আনসার আল ইসলামের ৫ জঙ্গি গ্রেফতার

নাশকতার পরিকল্পনা

পুরনো ঢাকার স্বামীবাগে ইসকন মন্দিরসহ অন্য স্থাপনায় নাশকতার পরিকল্পনার সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল-ইসলামের ৫ জঙ্গি সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত রোববার রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল বিভাগের একটি টিম রাজধানীর সবুজবাগ বালুর মাঠ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। এর আগে এ জঙ্গি সংগঠন একাধিক ব্যক্তিকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। এ চক্রের সদস্যরা এসো কাফেলা বদ্ধ হই গ্রুপের মাধ্যমে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। বিদেশে থাকা পলাতক জঙ্গিরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে জঙ্গিবাদ প্রচার করছে।

গ্রেফতারকৃত জঙ্গিরা হলো- মো. নিজাম উদ্দিন, মো. রায়হান ভূঁইয়া, মো. হানিফ উদ্দিন সুমন, শেখ ইফতেখারুল ইসলাম ওরফে আরিফ ও মুফতি মুসলিম উদ্দিন ওরফে মুসলিম। তাদের কাছ থেকে ৩টি চাপাতি, ৩টি ব্যাগ ও ৪টি স্মার্ট ফোন উদ্ধার করা হয়।

এ নিয়ে গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. ইলিয়াছ শরীফ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জঙ্গিরা জানায়, গ্রেফতারকৃতরা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আনসার আল-ইসলাম এর আদশের অনুসারী। তারা ওই সংগঠনের আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নাশকতামূলক কর্মকা- সম্পাদনের উদ্দেশে দেশের বিভিন্ন জেলা হতে উল্লেখিত স্থানে একত্রিত হয়। সংগঠনের দাওয়াতি শাখার প্রধান নাজমুল ওরফে উসমান গনি ওরফে আবু আইয়ুব আল আনসারীর মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মেসেঞ্জার চ্যাট গ্রুপ ও অন্য অনলাইন মাধ্যমে গ্রেফতারকৃতরা আনসার আল-ইসলাম সংগঠনের সদস্য হওয়ার জন্য দাওয়াতপ্রাপ্ত হয়। দাওয়াতে উদ্বুদ্ধ হয়ে তারা সংগঠনে যোগদান করে। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, টেলিগ্রাম, অনলাইন চ্যাট গ্রুপও ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে যোগযোগ করে এবং সংগঠনের জন্য অর্থ সংগ্রহ করত বলে জানায়।

আনসার আল-ইসলামের নেতা আবু কায়সার ওরফে রনির নির্দেশে এই গ্রুপের সদস্যরা ইসকন মন্দির ও ইসকনের অন্য স্থাপনায় হামলা পরিকল্পনা করেছিল। এ সংক্রান্তে ইতোপূর্বে আনসার আল-ইসলামের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের সংগঠনের দাওয়াত প্রদানকারী নাজমুল ওরফে উসমান গনি ওরফে আবু আইয়ুব আল আনসারী ইতোপূর্বে জঙ্গিবাদবিরোধী চলচ্চিত্র নির্মাণ করায় চলচ্চিত্র নির্মাতা খিজির হায়াত খানকে হত্যা প্রচেষ্টা ও পরিকল্পনায় সমন্বয় করে। সে কুয়েতে থাকাকালীন টেলিগ্রামে ‘এসো কাফেলা বদ্ধ হই’ গ্রুপের মাধ্যমে এই হত্যা প্রচেষ্টার পরিকল্পনায় নেতৃত্ব প্রদান করে। এ সংক্রান্তে ২০১৮ সালে এই সংগঠনের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তী সময়ে ওই নাজমুল দেশে ফিরে এসে পুনরায় সংগঠনের সদস্যদের দ্বারা নাশকতামূলক কর্মকা- সংঘটনের জন্য কাজ করছে বলে জানা যায়। তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ সংক্রান্তে সবুজবাগ থানায় গ্রেফতাকৃতদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা রজু করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত জঙ্গিদের আদালত থেকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করে নেপথ্য উদ্ঘাটন ও পলাতক জঙ্গিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আরও খবর
গণপরিবহনে লাগামহীন ভাড়া
বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা এখনও অনিশ্চিত
সড়ক দুর্ঘটনা ৩ দশমিক ৯১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে
বোনের মৃত্যু শোককে শক্তিতে পরিণত করে বিশ্বকাপ ছিনিয়ে এনেছে আকবর
আনন্দে মেতেছে সারাদেশ
আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয় মুজিববর্ষে জাতির জন্য উপহার প্রধানমন্ত্রী
বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটারদের প্লট ও সম্মানি দেয়ার দাবি সংসদে
বিশ্বসেরা আরচার রোমান সানা
ফিরতি টিকিট ৫০ শতাংশ করার দাবি
চীন থেকে আর কাউকে আনবে না সরকার
ভোট পুনর্যাচাই ঘুড়ি নয়, ঝুড়ি জিতেছে
চীন থেকে আসা একজনকে রংপুর থেকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে স্থানান্তর
দুই কিশোরী ধর্ষণ
তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়েই রয়ে গেছে
কলকাতা বইমেলা ২০২১ বঙ্গবন্ধুর নামে উৎসর্গ করা হবে
ক্ষণগণনা : আর ৩৪ দিন
আ-মরি বাংলা ভাষা

মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২৮ মাঘ ১৪২৬, ১৬ জমাদিউল সানি ১৪৪১

আনসার আল ইসলামের ৫ জঙ্গি গ্রেফতার

নাশকতার পরিকল্পনা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

পুরনো ঢাকার স্বামীবাগে ইসকন মন্দিরসহ অন্য স্থাপনায় নাশকতার পরিকল্পনার সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল-ইসলামের ৫ জঙ্গি সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত রোববার রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল বিভাগের একটি টিম রাজধানীর সবুজবাগ বালুর মাঠ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। এর আগে এ জঙ্গি সংগঠন একাধিক ব্যক্তিকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। এ চক্রের সদস্যরা এসো কাফেলা বদ্ধ হই গ্রুপের মাধ্যমে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। বিদেশে থাকা পলাতক জঙ্গিরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে জঙ্গিবাদ প্রচার করছে।

গ্রেফতারকৃত জঙ্গিরা হলো- মো. নিজাম উদ্দিন, মো. রায়হান ভূঁইয়া, মো. হানিফ উদ্দিন সুমন, শেখ ইফতেখারুল ইসলাম ওরফে আরিফ ও মুফতি মুসলিম উদ্দিন ওরফে মুসলিম। তাদের কাছ থেকে ৩টি চাপাতি, ৩টি ব্যাগ ও ৪টি স্মার্ট ফোন উদ্ধার করা হয়।

এ নিয়ে গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. ইলিয়াছ শরীফ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জঙ্গিরা জানায়, গ্রেফতারকৃতরা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আনসার আল-ইসলাম এর আদশের অনুসারী। তারা ওই সংগঠনের আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নাশকতামূলক কর্মকা- সম্পাদনের উদ্দেশে দেশের বিভিন্ন জেলা হতে উল্লেখিত স্থানে একত্রিত হয়। সংগঠনের দাওয়াতি শাখার প্রধান নাজমুল ওরফে উসমান গনি ওরফে আবু আইয়ুব আল আনসারীর মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মেসেঞ্জার চ্যাট গ্রুপ ও অন্য অনলাইন মাধ্যমে গ্রেফতারকৃতরা আনসার আল-ইসলাম সংগঠনের সদস্য হওয়ার জন্য দাওয়াতপ্রাপ্ত হয়। দাওয়াতে উদ্বুদ্ধ হয়ে তারা সংগঠনে যোগদান করে। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, টেলিগ্রাম, অনলাইন চ্যাট গ্রুপও ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে যোগযোগ করে এবং সংগঠনের জন্য অর্থ সংগ্রহ করত বলে জানায়।

আনসার আল-ইসলামের নেতা আবু কায়সার ওরফে রনির নির্দেশে এই গ্রুপের সদস্যরা ইসকন মন্দির ও ইসকনের অন্য স্থাপনায় হামলা পরিকল্পনা করেছিল। এ সংক্রান্তে ইতোপূর্বে আনসার আল-ইসলামের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের সংগঠনের দাওয়াত প্রদানকারী নাজমুল ওরফে উসমান গনি ওরফে আবু আইয়ুব আল আনসারী ইতোপূর্বে জঙ্গিবাদবিরোধী চলচ্চিত্র নির্মাণ করায় চলচ্চিত্র নির্মাতা খিজির হায়াত খানকে হত্যা প্রচেষ্টা ও পরিকল্পনায় সমন্বয় করে। সে কুয়েতে থাকাকালীন টেলিগ্রামে ‘এসো কাফেলা বদ্ধ হই’ গ্রুপের মাধ্যমে এই হত্যা প্রচেষ্টার পরিকল্পনায় নেতৃত্ব প্রদান করে। এ সংক্রান্তে ২০১৮ সালে এই সংগঠনের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তী সময়ে ওই নাজমুল দেশে ফিরে এসে পুনরায় সংগঠনের সদস্যদের দ্বারা নাশকতামূলক কর্মকা- সংঘটনের জন্য কাজ করছে বলে জানা যায়। তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ সংক্রান্তে সবুজবাগ থানায় গ্রেফতাকৃতদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা রজু করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত জঙ্গিদের আদালত থেকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করে নেপথ্য উদ্ঘাটন ও পলাতক জঙ্গিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।