সাক্ষীদের নিরাপত্তা দেবে পিবিআই

নুসরাত হত্যা মামলায় সাক্ষীদের নিরাপত্তা দেবে পিবিআই। সাক্ষীদের যাতে কেউ প্রভাবিত এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ বাধাগ্রস্ত করতে না পারে সেদিকেও নজর রয়েছে তাদের। গতকাল রাজধানীর বিএফডিসিতে এক বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পিবিআইয়ের প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত এই মামলায় ৯২ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্য আদালত গ্রহণ করেছেন। বাকিদেরও সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে। তবে এই মামলায় ১-৭ পর্যন্ত সাক্ষীরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাকি ৮-৩২ পর্যন্ত সাক্ষীর ওপর মামলার ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে। এই মামলায় কোন রাজনৈতিক বা মানসিক প্রভাব আছে কিনা- জানতে চাইলে পিবিআই প্রধান বলেন, সব মামলাতে মানসিক চাপ থাকে। এই মামলায়ও মানসিক চাপ ছিল। তবে সব ধরনের চাপ অতিক্রম করেই মামলার চার্জশিট দিয়েছি।

ওসি মোয়াজ্জেমকে হাতকড়া না পরিয়ে এবং সিনিয়র সাংবাদিক প্রবীর সিকদারকে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেন, আসামি পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলে পুলিশ তাকে হাতকড়া পরাতে পারেন। কিন্তু অসুস্থ কাউকে পুলিশ হাতকড়া পরাতে পারে না। ওই সিনিয়র সাংবাদিককে যে হাতকড়া পরিয়েছিল তা ঠিক হয়নি। এজন্য হয়তো ওই পুলিশ কর্মকর্তার শাস্তিও হতে পারে।

‘সাহসিকতা নুসরাত, তুমিই যুক্তি, তুমিই প্রতিবাদ’ স্লোগানে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত বিতর্কের মূল বিষয় ছিল ‘নারী নিপীড়ন প্রতিরোধে মূল্যবোধের চর্চা।’ ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের সঞ্চালনায় এতে অংশ নেয় সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ ও ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া। বিরোধীদল হিসেবে বিতর্ক প্রতিযোাগিতায় বিজয়ী হয় ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়ার শিক্ষার্থীরা।

নারী নিপীড়ন প্রতিরোধে মূল্যবোধের চর্চা থাকা প্রয়োজন উল্লেখ করে পিবিআই প্রধান বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতনসহ সব ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি মূল্যবোধের চর্চা থাকা প্রয়োজন। কারণ নারী নির্যাতনের বিষয়গুলোতে দেখা যায়, শিক্ষিত, অশিক্ষিত আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের আপন সদস্যরাও জড়িত থাকে। এর জন্য মূল্যবোধের চর্চা করা প্রয়োজন।

রবিবার, ১৪ জুলাই ২০১৯ , ৩০ আষাঢ় ১৪২৫, ১০ জিলকদ ১৪৪০

নুসরাত হত্যা

সাক্ষীদের নিরাপত্তা দেবে পিবিআই

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

নুসরাত হত্যা মামলায় সাক্ষীদের নিরাপত্তা দেবে পিবিআই। সাক্ষীদের যাতে কেউ প্রভাবিত এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ বাধাগ্রস্ত করতে না পারে সেদিকেও নজর রয়েছে তাদের। গতকাল রাজধানীর বিএফডিসিতে এক বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পিবিআইয়ের প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত এই মামলায় ৯২ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্য আদালত গ্রহণ করেছেন। বাকিদেরও সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে। তবে এই মামলায় ১-৭ পর্যন্ত সাক্ষীরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাকি ৮-৩২ পর্যন্ত সাক্ষীর ওপর মামলার ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে। এই মামলায় কোন রাজনৈতিক বা মানসিক প্রভাব আছে কিনা- জানতে চাইলে পিবিআই প্রধান বলেন, সব মামলাতে মানসিক চাপ থাকে। এই মামলায়ও মানসিক চাপ ছিল। তবে সব ধরনের চাপ অতিক্রম করেই মামলার চার্জশিট দিয়েছি।

ওসি মোয়াজ্জেমকে হাতকড়া না পরিয়ে এবং সিনিয়র সাংবাদিক প্রবীর সিকদারকে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেন, আসামি পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলে পুলিশ তাকে হাতকড়া পরাতে পারেন। কিন্তু অসুস্থ কাউকে পুলিশ হাতকড়া পরাতে পারে না। ওই সিনিয়র সাংবাদিককে যে হাতকড়া পরিয়েছিল তা ঠিক হয়নি। এজন্য হয়তো ওই পুলিশ কর্মকর্তার শাস্তিও হতে পারে।

‘সাহসিকতা নুসরাত, তুমিই যুক্তি, তুমিই প্রতিবাদ’ স্লোগানে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত বিতর্কের মূল বিষয় ছিল ‘নারী নিপীড়ন প্রতিরোধে মূল্যবোধের চর্চা।’ ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের সঞ্চালনায় এতে অংশ নেয় সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ ও ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া। বিরোধীদল হিসেবে বিতর্ক প্রতিযোাগিতায় বিজয়ী হয় ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়ার শিক্ষার্থীরা।

নারী নিপীড়ন প্রতিরোধে মূল্যবোধের চর্চা থাকা প্রয়োজন উল্লেখ করে পিবিআই প্রধান বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতনসহ সব ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি মূল্যবোধের চর্চা থাকা প্রয়োজন। কারণ নারী নির্যাতনের বিষয়গুলোতে দেখা যায়, শিক্ষিত, অশিক্ষিত আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের আপন সদস্যরাও জড়িত থাকে। এর জন্য মূল্যবোধের চর্চা করা প্রয়োজন।