বছরের শুরুতে সড়কে ঝরল ১৭ প্রাণ

স্কুলে ভর্তি হয়েও পড়া হলো না তিন ছাত্রের

বছরের শুরুতে দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭টি প্রাণ ঝরে গেছে। এভাবে প্রতিদিনই সড়ক দুর্ঘটনায় স্বজন হারাচ্ছেন অনেকেই। আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করছেন অনেক মানুষ। তবুও সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না সরকার।

গতকাল দিনাজপুর-ঠাকুরগাঁও মহাসড়কে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় নিহত হয়েছেন মোটরসাইকেল আরোহী তিন বন্ধু। বছরের শুরুতে স্কুলের নতুন শ্রেণীতে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষে বাড়ি ফেরার পথে নিহত হন তারা। এ ছাড়া গতকাল বরিশালের মুলাদী উপজেলায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় একজন প্রবাসীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।

এর আগে গত শনিবার দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও ১১ জন নিহত হয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে গত শনিবার রাতে বাকেরগঞ্জের পাদ্রিশিবপুর এলাকায় পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল পরিবহনের ট্রলি ছিটকে পড়ে চালক রমজান আলী (২৬) নিহত হয়েছেন।

দুর্ঘটনায় প্রধান ১০টি কারণ হলো ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল, তরুণ ও যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিআরটিএর সক্ষমতার ঘাটতি এবং গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজির কারণে এই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে বলে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয়ে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান সংবাদকে বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষে দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা নেই। তাই নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। ২০২২ সালের নতুন বছরের গত দুই দিয়ে প্রায় ১৭ জন নিহত হয়েছে।’ সড়ক পরিবহন খাতের নৈরাজ্য ও অব্যবস্থাপনার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানান তিনি।

স্কুলে পড়া হলো না তিন শিক্ষার্থীর

মোটরসাইকেলে করে স্কুলে নতুন শ্রেণীতে ভর্তি হতে এসেছিল তিন বন্ধু। ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করে বাড়ি ফিরছিল তারা। পথে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় তিন বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার দিনাজপুর-ঠাকুরগাঁও মহাসড়কের মাকড়াই কমরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

দিনাজপুর প্রতিনিধি জানান, এ ঘটনায় বীরগঞ্জের সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে আসে। দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন আফসার আলীর ছেলে শাহাদাত (১৪), জাহাঙ্গীরের ছেলে শাহরিয়ার শুভ (১৪) এবং শুকুর আলীর ছেলে মোজাহিদ (১৩)। নিহত তিনজনই বীরগঞ্জ উপজেলার সøুইস গেট সংলগ্ন মাকড়াই গ্রামের বাসিন্দা। এদের মধ্যে সাহাদত এবং শাহরিয়ার শুভ কবি নজরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র এবং মোজাহিদ একই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র।

নিহতদের সহপাঠী মো. জিহাদ ইসলাম জানান, শাহরিয়ার শুভ তার বাবার মোটরসাইকেল নিয়ে সাহাদত এবং মোজাহিদসহ সকালে বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আসে। বিদ্যালয়ে ভর্তির পর মোটরসাইকেল নিয়ে শাহরিয়ার শুভসহ তিনজন ঘুরতে বেড়িয়ে পড়ে।

এর এক পর্যায়ে সুজালপুর ইউনিয়নের দিনাজপুর-পঞ্চগড় সড়কের চাকাই নামক স্থানে একটি মাইক্রোবাসকে অতিক্রম করার সময় পিছন হতে আসা একটি ট্রাক তাদের চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই সাহাদত এবং শাহরিয়ার শুভ মারা যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় মোজাহিদকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।

বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মতিন প্রধান দুর্ঘটনায় তিন স্কুলছাত্রের মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, বীরগঞ্জ নজরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্র্থী মোটরসাইকেলে চড়ে যাওয়ার পথে পেছন হতে একটি দ্রুতগামী ট্রাক মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই দুইজন মারা যায়। অন্যজন স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর মারা যায়।

বরিশালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত তিন

বরিশালের মুলাদি উপজেলায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় একজন প্রবাসীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। গতকাল দুপুরে মুলাদি-মীরগঞ্জ সড়কের কাজিরহাট ঈদগাহ সংলগ্ন এলাকায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় কাজিরচর এলাকার খালেক হাওলাদারের ছেলে ইদ্রিস হাওলাদার (৬০), কালাই নলির ছেলে হারুন নলী (৪৫) ও মোনাসেফ আলীর ছেলে ওমান প্রবাসী রাজীব নলী (২৩) সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন মুলাদি থানার ওসি এসএম মাকসুদুর রহমান।

ওসি জানান, মীরগঞ্জ থেকে মোটরসাইকেলযোগে বড়ইয়া কাজিরচর যাচ্ছিলেন নিহত তিনজন। পথিমধ্যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেলটি সড়কের পাশে একটি গাছে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনজনই মারা যান। এ ছাড়া বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের বাকেরগঞ্জের বটতলা এলাকায় একটি মিনিবাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের গাছের ওপর আছড়ে পড়লে ১৫ জন যাত্রী আহত হয়েছে। গুরুতর আহত তিনজনকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। যাত্রীবাহী মিনি বাসটিরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্র জানায়।

সোমবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২২ , ১৯ পৌষ ১৪২৮ ২৯ জমাদিউল আউয়াল

বছরের শুরুতে সড়কে ঝরল ১৭ প্রাণ

স্কুলে ভর্তি হয়েও পড়া হলো না তিন ছাত্রের

image

গতকালের দুর্ঘটনা চিত্র। দিনাজপুর-ঠাকুরগাঁও মহাসড়কের মাকড়াই করমপুরে বেপরোয়া কাভার্ডভ্যান ৩ ছাত্রকে মেরে রাস্তার পাশে উল্টে পড়ে -সংবাদ

বছরের শুরুতে দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭টি প্রাণ ঝরে গেছে। এভাবে প্রতিদিনই সড়ক দুর্ঘটনায় স্বজন হারাচ্ছেন অনেকেই। আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করছেন অনেক মানুষ। তবুও সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না সরকার।

গতকাল দিনাজপুর-ঠাকুরগাঁও মহাসড়কে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় নিহত হয়েছেন মোটরসাইকেল আরোহী তিন বন্ধু। বছরের শুরুতে স্কুলের নতুন শ্রেণীতে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষে বাড়ি ফেরার পথে নিহত হন তারা। এ ছাড়া গতকাল বরিশালের মুলাদী উপজেলায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় একজন প্রবাসীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।

এর আগে গত শনিবার দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও ১১ জন নিহত হয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে গত শনিবার রাতে বাকেরগঞ্জের পাদ্রিশিবপুর এলাকায় পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল পরিবহনের ট্রলি ছিটকে পড়ে চালক রমজান আলী (২৬) নিহত হয়েছেন।

দুর্ঘটনায় প্রধান ১০টি কারণ হলো ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল, তরুণ ও যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিআরটিএর সক্ষমতার ঘাটতি এবং গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজির কারণে এই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে বলে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয়ে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান সংবাদকে বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষে দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা নেই। তাই নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। ২০২২ সালের নতুন বছরের গত দুই দিয়ে প্রায় ১৭ জন নিহত হয়েছে।’ সড়ক পরিবহন খাতের নৈরাজ্য ও অব্যবস্থাপনার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানান তিনি।

স্কুলে পড়া হলো না তিন শিক্ষার্থীর

মোটরসাইকেলে করে স্কুলে নতুন শ্রেণীতে ভর্তি হতে এসেছিল তিন বন্ধু। ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করে বাড়ি ফিরছিল তারা। পথে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় তিন বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার দিনাজপুর-ঠাকুরগাঁও মহাসড়কের মাকড়াই কমরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

দিনাজপুর প্রতিনিধি জানান, এ ঘটনায় বীরগঞ্জের সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে আসে। দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন আফসার আলীর ছেলে শাহাদাত (১৪), জাহাঙ্গীরের ছেলে শাহরিয়ার শুভ (১৪) এবং শুকুর আলীর ছেলে মোজাহিদ (১৩)। নিহত তিনজনই বীরগঞ্জ উপজেলার সøুইস গেট সংলগ্ন মাকড়াই গ্রামের বাসিন্দা। এদের মধ্যে সাহাদত এবং শাহরিয়ার শুভ কবি নজরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র এবং মোজাহিদ একই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র।

নিহতদের সহপাঠী মো. জিহাদ ইসলাম জানান, শাহরিয়ার শুভ তার বাবার মোটরসাইকেল নিয়ে সাহাদত এবং মোজাহিদসহ সকালে বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আসে। বিদ্যালয়ে ভর্তির পর মোটরসাইকেল নিয়ে শাহরিয়ার শুভসহ তিনজন ঘুরতে বেড়িয়ে পড়ে।

এর এক পর্যায়ে সুজালপুর ইউনিয়নের দিনাজপুর-পঞ্চগড় সড়কের চাকাই নামক স্থানে একটি মাইক্রোবাসকে অতিক্রম করার সময় পিছন হতে আসা একটি ট্রাক তাদের চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই সাহাদত এবং শাহরিয়ার শুভ মারা যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় মোজাহিদকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।

বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মতিন প্রধান দুর্ঘটনায় তিন স্কুলছাত্রের মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, বীরগঞ্জ নজরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্র্থী মোটরসাইকেলে চড়ে যাওয়ার পথে পেছন হতে একটি দ্রুতগামী ট্রাক মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই দুইজন মারা যায়। অন্যজন স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর মারা যায়।

বরিশালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত তিন

বরিশালের মুলাদি উপজেলায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় একজন প্রবাসীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। গতকাল দুপুরে মুলাদি-মীরগঞ্জ সড়কের কাজিরহাট ঈদগাহ সংলগ্ন এলাকায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় কাজিরচর এলাকার খালেক হাওলাদারের ছেলে ইদ্রিস হাওলাদার (৬০), কালাই নলির ছেলে হারুন নলী (৪৫) ও মোনাসেফ আলীর ছেলে ওমান প্রবাসী রাজীব নলী (২৩) সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন মুলাদি থানার ওসি এসএম মাকসুদুর রহমান।

ওসি জানান, মীরগঞ্জ থেকে মোটরসাইকেলযোগে বড়ইয়া কাজিরচর যাচ্ছিলেন নিহত তিনজন। পথিমধ্যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেলটি সড়কের পাশে একটি গাছে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনজনই মারা যান। এ ছাড়া বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের বাকেরগঞ্জের বটতলা এলাকায় একটি মিনিবাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের গাছের ওপর আছড়ে পড়লে ১৫ জন যাত্রী আহত হয়েছে। গুরুতর আহত তিনজনকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। যাত্রীবাহী মিনি বাসটিরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্র জানায়।