ডেঙ্গু : ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২৩৩ জন

থামছে না ডেঙ্গুর প্রকোপ। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৩৩ জন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। চলতি মাসের গত ২০ দিনে ৩ হাজার ৯৬০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। তার মধ্যে একজন মারা গেছে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে গতকাল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজারেরও বেশি হবে। মারা গেছে ৫ জন। এখনো রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছে ১ হাজার ৪৭৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৫৬ জন। শিশু হাসপাতালে ভর্তি আছে ২২ জন। এছাড়া হলি ফ্যামিলিসহ অন্যান্য হাসপাতালে অনেকে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত ভর্তি হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তবে বেসরকারি হিসেবে এ সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।

জানা গেছে, ডেঙ্গুজ্বর কমিয়ে আনতে এর বাহক অ্যাডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করার জন্য সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে জনসচেতনতামূলক পদক্ষেপ নেয়া হলেও অনেক স্থানে অনেক ফ্ল্যাটের মালিক ও ভাড়াটেরা তাতে গরজ করছে না। উল্টো কেউ সচেতনতার চেষ্টা করলে তাতে কাজ হচ্ছে না। অনেক ভবন ও ফ্ল্যাটের ভাড়াটেদের ফুলের টব, নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে ডেঙ্গুজ্বরের বাহক অ্যাডিস মশার বংশবিস্তার ঘটে।

জানা গেছে, এ বছর রাজধানী ঢাকা বিভাগসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় ডেঙ্গুজ্বরের বাহক অ্যাডিশ মশার উপদ্রব বেশি। মশা দমনে ওষুধ ছিটানোর কথা বলা হলেও নগরভবনের অদূরে পুরানা পল্টনে এর প্রভাব পড়েনি। বাসাবাড়ি ও অফিসে মশার উপদ্রব বাড়ছে। অনেকেই মশার কবল থেকে রক্ষা পেতে দিনেও মশারি টানিয়ে ঘুমাইচ্ছে বলে জানা গেছে। অপর দিকে মশার উপদ্রব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মশা মারার উপকরণের দাম বাড়ছে।

রবিবার, ২১ জুলাই ২০১৯ , ৬ শ্রাবন ১৪২৫, ১৭ জিলকদ ১৪৪০

ডেঙ্গু : ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২৩৩ জন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

থামছে না ডেঙ্গুর প্রকোপ। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৩৩ জন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। চলতি মাসের গত ২০ দিনে ৩ হাজার ৯৬০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। তার মধ্যে একজন মারা গেছে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে গতকাল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজারেরও বেশি হবে। মারা গেছে ৫ জন। এখনো রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছে ১ হাজার ৪৭৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৫৬ জন। শিশু হাসপাতালে ভর্তি আছে ২২ জন। এছাড়া হলি ফ্যামিলিসহ অন্যান্য হাসপাতালে অনেকে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত ভর্তি হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তবে বেসরকারি হিসেবে এ সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।

জানা গেছে, ডেঙ্গুজ্বর কমিয়ে আনতে এর বাহক অ্যাডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করার জন্য সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে জনসচেতনতামূলক পদক্ষেপ নেয়া হলেও অনেক স্থানে অনেক ফ্ল্যাটের মালিক ও ভাড়াটেরা তাতে গরজ করছে না। উল্টো কেউ সচেতনতার চেষ্টা করলে তাতে কাজ হচ্ছে না। অনেক ভবন ও ফ্ল্যাটের ভাড়াটেদের ফুলের টব, নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে ডেঙ্গুজ্বরের বাহক অ্যাডিস মশার বংশবিস্তার ঘটে।

জানা গেছে, এ বছর রাজধানী ঢাকা বিভাগসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় ডেঙ্গুজ্বরের বাহক অ্যাডিশ মশার উপদ্রব বেশি। মশা দমনে ওষুধ ছিটানোর কথা বলা হলেও নগরভবনের অদূরে পুরানা পল্টনে এর প্রভাব পড়েনি। বাসাবাড়ি ও অফিসে মশার উপদ্রব বাড়ছে। অনেকেই মশার কবল থেকে রক্ষা পেতে দিনেও মশারি টানিয়ে ঘুমাইচ্ছে বলে জানা গেছে। অপর দিকে মশার উপদ্রব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মশা মারার উপকরণের দাম বাড়ছে।