কুচকাওয়াজে শুরু পুলিশ সপ্তাহ

রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স প্যারেড গ্রাউন্ডে কুচকাওয়াজের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে পুলিশ সপ্তাহ ২০২২। গতকাল ভার্চুয়ালি গণভবন থেকে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করেন। পুলিশের ৯টি কন্টিনজেন্ট ও পতাকাবাহী দলের সুশৃঙ্খল অভিবাদন গ্রহণ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে প্যারেড গ্রাউন্ডে উপস্থিত থেকে প্যারেড পরিদর্শন ও পদকপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের পদক পরিয়ে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ।

বার্ষিক পুলিশ প্যারেডে অধিনায়ক হিসেবে নেতৃত্ব দেন পুলিশ সুপার মো. ছালেহ উদ্দিন। তার নেতৃত্বে বিভিন্ন কন্টিনজেন্টের পুলিশ সদস্যরা প্যারেডে অংশ নেন। এবার ১১টি ইউনিট প্যারেডের মধ্যে ৯টি ইউনিট প্যারেডে অংশ নেয়। প্যারেডে ৯টি দলের সঙ্গে প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করে পুলিশের ডগ স্কোয়াড, বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াট ও মোটরবাইক ইউনিট।

প্যারেডে অংশ নিতে ঢাকার বাইরে থেকে পুলিশের কোন সদস্যকে আনা হয়নি। ৬৪ জেলার এসপি, রেঞ্জ ও ইউনিট প্রধান এবং ডিএমপির ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। করোনার কারণে আমন্ত্রিত অতিথিও ছিল কম। বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য ও প্রশাসনের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এবার স্বল্পসংখ্যক পুলিশ সদস্যকে পদক পরিয়ে দেয়া হয়েছে। ব্যাজ পাওয়া কর্মকর্তাদের পুলিশ সপ্তাহের অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে বাকিদের নিজ নিজ দপ্তরে পৌঁছে দেয়া হবে এই ব্যাজ। ব্যাজ পদকের পাশাপাশি প্রত্যেককে আর্থিক পুরস্কারও দেয়া হচ্ছে।

‘দক্ষ পুলিশ, সমৃদ্ধ দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে পাঁচ দিনব্যাপী শুরু হওয়া পুলিশ সপ্তাহ শেষ হবে ২৭ জানুয়ারি। পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে ২০২০ সালে ১১৫ এবং ২০২১ সালে ১১৫ জনসহ মোট ২৩০ পুলিশ সদস্যকে চার ক্যাটাগরিতে পদক দেয়া হয়। এছাড়া কল্যাণকর কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২০ ও ২০২১ সালের জন্য ৭৪২ পুলিশ সদস্যকে পুলিশ ফোর্স অ্যাক্সেমপ্ল্যারি গুড সার্ভিসেস ব্যাজ (আইজিপি ব্যাজ) দেয়া হয়েছে। প্রশংসনীয় ও ভালো কাজের জন্য দেয়া হয় এই ব্যাজ। এটি পুলিশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পুরস্কার।

অসামান্য দক্ষতা ও কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এর দুই নারী কনস্টেবল পপি আক্তার ও কাজল রেখাকে রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (সেবা) দেয়া হয়েছে।

সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২ , ১০ মাঘ ১৪২৮ ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

কুচকাওয়াজে শুরু পুলিশ সপ্তাহ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স প্যারেড গ্রাউন্ডে কুচকাওয়াজের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে পুলিশ সপ্তাহ ২০২২। গতকাল ভার্চুয়ালি গণভবন থেকে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করেন। পুলিশের ৯টি কন্টিনজেন্ট ও পতাকাবাহী দলের সুশৃঙ্খল অভিবাদন গ্রহণ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে প্যারেড গ্রাউন্ডে উপস্থিত থেকে প্যারেড পরিদর্শন ও পদকপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের পদক পরিয়ে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ।

বার্ষিক পুলিশ প্যারেডে অধিনায়ক হিসেবে নেতৃত্ব দেন পুলিশ সুপার মো. ছালেহ উদ্দিন। তার নেতৃত্বে বিভিন্ন কন্টিনজেন্টের পুলিশ সদস্যরা প্যারেডে অংশ নেন। এবার ১১টি ইউনিট প্যারেডের মধ্যে ৯টি ইউনিট প্যারেডে অংশ নেয়। প্যারেডে ৯টি দলের সঙ্গে প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করে পুলিশের ডগ স্কোয়াড, বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াট ও মোটরবাইক ইউনিট।

প্যারেডে অংশ নিতে ঢাকার বাইরে থেকে পুলিশের কোন সদস্যকে আনা হয়নি। ৬৪ জেলার এসপি, রেঞ্জ ও ইউনিট প্রধান এবং ডিএমপির ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। করোনার কারণে আমন্ত্রিত অতিথিও ছিল কম। বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য ও প্রশাসনের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এবার স্বল্পসংখ্যক পুলিশ সদস্যকে পদক পরিয়ে দেয়া হয়েছে। ব্যাজ পাওয়া কর্মকর্তাদের পুলিশ সপ্তাহের অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে বাকিদের নিজ নিজ দপ্তরে পৌঁছে দেয়া হবে এই ব্যাজ। ব্যাজ পদকের পাশাপাশি প্রত্যেককে আর্থিক পুরস্কারও দেয়া হচ্ছে।

‘দক্ষ পুলিশ, সমৃদ্ধ দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে পাঁচ দিনব্যাপী শুরু হওয়া পুলিশ সপ্তাহ শেষ হবে ২৭ জানুয়ারি। পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে ২০২০ সালে ১১৫ এবং ২০২১ সালে ১১৫ জনসহ মোট ২৩০ পুলিশ সদস্যকে চার ক্যাটাগরিতে পদক দেয়া হয়। এছাড়া কল্যাণকর কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২০ ও ২০২১ সালের জন্য ৭৪২ পুলিশ সদস্যকে পুলিশ ফোর্স অ্যাক্সেমপ্ল্যারি গুড সার্ভিসেস ব্যাজ (আইজিপি ব্যাজ) দেয়া হয়েছে। প্রশংসনীয় ও ভালো কাজের জন্য দেয়া হয় এই ব্যাজ। এটি পুলিশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পুরস্কার।

অসামান্য দক্ষতা ও কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এর দুই নারী কনস্টেবল পপি আক্তার ও কাজল রেখাকে রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (সেবা) দেয়া হয়েছে।