শুরুতে উইকেট হারালে ম্যাচে ফেরা কঠিন

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের টপ অর্ডার যেন তাসের ঘর। একাধিক পরিবর্তন এনেও এই সমস্যার সমাধান খুঁজে পাচ্ছে না টিম ম্যানেজমেন্ট। ঢাকা টেস্টে অভিষিক্ত মাহমুদুল হাসান জয় থেকে অভিজ্ঞ মোমিনুল হক সবাই ছিলেন ব্যর্থদের দলে। ম্যাচে প্রায় দুই দিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পরও পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ হেরেছে ইনিংস ও ৮ রানের ব্যবধানে। ম্যাচ শেষে তাই টেস্ট হারের দায় টপ অর্ডারকেই দিলেন মোমিনুল। ইনিংসের শুরুতেই দুই-তিন উইকেট হারিয়ে ফেললে ম্যাচে ফেরা কঠিন এমনটাই ধারণা বাংলাদেশ অধিনায়কের। প্রথম ইনিংসে ৩১ রানে চার উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত-সাকিব আল হাসানরা ভালো শুরু পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ৮৭ রানে। আর দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫ রান তুলতেই প্রথম সারির চার ব্যাটারকে হারিয়েছে বাংলাদেশ।

মোমিনুল বলেন, ‘প্রথম ইনিংসের চেয়ে আজকে আমদের ভালো করার সুযোগ ছিল। আমাদের কিছু ইতিবাচক পারফরম্যান্স রয়েছে। সাকিব, লিটন ও মুশফিক ভালো করেছে। কিন্তু আমরা ভালোভাবে শেষ করতে পারিনি। আপনি যদি তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটের কথা চিন্তা করেন। আপনি যদি শুরুতে দুই-তিন উইকেট হারিয়ে ফেলেন তবে খেলায় ফিরে আসা খুব কঠিন।’

পাকিস্তানের বিপক্ষে দল হিসেবে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। তবে এ টেস্টেও নিজের ব্যাটিং ফর্ম ধরে রেখেছিলেন লিটন দাশ। আর বল হাতে দুই টেস্টেই দুর্দান্ত ছিলেন তাইজুল ইসলাম। তাই ম্যাচ শেষে তাদের প্রশংসা শোনা গেছে মোমিনুলের কণ্ঠে। মোমিনুল বলেন, ‘এক, দুই, তিন এবং চার নম্বরে আমাদের অনেক কাজ করতে হবে। লিটন চট্টগ্রামে এবং এখানে খুব ভালো খেলেছে। আশা করি সে এই ফর্ম ধরে রাখতে পারবে। তাইজুল দারুণ বল করেছে চট্টগ্রামে এবং এখানে। আমি আশাবাদী সে এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখবে।

বাংলাদেশের অধিনায়ক আরও বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় পুরো হতাশার। বিশেষ করে ১-৪ ব্যাটাররা, মানে এক কথায় বলব খুবই বাজে দিন ছিল গতকাল। এক সেশনে ৭ উইকেট হারিয়েছি। এখানে অজুহাত দেয়ার কিছু নেই। আমরা খুব বাজে ব্যাট করেছি। এরকম অবস্থায় ফিরে আসা কঠিন। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে মুশফিক-সাকিব ভাই ও লিটন-মিরাজ খুব ভালো চেষ্টা করেছে। প্রথম ইনিংসের কথা যদি বলেন, দেখেন আমার আউটটা সিলি মিসটেক ছিল, আমার হয়তো তাড়াহুড়ো করে রান নেয়া উচিত হয়নি। কিন্তু সবাই মারতে গিয়ে আউট হয়নি। কারণ ওই উইকেটে মুশফিক ও লিটনকে সমর্থন করব। কারণ তখন উইকেটে বল ঘুরছিল অনেক। ওই উইকেটে ওরা যে টার্গেটটা নিয়েছিল যেমন মুশফিক ভাই স্কয়ার অব দ্যা উইকেটে মেরেছিল দুর্ভাগ্যবশত সংযোগ হয় নাই। আসলে এসব উইকেটে বেশি রক্ষণাত্মক খেললে কঠিন হয়ে যায়। আমার মনে হয় উইকেটটা বেশি বাজে ছিল। ওই সময় এসব রান না নেয়াটা বেটার। ’

বৃহস্পতিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২১ , ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ৪ জমাদিউল আউয়াল

শুরুতে উইকেট হারালে ম্যাচে ফেরা কঠিন

ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক

image

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের টপ অর্ডার যেন তাসের ঘর। একাধিক পরিবর্তন এনেও এই সমস্যার সমাধান খুঁজে পাচ্ছে না টিম ম্যানেজমেন্ট। ঢাকা টেস্টে অভিষিক্ত মাহমুদুল হাসান জয় থেকে অভিজ্ঞ মোমিনুল হক সবাই ছিলেন ব্যর্থদের দলে। ম্যাচে প্রায় দুই দিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পরও পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ হেরেছে ইনিংস ও ৮ রানের ব্যবধানে। ম্যাচ শেষে তাই টেস্ট হারের দায় টপ অর্ডারকেই দিলেন মোমিনুল। ইনিংসের শুরুতেই দুই-তিন উইকেট হারিয়ে ফেললে ম্যাচে ফেরা কঠিন এমনটাই ধারণা বাংলাদেশ অধিনায়কের। প্রথম ইনিংসে ৩১ রানে চার উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত-সাকিব আল হাসানরা ভালো শুরু পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ৮৭ রানে। আর দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫ রান তুলতেই প্রথম সারির চার ব্যাটারকে হারিয়েছে বাংলাদেশ।

মোমিনুল বলেন, ‘প্রথম ইনিংসের চেয়ে আজকে আমদের ভালো করার সুযোগ ছিল। আমাদের কিছু ইতিবাচক পারফরম্যান্স রয়েছে। সাকিব, লিটন ও মুশফিক ভালো করেছে। কিন্তু আমরা ভালোভাবে শেষ করতে পারিনি। আপনি যদি তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটের কথা চিন্তা করেন। আপনি যদি শুরুতে দুই-তিন উইকেট হারিয়ে ফেলেন তবে খেলায় ফিরে আসা খুব কঠিন।’

পাকিস্তানের বিপক্ষে দল হিসেবে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। তবে এ টেস্টেও নিজের ব্যাটিং ফর্ম ধরে রেখেছিলেন লিটন দাশ। আর বল হাতে দুই টেস্টেই দুর্দান্ত ছিলেন তাইজুল ইসলাম। তাই ম্যাচ শেষে তাদের প্রশংসা শোনা গেছে মোমিনুলের কণ্ঠে। মোমিনুল বলেন, ‘এক, দুই, তিন এবং চার নম্বরে আমাদের অনেক কাজ করতে হবে। লিটন চট্টগ্রামে এবং এখানে খুব ভালো খেলেছে। আশা করি সে এই ফর্ম ধরে রাখতে পারবে। তাইজুল দারুণ বল করেছে চট্টগ্রামে এবং এখানে। আমি আশাবাদী সে এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখবে।

বাংলাদেশের অধিনায়ক আরও বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় পুরো হতাশার। বিশেষ করে ১-৪ ব্যাটাররা, মানে এক কথায় বলব খুবই বাজে দিন ছিল গতকাল। এক সেশনে ৭ উইকেট হারিয়েছি। এখানে অজুহাত দেয়ার কিছু নেই। আমরা খুব বাজে ব্যাট করেছি। এরকম অবস্থায় ফিরে আসা কঠিন। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে মুশফিক-সাকিব ভাই ও লিটন-মিরাজ খুব ভালো চেষ্টা করেছে। প্রথম ইনিংসের কথা যদি বলেন, দেখেন আমার আউটটা সিলি মিসটেক ছিল, আমার হয়তো তাড়াহুড়ো করে রান নেয়া উচিত হয়নি। কিন্তু সবাই মারতে গিয়ে আউট হয়নি। কারণ ওই উইকেটে মুশফিক ও লিটনকে সমর্থন করব। কারণ তখন উইকেটে বল ঘুরছিল অনেক। ওই উইকেটে ওরা যে টার্গেটটা নিয়েছিল যেমন মুশফিক ভাই স্কয়ার অব দ্যা উইকেটে মেরেছিল দুর্ভাগ্যবশত সংযোগ হয় নাই। আসলে এসব উইকেটে বেশি রক্ষণাত্মক খেললে কঠিন হয়ে যায়। আমার মনে হয় উইকেটটা বেশি বাজে ছিল। ওই সময় এসব রান না নেয়াটা বেটার। ’