ভোটের সহিংসতায় ৩০ দিনে নিহত ৪৭

ভোটের সহিংসতায় নভেম্বর মাসে কমপক্ষে ৪৭ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি ৯৮টি নির্বাচনী সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ৭৮ জন। আহত হয়েছেন ৫০০ এর বেশি মানুষ। বেসরকারি সংস্থা মানবাধিকার সংস্কৃতি ফোরাম (এমএসএফ) গতকাল মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুলতানা কামাল স্বাক্ষরিত পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে জানানো হয়, নিহত ৪৭ জনের মধ্যে ১৬ জন প্রতিপক্ষের গুলিতে এবং চারজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারান। এদের প্রায় সবাই ভোটে অংশ নেয়া প্রার্থীদের সমর্থক বা কর্মী। প্রতিবেদনটি ১১টি জাতীয় গণমাধ্যম ও নিজস্ব তথ্যানুসন্ধান করে তৈরি করা হয়েছে বলে জানায় এমএসএফ।

নীলফামারীতে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ছয়টি বাড়িতে হামলা ও লুটপাট হয়েছে। এই সময়ে ১৩৯ জন নারী ও ১৩৮ জন শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সহিংসতায় সবচেয়ে বেশি নরসিংদী জেলায় ১১ জন নিহত হয়েছেন। ইউপি নির্বাচনের প্রথম তিনটি ধাপে ভোটের আগে-পরে ও ভোটের দিন গোলযোগ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে। বেশ কিছু নির্বাচনী এলাকায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে এবার।

তৃতীয় ধাপে ভোট গ্রহণের দিন আগের ধাপের চেয়ে গোলযোগ-সহিংসতা ও প্রাণহানি তুলনামূলক কম হলেও লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, নেত্রকোনা, সাতক্ষীরা, ফেনীসহ অনেক এলাকায় অনিয়ম, দখলসহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদনে নভেম্বর মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ‘কথিত ক্রসফায়ার’ বা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নয় জন নিহত হয়েছেন বলেও জানায় সংস্থাটি।

বুধবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২১ , ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ২৫ রবিউস সানি ১৪৪৩

ভোটের সহিংসতায় ৩০ দিনে নিহত ৪৭

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

ভোটের সহিংসতায় নভেম্বর মাসে কমপক্ষে ৪৭ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি ৯৮টি নির্বাচনী সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ৭৮ জন। আহত হয়েছেন ৫০০ এর বেশি মানুষ। বেসরকারি সংস্থা মানবাধিকার সংস্কৃতি ফোরাম (এমএসএফ) গতকাল মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুলতানা কামাল স্বাক্ষরিত পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে জানানো হয়, নিহত ৪৭ জনের মধ্যে ১৬ জন প্রতিপক্ষের গুলিতে এবং চারজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারান। এদের প্রায় সবাই ভোটে অংশ নেয়া প্রার্থীদের সমর্থক বা কর্মী। প্রতিবেদনটি ১১টি জাতীয় গণমাধ্যম ও নিজস্ব তথ্যানুসন্ধান করে তৈরি করা হয়েছে বলে জানায় এমএসএফ।

নীলফামারীতে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ছয়টি বাড়িতে হামলা ও লুটপাট হয়েছে। এই সময়ে ১৩৯ জন নারী ও ১৩৮ জন শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সহিংসতায় সবচেয়ে বেশি নরসিংদী জেলায় ১১ জন নিহত হয়েছেন। ইউপি নির্বাচনের প্রথম তিনটি ধাপে ভোটের আগে-পরে ও ভোটের দিন গোলযোগ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে। বেশ কিছু নির্বাচনী এলাকায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে এবার।

তৃতীয় ধাপে ভোট গ্রহণের দিন আগের ধাপের চেয়ে গোলযোগ-সহিংসতা ও প্রাণহানি তুলনামূলক কম হলেও লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, নেত্রকোনা, সাতক্ষীরা, ফেনীসহ অনেক এলাকায় অনিয়ম, দখলসহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদনে নভেম্বর মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ‘কথিত ক্রসফায়ার’ বা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নয় জন নিহত হয়েছেন বলেও জানায় সংস্থাটি।