আমনের ভরা মৌসুমে চালের দাম চড়া

ওএমএস’র দোকানে ভিড়

ধানের জেলা কিশোরগঞ্জ দেশের খাদ্য চাহিদার একটি বড় অংশের যোগান দিয়ে থাকে। অথচ আমনের ভরা মৌসুমেও বাজারে চালের দাম অনেক চড়া। নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্যান্য পণ্যের দামও চড়া। স্বল্প ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের তাই নাভিশ্বাস অবস্থা। আর এ রকম পরিস্থিতিতে ওএমএস’র দোকানে নারী-পুরুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ওএমএস ডিলারদের মাধ্যমে চাল এবং আটা বিক্রি করা হচ্ছে।

বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে ব্রিধান-২৮ জাতের চাল মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা কেজি। ব্রিধান-২৯ জাতের চাল ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা কেজি। পাইজাম ৬২ টাকা কেজি, টোপা বোরো ৬৬ থেকে ৬৮ টাকা কেজি।

বর্তমান বাজারে যে মানের মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি, সেটি ওএমএস’র মাধ্যমে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি। আর বাজারে একটু ভাল মানের আটা বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা কেজি। অন্যদিকে ওএমএস’র মাধ্যমে বিক্রি হচ্ছে ১৮ টাকা কেজি। তবে ওএমএস’র আটার মানও মোটামুটি ভালই বলে ক্রেতারা জানিয়েছেন। একজন ক্রেতাকে দেয়া হচ্ছে ৫ কেজি চাল এবং ৫ কেজি আটা। শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহে ৬ দিন ওএমএস’র পণ্য বিক্রি হচ্ছে। আর একজন ডিলারকে খাদ্য অধিদপ্তর থেকে প্রতিদিন বরাদ্দ দিচ্ছে এক টন চাল এবং এক টন আটা।

কিশোরগঞ্জ পৌরসভা চত্বরে গিয়ে দেখা গেছে, নারী ও পুরুষদের লম্বা লাইন। একজন ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে এসব চাল এবং আটা বিক্রি করা হচ্ছে। এগুলো ডিজিটাল ওজন পরিমাপক যন্ত্রের সাহায্যে মেপে দেয়া হচ্ছে। কাজেই ক্রেতাদের কাছ থেকে ওজনে কারচুপির কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

বৃহস্পতিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২১ , ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ৪ জমাদিউল আউয়াল

আমনের ভরা মৌসুমে চালের দাম চড়া

ওএমএস’র দোকানে ভিড়

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

ধানের জেলা কিশোরগঞ্জ দেশের খাদ্য চাহিদার একটি বড় অংশের যোগান দিয়ে থাকে। অথচ আমনের ভরা মৌসুমেও বাজারে চালের দাম অনেক চড়া। নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্যান্য পণ্যের দামও চড়া। স্বল্প ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের তাই নাভিশ্বাস অবস্থা। আর এ রকম পরিস্থিতিতে ওএমএস’র দোকানে নারী-পুরুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ওএমএস ডিলারদের মাধ্যমে চাল এবং আটা বিক্রি করা হচ্ছে।

বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে ব্রিধান-২৮ জাতের চাল মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা কেজি। ব্রিধান-২৯ জাতের চাল ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা কেজি। পাইজাম ৬২ টাকা কেজি, টোপা বোরো ৬৬ থেকে ৬৮ টাকা কেজি।

বর্তমান বাজারে যে মানের মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি, সেটি ওএমএস’র মাধ্যমে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি। আর বাজারে একটু ভাল মানের আটা বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা কেজি। অন্যদিকে ওএমএস’র মাধ্যমে বিক্রি হচ্ছে ১৮ টাকা কেজি। তবে ওএমএস’র আটার মানও মোটামুটি ভালই বলে ক্রেতারা জানিয়েছেন। একজন ক্রেতাকে দেয়া হচ্ছে ৫ কেজি চাল এবং ৫ কেজি আটা। শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহে ৬ দিন ওএমএস’র পণ্য বিক্রি হচ্ছে। আর একজন ডিলারকে খাদ্য অধিদপ্তর থেকে প্রতিদিন বরাদ্দ দিচ্ছে এক টন চাল এবং এক টন আটা।

কিশোরগঞ্জ পৌরসভা চত্বরে গিয়ে দেখা গেছে, নারী ও পুরুষদের লম্বা লাইন। একজন ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে এসব চাল এবং আটা বিক্রি করা হচ্ছে। এগুলো ডিজিটাল ওজন পরিমাপক যন্ত্রের সাহায্যে মেপে দেয়া হচ্ছে। কাজেই ক্রেতাদের কাছ থেকে ওজনে কারচুপির কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।