পটুয়াখালীতে নিরাপত্তা শঙ্কায় প্রবাসী পরিবার

পটুয়াখালী জেলার গলাচিপার পানপট্টি এলাকার প্রবাসী নারী আজমিন কাজী, শিশু সন্তান এবং বৃদ্ধ বাবাÑমাকে নিয়ে নিরাপত্তা শংকায় দিন কাটাচ্ছেন। ওই নারীর দায়ের করা একটি গরু লুট সংক্রান্ত মামলার আসামি প্রতিবেশি মো. এনায়েত সওদাগর ও তার সহযোগীরা আদালত থেকে জামিন নিয়ে নারী প্রবাসির উপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে এসে এমন অভিযোগ করেন সিঙ্গাপুরের প্রবাসী ওই নারী। অভিযুক্ত এনায়েত সওদাগরের বিরুদ্ধে লুট মামলাসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে বর্ননা করেন।

প্রবাসি নারী জানান, গত ১৭ জুন তাদের একটি গরু প্রতিবেশি মো. এনায়েত সওদাগর জোর করে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় তার শিশু পুত্র আলিফ দেখে ফেলে। আলিফ এ সময় তাদের কাছে গরু নেয়ার কারন জানতে চাইলে এনায়েত ও তার সহযোগীরা আলিফকে এলোপাতারি কিলঘুষি মারতে মারতে মাটিয়ে লুটিয়ে ফেলে আলিফের গলায় পা দিয়ে চেপে ধরে। এসময় তার বৃদ্ধ পিতা সেরাজ কাজী ও বৃদ্ধ জোসনা বেগম শিশু আলিফতে বাচাতে গিয়ে তারাও মারধোরের শিকার হয়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আহত সেরাজ কাজী ও তার সন্তান আলিফকে গলাচিপা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হওয়ার পরে আসামীরা আদালত থেকে জামিন নিয়ে বাদী আজমিন কাজীর উপর হামলা করেছে। শুধু তাই নয়, ওই রাতে তাদের গ্রামের বাড়ীতেও হামলার প্রস্তুতি নিয়েছিল অভিযুক্তরা। পরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করে বাদীর গ্রামের বাড়ীতে নিরাত্তা দিয়েছে গলাচিপা থানার পুলিশ। গত বুধবার পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে হাজির হয়ে এমন অভিযোগ করে সিঙ্গাপুরে থাকা প্রবাসী ওই নারী।

আজমিন বলেন, তিনি দুই মাসের ছুটিতে গত ৫ জুন দেশে এসেছেন। তিনি বিদেশে থাকায় তার তিন শিশু সন্তানকে বৃদ্ধ বাবা-মা দেখাশুনা করছেন। এদিকে গত মঙ্গলবার গলাচিপা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে আগাম জামিন নেয় আসামীরা। ওই দিন বিকালে আদালতের কাজ শেষ করে বাদী আজমিন মটরসাইকেল যোগে বাড়ী ফিরছিল। পথি মধ্যে মুরাদনগর ব্রীজ এলাকা অতিক্রমকালে এনায়েত সওদাগরসহ ৪-৫ যুবক তার উপর হামলা চালিয়ে গায়ের পরিধেয় পোশাক ছিড়ে ফেলে এবং শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে।

এসময় মো. মাসুদ রানা নামে এ্যানাসিফ্যাক কোম্পানীর প্রতিনিধি এ ঘটনা দেখে আজমিনকে উদ্ধার করে মোটরসাইকেল যোগে পটুয়াখালী পৌঁছে দেন।

অপরদিকে গত বুধবার পূনরায় অভিযুক্তরা আজমিনের বাড়ীতে গিয়ে তার বৃদ্ধ বাবাকে ভয়-ভীতি দেখানোসহ হুমকী দিয়ে আসে। এ ব্যাপারে গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শওকত আনোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, এঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। এর আগের আসামীদের গ্রেপ্তার অভিযান চালিয়েছি, কিন্তু তারা গাঁ ঢাকা দেয়ায় তাদের পাওয়া যায়নি।

শনিবার, ২৫ জুন ২০২২ , ১১ আষাড় ১৪২৮ ২৫ জিলকদ ১৪৪৩

পটুয়াখালীতে নিরাপত্তা শঙ্কায় প্রবাসী পরিবার

প্রতিনিধি, পটুয়াখালী

পটুয়াখালী জেলার গলাচিপার পানপট্টি এলাকার প্রবাসী নারী আজমিন কাজী, শিশু সন্তান এবং বৃদ্ধ বাবাÑমাকে নিয়ে নিরাপত্তা শংকায় দিন কাটাচ্ছেন। ওই নারীর দায়ের করা একটি গরু লুট সংক্রান্ত মামলার আসামি প্রতিবেশি মো. এনায়েত সওদাগর ও তার সহযোগীরা আদালত থেকে জামিন নিয়ে নারী প্রবাসির উপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে এসে এমন অভিযোগ করেন সিঙ্গাপুরের প্রবাসী ওই নারী। অভিযুক্ত এনায়েত সওদাগরের বিরুদ্ধে লুট মামলাসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে বর্ননা করেন।

প্রবাসি নারী জানান, গত ১৭ জুন তাদের একটি গরু প্রতিবেশি মো. এনায়েত সওদাগর জোর করে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় তার শিশু পুত্র আলিফ দেখে ফেলে। আলিফ এ সময় তাদের কাছে গরু নেয়ার কারন জানতে চাইলে এনায়েত ও তার সহযোগীরা আলিফকে এলোপাতারি কিলঘুষি মারতে মারতে মাটিয়ে লুটিয়ে ফেলে আলিফের গলায় পা দিয়ে চেপে ধরে। এসময় তার বৃদ্ধ পিতা সেরাজ কাজী ও বৃদ্ধ জোসনা বেগম শিশু আলিফতে বাচাতে গিয়ে তারাও মারধোরের শিকার হয়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আহত সেরাজ কাজী ও তার সন্তান আলিফকে গলাচিপা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হওয়ার পরে আসামীরা আদালত থেকে জামিন নিয়ে বাদী আজমিন কাজীর উপর হামলা করেছে। শুধু তাই নয়, ওই রাতে তাদের গ্রামের বাড়ীতেও হামলার প্রস্তুতি নিয়েছিল অভিযুক্তরা। পরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করে বাদীর গ্রামের বাড়ীতে নিরাত্তা দিয়েছে গলাচিপা থানার পুলিশ। গত বুধবার পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে হাজির হয়ে এমন অভিযোগ করে সিঙ্গাপুরে থাকা প্রবাসী ওই নারী।

আজমিন বলেন, তিনি দুই মাসের ছুটিতে গত ৫ জুন দেশে এসেছেন। তিনি বিদেশে থাকায় তার তিন শিশু সন্তানকে বৃদ্ধ বাবা-মা দেখাশুনা করছেন। এদিকে গত মঙ্গলবার গলাচিপা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে আগাম জামিন নেয় আসামীরা। ওই দিন বিকালে আদালতের কাজ শেষ করে বাদী আজমিন মটরসাইকেল যোগে বাড়ী ফিরছিল। পথি মধ্যে মুরাদনগর ব্রীজ এলাকা অতিক্রমকালে এনায়েত সওদাগরসহ ৪-৫ যুবক তার উপর হামলা চালিয়ে গায়ের পরিধেয় পোশাক ছিড়ে ফেলে এবং শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে।

এসময় মো. মাসুদ রানা নামে এ্যানাসিফ্যাক কোম্পানীর প্রতিনিধি এ ঘটনা দেখে আজমিনকে উদ্ধার করে মোটরসাইকেল যোগে পটুয়াখালী পৌঁছে দেন।

অপরদিকে গত বুধবার পূনরায় অভিযুক্তরা আজমিনের বাড়ীতে গিয়ে তার বৃদ্ধ বাবাকে ভয়-ভীতি দেখানোসহ হুমকী দিয়ে আসে। এ ব্যাপারে গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শওকত আনোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, এঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। এর আগের আসামীদের গ্রেপ্তার অভিযান চালিয়েছি, কিন্তু তারা গাঁ ঢাকা দেয়ায় তাদের পাওয়া যায়নি।