কক্সবাজার শহরের সড়কে পচা দুর্গন্ধ পানি

পর্যটন শহর কক্সবাজারে প্রবেশদ্বার কলাতলি রাস্তায় মলমূত্রের দুর্গন্ধযুক্ত পচাপানি জমে রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সিবিচমুখী হাজারও পর্যটক। পথচারীদের অভিযোগ, আশপাশের আবাসিক হোটেল থেকে আসা টয়লেটের ময়লা পানি ছড়িয়ে পড়ছে রাস্তায়। দিনের পর দিন এসব পানি থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। সমুদ্র দেখার সুখ-স্বপ্ন নিয়ে কক্সবাজার ঘুরতে আসেন দেশি-বিদেশি পর্যটক। এ জন্য স্বল্পমূল্যের কটেজ থেকে শুরু করে পাঁচ তারকা মানের আবাসিক হোটেলও গড়ে ওঠেছে এই নগরে। রয়েছে চাহিদা মতো খাবার রেস্তোরাঁও। এসবে ফিটফাট কক্সবাজার শহর। কিন্তু ভেতরে যে সদরঘাট তা অনেকেরই অজানা।

পর্যটন শহরের সড়ক ব্যবস্থা এতই নাজুক, তা বলার ভাষা নাই। ভ্রমণের এসে বিরূপ মন্তব্য করে অনেক পর্যটক। কথাগুলো সাগরপাড়ের চা-বিক্রেতা নজু মিয়ার। তার দুঃখ, দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর উন্নয়ন হচ্ছে। কিন্তু কক্সবাজারের শনির দশা কেন কাটছে না! এখানে কি কোন যোগ্য নেতা নাই! নাকি সরকারের বরাদ্দের অভাব! কোনটি বুঝে আসে না এই সাধারণ মানুষটির। এদিকে ময়লা দুর্গন্ধযুক্ত পানি গাড়ির চাকায় ছড়িয়ে যাচ্ছে। বাতাসে দুর্গন্ধ আর জীবাণু এক হয়ে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।

স্থানীয় বাসিন্দা সাইমুন আমিন বলেন, কতিপয় ধান্দাবাজ নেতা ফুটপাত ও ড্রেনের জমি দখল করে গাড়ির পার্কিং ও দোকান নির্মাণ করে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। ফলে ড্রেনের পানি চলছে জনগণের চলাচলে রাস্তা দিয়ে। সাদ্দামের দুঃখ, এভাবে আর কত? আসলে কি দেখার মতো কী কোন কর্তৃপক্ষ নেই? কক্সবাজার শহরের প্রবেশ মুখে যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকরা কক্সবাজার শহর সম্পর্কে ধারণা কি করবে! এ জন্য কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সমাজকর্মী সাদ্দাম হোসেন। এ প্রসঙ্গে জানতে শুক্রবার বিকাল সোয়া ৫টার দিকে কক্সবাজার পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানকে ফোন করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

আরও খবর
বৃহত্তর জুমার নামাজ আদায়
কমছে পিয়াজের দাম
বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শে শিশুদের উজ্জীবিত করতে হবে স্পিকার
বাংলাদেশ বিশ্বে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার
নির্বাচন-পূজা বিষয়টি ইসির অধীনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মুজিববর্ষ উদযাপনে পৃথিবীর মানুষ জানতে পেরেছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
স্মৃতির আয়নায় বিউটি বোর্ডিং
সাহিত্য ও সংস্কৃতির দুই বাংলার ১৬ গুণী ব্যক্তিকে সম্মাননা দেয়া হবে
নাটক নৃত্য ও ঐতিহ্যবাহী পালাগান আজ
বগুড়ায় জমজমাট পিঠা উৎসব
এশিয়ান টিভির সপ্তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ
তারিখ পরিবর্তন না করলে ভোট বর্জন করবে হিন্দু মহাজোট
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠন
চিকিৎসা সেবার নামে চলছে চরম অনিয়ম
গণমাধ্যমে লিখেছিল ভেবেছি অতিরঞ্জিত নিহতের স্বামী

শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২০ , ৪ মাঘ ১৪২৬, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

কক্সবাজার শহরের সড়কে পচা দুর্গন্ধ পানি

প্রতিনিধি, কক্সবাজার

পর্যটন শহর কক্সবাজারে প্রবেশদ্বার কলাতলি রাস্তায় মলমূত্রের দুর্গন্ধযুক্ত পচাপানি জমে রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সিবিচমুখী হাজারও পর্যটক। পথচারীদের অভিযোগ, আশপাশের আবাসিক হোটেল থেকে আসা টয়লেটের ময়লা পানি ছড়িয়ে পড়ছে রাস্তায়। দিনের পর দিন এসব পানি থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। সমুদ্র দেখার সুখ-স্বপ্ন নিয়ে কক্সবাজার ঘুরতে আসেন দেশি-বিদেশি পর্যটক। এ জন্য স্বল্পমূল্যের কটেজ থেকে শুরু করে পাঁচ তারকা মানের আবাসিক হোটেলও গড়ে ওঠেছে এই নগরে। রয়েছে চাহিদা মতো খাবার রেস্তোরাঁও। এসবে ফিটফাট কক্সবাজার শহর। কিন্তু ভেতরে যে সদরঘাট তা অনেকেরই অজানা।

পর্যটন শহরের সড়ক ব্যবস্থা এতই নাজুক, তা বলার ভাষা নাই। ভ্রমণের এসে বিরূপ মন্তব্য করে অনেক পর্যটক। কথাগুলো সাগরপাড়ের চা-বিক্রেতা নজু মিয়ার। তার দুঃখ, দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর উন্নয়ন হচ্ছে। কিন্তু কক্সবাজারের শনির দশা কেন কাটছে না! এখানে কি কোন যোগ্য নেতা নাই! নাকি সরকারের বরাদ্দের অভাব! কোনটি বুঝে আসে না এই সাধারণ মানুষটির। এদিকে ময়লা দুর্গন্ধযুক্ত পানি গাড়ির চাকায় ছড়িয়ে যাচ্ছে। বাতাসে দুর্গন্ধ আর জীবাণু এক হয়ে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।

স্থানীয় বাসিন্দা সাইমুন আমিন বলেন, কতিপয় ধান্দাবাজ নেতা ফুটপাত ও ড্রেনের জমি দখল করে গাড়ির পার্কিং ও দোকান নির্মাণ করে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। ফলে ড্রেনের পানি চলছে জনগণের চলাচলে রাস্তা দিয়ে। সাদ্দামের দুঃখ, এভাবে আর কত? আসলে কি দেখার মতো কী কোন কর্তৃপক্ষ নেই? কক্সবাজার শহরের প্রবেশ মুখে যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকরা কক্সবাজার শহর সম্পর্কে ধারণা কি করবে! এ জন্য কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সমাজকর্মী সাদ্দাম হোসেন। এ প্রসঙ্গে জানতে শুক্রবার বিকাল সোয়া ৫টার দিকে কক্সবাজার পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানকে ফোন করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।