বেসরকারি ২০ হাসপাতাল ডায়াগনস্টিককে কাগজপত্র জমাদানের নির্দেশ

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বেসরকারি চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান জমজম হাসপাতাল থেকে একজন ভুয়া এমবিবিএস চিকিৎসক আটকের পর নড়েচড়ে বসেছেন স্থানীয় স্বাস্থ্য প্রশাসন।

বিশেষ করে উপজেলার বেসরকারি এসব হাসপাতালের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু, পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও রোগীদেরকে নানা হয়রানীর অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। ইতোপূর্বে চকরিয়া সিটি হাসপাতাল থেকেও একজন ভূয়া চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছিল উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত।

সাত লাখ মানুষের জনপদ কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে গড়ে ওঠা বেসরকারি এসব হাসপাতালগুলো জনসাধারণকে কী ধরণের চিকিৎসক সেবা দিচ্ছে, নিয়োজিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাগজপত্র আছে কিনা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে রোগীদের হয়রানী করা হচ্ছে কিনা তা যাছাই করতে সকল বেসরকারি চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠানকে তাদের কাগজপত্র দাখিল করতে চিঠি দিয়েছেন চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শোভণ দত্ত। গত ১৭ নভেম্বর সকালে চকরিয়া উপজেলার বেসরকারি ২০টি হাসপাতাল ও ডায়াগণষ্টিক সেন্টারে ডা. শোভণ দত্ত স্বাক্ষরিত চিঠি দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলো হচ্ছে চকরিয়া জমজম হাসপাতাল, আছিয়া মেমোরিয়াল হাসপাতাল, চকরিয়া সিটি হাসপাতাল, এশিয়ান হাসপাতাল, সেন্ট্রাল হাসপাতাল, ম্যাক্স হাসপাতাল, শেভরণ হাসপাতাল, মা-শিশু জেনারেল হাসপাতাল, ইউনিক হাসপাতাল, বদরখালী জেনারেল হাসপাতাল, বদরখালী ক্লিানেভা হাসপাতাল, বরইতলী মা-শিশু হাসপাতাল, মালমুঘাট মা-মনি হাসপাতাল, বরইতলী সেন্ট্রাল কেয়ার, আল নুর হাসপাতাল, রয়েল ডায়াগণষ্টিক সেন্টার, চকরিয়া জেনারেল এন্ড ট্রমা সেন্টার ও সেন্ট্রাল কেয়ার।

চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শোভণ দত্ত বলেন, স্বাস্থ্যসেবা জনগণের মৌলিক অধিকার। মানবসম্পদ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে এটি সর্বজনীনভাবে স্বীকৃত। এমন একটি সেবামুলক কাজে চিকিৎসার নামে জনগণকে হয়রানি করা হচ্ছে। ভূয়া চিকিৎসক দিয়ে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া কোনমতে গ্রহণযোগ্য নয়। এতে দেশের চিকিৎসা সেবার প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট হচ্ছে।

প্রসঙ্গতঃ গত বুধবার চকরিয়া উপজেলার ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) রাহাত উজজামান এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে জমজম হাসপাতাল থেকে ভূয়া এমবিবিএস চিকিৎসক হুমায়ুন কবিরকে গ্রেফতার করেন। তাকে ৫০হাজার টাকা জরিমানা ও ৩ মাসের জেল, অনাদায়ে আরও ১৫দিনের জেল দেন আদালত।

শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২২ , ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ২৩ রবিউস সানি ১৪৪৪

ভুয়া চিকিৎসক আটক

বেসরকারি ২০ হাসপাতাল ডায়াগনস্টিককে কাগজপত্র জমাদানের নির্দেশ

প্রতিনিধি, চকরিয়া

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বেসরকারি চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান জমজম হাসপাতাল থেকে একজন ভুয়া এমবিবিএস চিকিৎসক আটকের পর নড়েচড়ে বসেছেন স্থানীয় স্বাস্থ্য প্রশাসন।

বিশেষ করে উপজেলার বেসরকারি এসব হাসপাতালের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু, পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও রোগীদেরকে নানা হয়রানীর অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। ইতোপূর্বে চকরিয়া সিটি হাসপাতাল থেকেও একজন ভূয়া চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছিল উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত।

সাত লাখ মানুষের জনপদ কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে গড়ে ওঠা বেসরকারি এসব হাসপাতালগুলো জনসাধারণকে কী ধরণের চিকিৎসক সেবা দিচ্ছে, নিয়োজিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাগজপত্র আছে কিনা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে রোগীদের হয়রানী করা হচ্ছে কিনা তা যাছাই করতে সকল বেসরকারি চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠানকে তাদের কাগজপত্র দাখিল করতে চিঠি দিয়েছেন চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শোভণ দত্ত। গত ১৭ নভেম্বর সকালে চকরিয়া উপজেলার বেসরকারি ২০টি হাসপাতাল ও ডায়াগণষ্টিক সেন্টারে ডা. শোভণ দত্ত স্বাক্ষরিত চিঠি দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলো হচ্ছে চকরিয়া জমজম হাসপাতাল, আছিয়া মেমোরিয়াল হাসপাতাল, চকরিয়া সিটি হাসপাতাল, এশিয়ান হাসপাতাল, সেন্ট্রাল হাসপাতাল, ম্যাক্স হাসপাতাল, শেভরণ হাসপাতাল, মা-শিশু জেনারেল হাসপাতাল, ইউনিক হাসপাতাল, বদরখালী জেনারেল হাসপাতাল, বদরখালী ক্লিানেভা হাসপাতাল, বরইতলী মা-শিশু হাসপাতাল, মালমুঘাট মা-মনি হাসপাতাল, বরইতলী সেন্ট্রাল কেয়ার, আল নুর হাসপাতাল, রয়েল ডায়াগণষ্টিক সেন্টার, চকরিয়া জেনারেল এন্ড ট্রমা সেন্টার ও সেন্ট্রাল কেয়ার।

চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শোভণ দত্ত বলেন, স্বাস্থ্যসেবা জনগণের মৌলিক অধিকার। মানবসম্পদ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে এটি সর্বজনীনভাবে স্বীকৃত। এমন একটি সেবামুলক কাজে চিকিৎসার নামে জনগণকে হয়রানি করা হচ্ছে। ভূয়া চিকিৎসক দিয়ে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া কোনমতে গ্রহণযোগ্য নয়। এতে দেশের চিকিৎসা সেবার প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট হচ্ছে।

প্রসঙ্গতঃ গত বুধবার চকরিয়া উপজেলার ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) রাহাত উজজামান এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে জমজম হাসপাতাল থেকে ভূয়া এমবিবিএস চিকিৎসক হুমায়ুন কবিরকে গ্রেফতার করেন। তাকে ৫০হাজার টাকা জরিমানা ও ৩ মাসের জেল, অনাদায়ে আরও ১৫দিনের জেল দেন আদালত।