স¦াধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্যদের সম্মাননা

স্বাধীনতার ৫০ বছর পুর্তিতে মহান মুক্তিযুদ্ধে ফুটবল মাঠের সৈনিকরা বুধবার বাফুফের দেয়া সংবর্ধনায় আসেন। ফুল দিয়ে বরণ করা হয় স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্যদের, ক্রেস্ট দিয়ে সম্মানও জানানো হয়।

স্বাধীনবাংলা ফুটবল দলের ১৫ জন সদস্য ডায়াসের পেছনে সারিবদ্ধভাবে চেয়ারে বসেন। এরা হলেন- মোহাম্মদ কায়কোবাদ, শেখ আশরাফ আলী, বিমল কর, সুভাষ সাহা, ফজলে হোসাইন খোকন, আমিনুল ইসলাম সুরুজ, আবদুুল মোমিন জোয়ারদার, আবদুস সাত্তার, মুজিবুর রহমান, সাইদুর রহমান প্যাটেল, মোজাম্মেল হক, বীরেন শিং বিরু, আবুল কাশেম, বদিউজ্জামান ও মইন সিনহা। আর সামনের সারিতে প্রধান অতিথি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বসেন স্বাধীনবাংলা ফুটবল দলের ম্যানেজার তানভীর মাজহার তান্না, বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু ও সহকারী অধিনায়ক প্রতাপ শংকর হাজরা। তবে ২৭ বছর পর এনায়েতুর রহমান দেশে ফিরলেও আসেননি বাফুফের সংবর্ধনা সভায়। স্বাধীনবাংলা ফুটবল দলের প্রস্তাবক সাইদুর রহমান প্যাটেল দল গঠনের দীর্ঘ স্মৃতিচারণ করেন। জাকারিয়া পিন্টু বলেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে সবার সঙ্গে আমি যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করেছি।’ ম্যানেজার তানভিনর মাজহার ইসলাম তান্না বলেন, ‘ওই সময় আমরা সবাই নিরাপত্তার স্বার্থে ছদ্মনাম ব্যবহার করেছিলাম। এখন মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেটে আমাদের নাম স্থান পেয়েছে। তাই আমরা সবাই খুশী।’ পরে মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে বাংলাদেশ ক্রীড়া সমিতিকেও স্বীকৃতি দেয়ার জন্য প্রতিমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন তান্না। এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের দেখে আমার মনে পড়ে যায় ওই সময়ের কথা। আজকের রোহিঙ্গাদের মতোই তখন ভারতে ছিলাম আমরা।’ স্বাধীনবাংলা ফুটবল দলকে এ মাসেই সংবর্ধনা দেবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২১ , ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ৪ জমাদিউল আউয়াল

স¦াধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্যদের সম্মাননা

image

স্বাধীনতার ৫০ বছর পুর্তিতে মহান মুক্তিযুদ্ধে ফুটবল মাঠের সৈনিকরা বুধবার বাফুফের দেয়া সংবর্ধনায় আসেন। ফুল দিয়ে বরণ করা হয় স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্যদের, ক্রেস্ট দিয়ে সম্মানও জানানো হয়।

স্বাধীনবাংলা ফুটবল দলের ১৫ জন সদস্য ডায়াসের পেছনে সারিবদ্ধভাবে চেয়ারে বসেন। এরা হলেন- মোহাম্মদ কায়কোবাদ, শেখ আশরাফ আলী, বিমল কর, সুভাষ সাহা, ফজলে হোসাইন খোকন, আমিনুল ইসলাম সুরুজ, আবদুুল মোমিন জোয়ারদার, আবদুস সাত্তার, মুজিবুর রহমান, সাইদুর রহমান প্যাটেল, মোজাম্মেল হক, বীরেন শিং বিরু, আবুল কাশেম, বদিউজ্জামান ও মইন সিনহা। আর সামনের সারিতে প্রধান অতিথি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বসেন স্বাধীনবাংলা ফুটবল দলের ম্যানেজার তানভীর মাজহার তান্না, বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু ও সহকারী অধিনায়ক প্রতাপ শংকর হাজরা। তবে ২৭ বছর পর এনায়েতুর রহমান দেশে ফিরলেও আসেননি বাফুফের সংবর্ধনা সভায়। স্বাধীনবাংলা ফুটবল দলের প্রস্তাবক সাইদুর রহমান প্যাটেল দল গঠনের দীর্ঘ স্মৃতিচারণ করেন। জাকারিয়া পিন্টু বলেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে সবার সঙ্গে আমি যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করেছি।’ ম্যানেজার তানভিনর মাজহার ইসলাম তান্না বলেন, ‘ওই সময় আমরা সবাই নিরাপত্তার স্বার্থে ছদ্মনাম ব্যবহার করেছিলাম। এখন মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেটে আমাদের নাম স্থান পেয়েছে। তাই আমরা সবাই খুশী।’ পরে মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে বাংলাদেশ ক্রীড়া সমিতিকেও স্বীকৃতি দেয়ার জন্য প্রতিমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন তান্না। এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের দেখে আমার মনে পড়ে যায় ওই সময়ের কথা। আজকের রোহিঙ্গাদের মতোই তখন ভারতে ছিলাম আমরা।’ স্বাধীনবাংলা ফুটবল দলকে এ মাসেই সংবর্ধনা দেবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।