মুখিয়ে ছিল ক্যারিবীয়রাও, কারণ বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা বাংলাদেশের মতোই আগের দুটি ম্যাচে হেরেছে। বাংলাদেশের অগ্নিঝরা বোলিংয়ে বাজে শুরু সত্ত্বেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ জড়ো করে ১৪২ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে সাকিব আল হাসান, নাঈম শেখ, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিমরা বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৩৯ রানে। শ্বাসরুদ্ধকর এই ম্যাচ হারের পর সংবাদ সম্মেলনে আসেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ।

এমন হারের পর কেমন লাগছে রিয়াদের, জবাবে টাইগারদের কাপ্তান বলেন, উইকেট কিছুটা কঠিন ছিল আমরা দেখেছি, যখন আমরা বোলিং শুরু করেছিলাম যখন ব্যাক অব লেংথে বোলিং করা হচ্ছিল উইকেটে ওইভাবে খুব একটা বল আসছিল না, বাউন্স কিছুটা লো ছিল আমরা বুঝতে পেরেছিলাম। তো আমরা ওভাবেই বোলিং করছিলাম। আমাদের বোলাররা ভালোই বোলিং করেছিল কিন্তু যে দুইটা সুযোগ এসেছিল সেগুলো যদি নিতে পারতাম সম্ভবত ১০টা রান কম হত এবং আমাদের জন্য চেজটা কম হত। চেষ্টা করেছি, টি-২০ খেলায় এমন মার্জিন হয়। কিন্তু জিততে পারিনি। কিন্তু এখনও দুইটা ম্যাচ আছে আমরা যদি জিততে পারি দলের জন্য ভালো একটা কিছু হবে। এবং আমরা সবাই মরিয়া হয়েই চেষ্টা করছি মাঠে শতভাগ প্রতিশ্রুতি রাখার। ভুল হচ্ছে কিন্তু আমার মনে হয় দুইটা ম্যাচ জেতার চেষ্টা করব।

শেষ বলে বাংলাদেশের দরকার ছিল ৪ রান। তখন ব্যাটিংয়ে ছিল রিয়াদ। তখন তার ভাবনা ছিল? এমন প্রশ্নের জাবাবে মাহমুদুল্লাহ বলেন, আমার মনে হয় ওই সময়টাতে আমরা ঠিকমতোই ব্যাটিং করছিলাম। আমার ও লিটনের জুটি ভালোই হচ্ছিল। রাসেলের ওই ওভারের আগে ব্রাভোর ওই ওভারে যদি ছয়টা হয়ে যেত তাহলে আমরা অনেক এগিয়ে যেতাম। আমার মনে হয় এটা একটা বড় টার্নিং পয়েন্ট ছিল ওই ম্যাচের। কারণ লিটন সেট ছিল। দুই সেট ব্যাটসম্যান যদি শেষ ওভারে থাকতে পারতাম তাহলে দুজনের একজন শেষ বলে একটি বাউন্ডারি, ছয় বা ইতিবাচক কিছু আসতে পারত। লাস্ট বলটা আমি জানতাম হয়ত ও ব্লক হোলেই করবে যেহেতু লেগ সাইডে চারটা ফিল্ডার ছিল। আগের লেংথ বলটা ও বেশ ভালোভাবেই করেছে, আমি তুলতে পারিনি। চিন্তুা করছিলাম ও যদি মিস করে হয়ত আমি মিড অফের উপর দিয়ে মারতে পারি বা কাভার কিংবা পয়েন্টের উপর দিয়ে মারতে পারব। কিন্তু ওটা আমার দোষ, আমি এক্সিকিউট করতে পারিনি, শেষ বলটা।

অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ আরও বলেন, স্লগ ওভারে আমার মনে হয় না বাংলাদেশে ওরকম কোন পাওয়ার হিটার আছে লাইক আন্দ্রে রাসেল। আমার জানামতে বাংলাদেশে ওরকম কেউ নেই। শামিম প্রপার ব্যাটসম্যান আমার কাছে, টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে মনে হয়েছে আমাদের টপ অর্ডারটা আরেকটু বড় করি কারণ আমিও আজকে একটু নিচে নেমেছি। জাস্ট আমাদের টপ অর্ডারে যেন আমরা হেভি করতে পারি ওইটাই চিন্তা ছিল। শামিম বড় বড় শটস খেলতে পারে তবে এক দুই বল সময় লাগে, ও হিট করতে পারে। ওর ওই রকম পাওয়ার আছে। কিন্তু ওইরকম স্লগার আখ্যা দেয়াটা ঠিক না। এরকম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোতে বিশেষ করে দলের যারা সেরা ফিল্ডার ক্যাচ মিস করে অনেক সময়। কেউতো আর ইচ্ছে করে করে না, কিন্তু আমরা প্রত্যাশা করি যে ওরা সুযোগগুলো নিবে। যেহেতু ধারাবাহিকভাবে ওই ভুলগুলো হচ্ছে ম্যাচ বাই ম্যাচ অবশ্যই এটা একটা কনসার্ন। আমার মনে হয় আমাদের ক্যাচিং আরও ভালো করতে হবে এবং করা উচিত।

শনিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২১ , ১৪ কার্তিক ১৪২৮ ২২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

মাঠে শতভাগ প্রতিশ্রুতি রাখার

আমরা সবাই মরিয়া হয়েই চেষ্টা করছি

ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক

image

আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপের মূল পর্বে জয়ের দেখা পাচ্ছেই না বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আশা জাগিয়েও হার বরণ করা টাইগাররা ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়তে পারেনি। এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হাতের মুঠোয় থাকা জয় ফসকে গেছে ৩ রানের পরাজয়ে। শারজায় হাই ভোল্টেজ ম্যাচে জয়ের জন্য মুখিয়ে ছিল ক্যারিবীয়রাও, কারণ বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা বাংলাদেশের মতোই আগের দুটি ম্যাচে হেরেছে। বাংলাদেশের অগ্নিঝরা বোলিংয়ে বাজে শুরু সত্ত্বেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ জড়ো করে ১৪২ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে সাকিব আল হাসান, নাঈম শেখ, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিমরা বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৩৯ রানে। শ্বাসরুদ্ধকর এই ম্যাচ হারের পর সংবাদ সম্মেলনে আসেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ।

এমন হারের পর কেমন লাগছে রিয়াদের, জবাবে টাইগারদের কাপ্তান বলেন, উইকেট কিছুটা কঠিন ছিল আমরা দেখেছি, যখন আমরা বোলিং শুরু করেছিলাম যখন ব্যাক অব লেংথে বোলিং করা হচ্ছিল উইকেটে ওইভাবে খুব একটা বল আসছিল না, বাউন্স কিছুটা লো ছিল আমরা বুঝতে পেরেছিলাম। তো আমরা ওভাবেই বোলিং করছিলাম। আমাদের বোলাররা ভালোই বোলিং করেছিল কিন্তু যে দুইটা সুযোগ এসেছিল সেগুলো যদি নিতে পারতাম সম্ভবত ১০টা রান কম হত এবং আমাদের জন্য চেজটা কম হত। চেষ্টা করেছি, টি-২০ খেলায় এমন মার্জিন হয়। কিন্তু জিততে পারিনি। কিন্তু এখনও দুইটা ম্যাচ আছে আমরা যদি জিততে পারি দলের জন্য ভালো একটা কিছু হবে। এবং আমরা সবাই মরিয়া হয়েই চেষ্টা করছি মাঠে শতভাগ প্রতিশ্রুতি রাখার। ভুল হচ্ছে কিন্তু আমার মনে হয় দুইটা ম্যাচ জেতার চেষ্টা করব।

শেষ বলে বাংলাদেশের দরকার ছিল ৪ রান। তখন ব্যাটিংয়ে ছিল রিয়াদ। তখন তার ভাবনা ছিল? এমন প্রশ্নের জাবাবে মাহমুদুল্লাহ বলেন, আমার মনে হয় ওই সময়টাতে আমরা ঠিকমতোই ব্যাটিং করছিলাম। আমার ও লিটনের জুটি ভালোই হচ্ছিল। রাসেলের ওই ওভারের আগে ব্রাভোর ওই ওভারে যদি ছয়টা হয়ে যেত তাহলে আমরা অনেক এগিয়ে যেতাম। আমার মনে হয় এটা একটা বড় টার্নিং পয়েন্ট ছিল ওই ম্যাচের। কারণ লিটন সেট ছিল। দুই সেট ব্যাটসম্যান যদি শেষ ওভারে থাকতে পারতাম তাহলে দুজনের একজন শেষ বলে একটি বাউন্ডারি, ছয় বা ইতিবাচক কিছু আসতে পারত। লাস্ট বলটা আমি জানতাম হয়ত ও ব্লক হোলেই করবে যেহেতু লেগ সাইডে চারটা ফিল্ডার ছিল। আগের লেংথ বলটা ও বেশ ভালোভাবেই করেছে, আমি তুলতে পারিনি। চিন্তুা করছিলাম ও যদি মিস করে হয়ত আমি মিড অফের উপর দিয়ে মারতে পারি বা কাভার কিংবা পয়েন্টের উপর দিয়ে মারতে পারব। কিন্তু ওটা আমার দোষ, আমি এক্সিকিউট করতে পারিনি, শেষ বলটা।

অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ আরও বলেন, স্লগ ওভারে আমার মনে হয় না বাংলাদেশে ওরকম কোন পাওয়ার হিটার আছে লাইক আন্দ্রে রাসেল। আমার জানামতে বাংলাদেশে ওরকম কেউ নেই। শামিম প্রপার ব্যাটসম্যান আমার কাছে, টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে মনে হয়েছে আমাদের টপ অর্ডারটা আরেকটু বড় করি কারণ আমিও আজকে একটু নিচে নেমেছি। জাস্ট আমাদের টপ অর্ডারে যেন আমরা হেভি করতে পারি ওইটাই চিন্তা ছিল। শামিম বড় বড় শটস খেলতে পারে তবে এক দুই বল সময় লাগে, ও হিট করতে পারে। ওর ওই রকম পাওয়ার আছে। কিন্তু ওইরকম স্লগার আখ্যা দেয়াটা ঠিক না। এরকম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোতে বিশেষ করে দলের যারা সেরা ফিল্ডার ক্যাচ মিস করে অনেক সময়। কেউতো আর ইচ্ছে করে করে না, কিন্তু আমরা প্রত্যাশা করি যে ওরা সুযোগগুলো নিবে। যেহেতু ধারাবাহিকভাবে ওই ভুলগুলো হচ্ছে ম্যাচ বাই ম্যাচ অবশ্যই এটা একটা কনসার্ন। আমার মনে হয় আমাদের ক্যাচিং আরও ভালো করতে হবে এবং করা উচিত।