অভিষিক্ত অধিনায়ক কামিন্স তোপে লণ্ডভণ্ড ইংল্যান্ড। ব্রিজবেন টেস্টের প্রথম বলেই মিচেল স্টার্কের দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে বোল্ড হন বার্নস। ইংল্যান্ডকে চেপে ধরতে এরপর দেখা গেল ‘প্যাট কামিন্স শো’। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে নেতৃত্বের শুরুটা দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে রাঙালেন এই পেসার। উপহার দিলেন আগুন ঝরা বোলিং। পুড়ে ছাই হলো ইংলিশ ব্যাটিং। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম ম্যাচেই ইংল্যান্ডকে ধরাশায়ী করলেন অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্স। বুধবার ঐতিহ্যবাহী অ্যাশেজ সিরিজ দিয়ে অজি অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক ঘটলো কামিন্সের।
প্রথম টেস্টের প্রথম দিনই বল হাতে সফরকারীদের লণ্ডভণ্ড করে দিলেন কামিন্স। তার বোলিং তোপে প্রথম ইনিংসে ১৪৭ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। ৩৮ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন কামিন্স। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচেই এমন কীর্তিতে রেকর্ড বইয়ে একাধিক জায়গায় নিজের নামও তুলেছেন তিনি।
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে ইংল্যান্ড। ইনিংসের প্রথম বলেই ইংল্যান্ডের ওপেনার বার্নসকে বোল্ড করেন অস্ট্রেলিয়ার পেসার মিচেল স্টার্ক। স্টার্কের এমন শুরু অব্যাহত রাখেন আরেক পেসার জশ হ্যাজেলউড ও কামিন্স। ইংল্যান্ডের মিডল-অর্ডারকে দুমড়ে-মুচড়ে ফেলেন তারা। এক পর্যায়ে ২৯ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে মহাচাপে পড়ে ইংল্যান্ড।
টপ-অর্ডারের সঙ্গীদের যাওয়া-আসার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন ওপেনার হাসিব হামিদ কামিন্সের শিকার হন ব্যাক্তিগত ২৫ রানে।
দলীয় ৬০ রানে পঞ্চম উইকেট পতনের দ্রুত অল-আউটের শঙ্কা জাগে ইংল্যান্ড শিবিরে। তবে সেটি হতে দেননি উইকেটরক্ষক জশ বাটলার ও ওলি পোপ। ষষ্ঠ উইকেটে দলের স্কোর ১শ’ পার করেন বাটলার ও পোপ। গড়েন ৫২ রানের জুটি। ৪১তম ওভারে স্টার্ক বাটলারকে (৩৯ রান) বিদায় করেন।
ব্যক্তিগত ৩৫ রানে ১৬ বল বাদে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন পোপ। দলীয় ১১৮ রানে সপ্তম ব্যাটার হিসেবে আউট হন পোপ।
এরপর ইংল্যান্ডের শেষ ৩ উইকেট তুলে ৫০ দশমিক ১ ওভারে প্রতিপক্ষের ইনিংসের ইতি টানেন কামিন্স।
ইনিংসে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন কামিন্স।
কামিন্সের কীর্তির পর বৃষ্টির কারণে দিনের খেলা আর মাঠে গড়াতে পারেনি।
১৯৬২ সালে লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার রিচি বেনোর পর অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক হিসেবে পাঁচ উইকেট নিলেন কামিন্স।
বৃহস্পতিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২১ , ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ৪ জমাদিউল আউয়াল
সংবাদ স্পোর্টস ডেস্ক
অভিষিক্ত অধিনায়ক কামিন্স তোপে লণ্ডভণ্ড ইংল্যান্ড। ব্রিজবেন টেস্টের প্রথম বলেই মিচেল স্টার্কের দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে বোল্ড হন বার্নস। ইংল্যান্ডকে চেপে ধরতে এরপর দেখা গেল ‘প্যাট কামিন্স শো’। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে নেতৃত্বের শুরুটা দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে রাঙালেন এই পেসার। উপহার দিলেন আগুন ঝরা বোলিং। পুড়ে ছাই হলো ইংলিশ ব্যাটিং। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম ম্যাচেই ইংল্যান্ডকে ধরাশায়ী করলেন অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্স। বুধবার ঐতিহ্যবাহী অ্যাশেজ সিরিজ দিয়ে অজি অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক ঘটলো কামিন্সের।
প্রথম টেস্টের প্রথম দিনই বল হাতে সফরকারীদের লণ্ডভণ্ড করে দিলেন কামিন্স। তার বোলিং তোপে প্রথম ইনিংসে ১৪৭ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। ৩৮ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন কামিন্স। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচেই এমন কীর্তিতে রেকর্ড বইয়ে একাধিক জায়গায় নিজের নামও তুলেছেন তিনি।
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে ইংল্যান্ড। ইনিংসের প্রথম বলেই ইংল্যান্ডের ওপেনার বার্নসকে বোল্ড করেন অস্ট্রেলিয়ার পেসার মিচেল স্টার্ক। স্টার্কের এমন শুরু অব্যাহত রাখেন আরেক পেসার জশ হ্যাজেলউড ও কামিন্স। ইংল্যান্ডের মিডল-অর্ডারকে দুমড়ে-মুচড়ে ফেলেন তারা। এক পর্যায়ে ২৯ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে মহাচাপে পড়ে ইংল্যান্ড।
টপ-অর্ডারের সঙ্গীদের যাওয়া-আসার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন ওপেনার হাসিব হামিদ কামিন্সের শিকার হন ব্যাক্তিগত ২৫ রানে।
দলীয় ৬০ রানে পঞ্চম উইকেট পতনের দ্রুত অল-আউটের শঙ্কা জাগে ইংল্যান্ড শিবিরে। তবে সেটি হতে দেননি উইকেটরক্ষক জশ বাটলার ও ওলি পোপ। ষষ্ঠ উইকেটে দলের স্কোর ১শ’ পার করেন বাটলার ও পোপ। গড়েন ৫২ রানের জুটি। ৪১তম ওভারে স্টার্ক বাটলারকে (৩৯ রান) বিদায় করেন।
ব্যক্তিগত ৩৫ রানে ১৬ বল বাদে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন পোপ। দলীয় ১১৮ রানে সপ্তম ব্যাটার হিসেবে আউট হন পোপ।
এরপর ইংল্যান্ডের শেষ ৩ উইকেট তুলে ৫০ দশমিক ১ ওভারে প্রতিপক্ষের ইনিংসের ইতি টানেন কামিন্স।
ইনিংসে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন কামিন্স।
কামিন্সের কীর্তির পর বৃষ্টির কারণে দিনের খেলা আর মাঠে গড়াতে পারেনি।
১৯৬২ সালে লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার রিচি বেনোর পর অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক হিসেবে পাঁচ উইকেট নিলেন কামিন্স।