জনপ্রিয়তার শীর্ষে

রংপুরের হাড়িভাঙ্গা আম শীঘ্রই বাজারে আসছে

আম্ফানের ক্ষতির পরও ২শ’ কোটি টাকা বিক্রির প্রত্যাশা চাষিদের

রংপুরের হাড়িভাঙ্গা আম দেশে উৎপাদিত সব আমের জনপ্রিয়তাকে পেছনে ফেলে এখন দেশসেরা আমের খ্যাতি অর্জন করেছে। দেশ ছাপিয়ে বিদেশেও রফতানি হচ্ছে সুস্বাদু হাড়িভাঙ্গা আম। এ বছর ঘূর্র্ণিঝড় আম্ফানে ২০ ভাগ আম ঝরে গেছে। তারপরেও এ বছর ২শ‘ কোটি টাকার আম বিক্রি করার আশা করছেন আম চাষিরা। জুন মাসের শেষের দিক থেকে আম বাজারে আসবে বলে আশা করছেন আম চাষিরা।

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সরোয়ারুল আলম জানান এ বছর রংপুরে ১ হাজার ৮শ’ হেক্টর জমিতে হাড়িভাঙ্গা আম হয়েছে। আম্ফানের সামান্য ক্ষতি হলেও প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়েছে যা গত বছরের চেয়ে বেশি। ফলে প্রায় ২শ’ কোটি টাকার আম বিক্রি করতে পারবে কৃষকরা। তিনি বলেন হাড়িভাঙ্গা আম চাষে কোন ক্ষতিকর কীটনাশক ব্যাবহার করা হয় না ফলে দেশবাসীকে নিশ্চিয়তা দিতে পারি কীটনাশক মুক্ত আম খেতে পারবে দেশে ও বিদেশের মানুষ।

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার পদাগঞ্জ এলাকায় হাড়িভাঙ্গা আম প্রথম উৎপাদন করে কৃষক সালাম। সম্পূর্ণ আঁশ মুক্ত ভীষণ সুস্বাদু হওয়ায় এ আমের চাহিদা এখন সারাদেশে। এখন বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গোপালপুর, পদাগঞ্জ কুতুবপুর ইউনিয়নের নাগেরহাট সর্দারপাড়া সদর উপজেলার সদ্যপুস্করনী ইউনিয়নের কাঁটাবাড়ির পাশে মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের সবগুলো গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় বাণিজ্যিকভিত্তিতে হাড়িভাঙ্গা আমের বাগান গড়ে উঠেছে। মূলত লালমাটি এলাকায় হাড়িভাঙ্গা আমের চাষ হয় আর লালমাটির আম ভীষণ সুস্বাদু। গত বছর আম চাষিরা আমের দাম ভালো পাওয়ায় আরও নতুন নতুন আম বাগান গড়ে তুলেছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। এবার হাড়িভাঙ্গা আমের ফলনও হয়েছে বাম্পার। তবে ক্ষুদ্র চাষিদের অভিযোগ তারা ন্যায্যমূল্য পায় না যদি আম সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা থাকতো তাহলে তারা আরও বেশি লাভবান হতেন। বড় বড় ব্যবসায়ীরা আগাম টাকা দিয়ে আমের বাগান কিনে নেয়ায় তারা লাভবান হচ্ছেন বেশি বলে আম চাষিদের অভিযোগ। তারপরেও হাড়িভাঙ্গা আম বদরগঞ্জ ও মিঠাপুকুর উপজেলার ৭০টি গ্রামের মানুষের ভাগ্যের চাকা খুলে দিয়েছে হাড়িভাঙ্গা আম। এই আম চাষ করে তারা এখন পুরোপুরি স্বাবলম্বী। সরেজমিন রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার পদাগঞ্জ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে সারি সারি আমের বাগান এমনকি প্রতিটি বাড়িতে ১০ থেকে ১৫টি কোন কোন বাড়িতে তার চেয়ে বেশি হাড়িভাঙ্গা আমের গাছ। সবগুলো গাছের আম আর ১৫/২০ দিনের মধ্যে পাকবে বলে আমচাষিরা জানাল। ওই এলাকার কৃষক মমতাজ উদ্দিন, আয়েন উদ্দিন, মোসলেমা বেগমসহ অনেকেই জানালো মাত্র ৮/১০ বছর আগেও এসব এলাকা ছিল চরম অভাবি মানুষ তিন বেলা তো দূরের কথা এক বেলাও খাবার জুটতোনা। এলাকার মাটি লাল হওয়ায় এখানে বছরে একবার ধান উৎপাদন হয়। বাকি ৮ মাস পতিত পড়ে থাকতো জমি। কিন্তু হাড়িভাঙ্গা আম তাদের ভাগ্যের চাকা বদলে দিয়েছে। এখন ধানের বদলে ওই জমিতে আমের বাগান গড়ে তুলেছেন তারা। বছরে আম বিক্রি করে তাদের সংসারে এখন সচ্ছলতা ফিরে এসেছে। কিন্তু যাদের জমি নেই সেই সব ভূমিহীন পরিবারগুলো তাদের বাস্তভিটাতেই হাড়িভাঙ্গা আম গাছ লাগিয়ে উৎপাদিত আম বিক্রি করে ভালোভাবেই জীবন যাপন করছেন। এলাকাবাসী জানালেন পদাগঞ্জ হাট এখন বাংলাদেশে অতি পরিচিত কারণ এখানে আমের মৌসুমে হাড়িভাঙ্গা আমসহ বিভিন্ন ধরনের আমের পাইকারী বাজার বসে। দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসে আম কিনে নিয়ে যায়। হোসনে আরা নামে এক মহিলা জানান, তার স্বামী ৫ বছর আগে মারা গেছে। ৫ সন্তান নিয়ে আনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটতো তাদের। স্বামীর রেখে যাওয়া ৪ বিঘা জমিতে আমের বাগান করে প্রতি বছর আম বিক্রি করেই ৩/৪ লাখ টাকা আয় হয় তাদের। এখন তিনি ছেলে মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করাচ্ছেন। হাড়িভাঙ্গা আম এতটা জনপ্রিয়তা পেয়েছে যে বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ গাড়িতে করে সরাসরি বাগান থেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছে। সবার একটাই দাবি আম সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা।

রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কর্মকর্তা ও রংপুরের বদরগঞ্জ ও মিঠাপুকুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের নিয়ে পদাগঞ্জ এলাকায় মতবিনিময় সভা করেছেন। সভায় হাড়িভাঙ্গা আম রাজধানী ঢাকা বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতে ব্যবসায়ীরা আম কিনে নিয়ে যেতে পারে সে জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক জানান, আমরা হাড়িভাঙ্গা আম যাতে নিরাপদে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাইকাররা নিয়ে যেতে পারে সে জন্য গাড়িতে বিশেষ স্টিকার দেবার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়াও পথে যাতে ব্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার না হয় সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানান। তিনি বলেন, এছাড়াও কুরিয়ার সার্ভিসগুলোর মাধ্যমে যাতে মানুষ আম নিয়ে যেতে পারে সে জন্য নগরীর কয়েকটি স্থানে ভ্রাম্যমাণ কুরিয়ার সার্ভিসের শাখা খোলারও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

image
আরও খবর
নিত্যপণ্যের বাজারে বাজেটের প্রভাব পড়েনি
অস্ট্রেলিয়ার কোম্পানিকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
সৌদি আরবে আটকেপড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফেরাতে দূতাবাসের উদ্যোগ
ভার্চুয়াল কোর্টে ৪৮৯ শিশুর জামিন
করোনা কেড়ে নেয় প্রিয়জনকে ছুঁয়ে কান্না করার অধিকারও
মোহাম্মদ নাসিমের জীবন এখন ‘সংকটাপন্ন’
দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি বিশিষ্টজনের
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী করোনা আক্রান্ত
অ্যাডিস মশা নিয়ন্ত্রণে চিরনি অভিযান : সাত দিনে ১০ লাখ টাকা জরিমানা
ব্রিফকেস হান্নান বাহিনীর কাহিনী, স্ত্রী পারভীনেরও রয়েছে নিজস্ব গ্রুপ
না’গঞ্জ বিদ্যানিকেতন হাইস্কুলের ১৬শ’ শিক্ষার্থীর দু’মাসের বেতন মওকুফ
কিস্তি পরিশোধের চাপে দিশেহারা উপকূলের মানুষ
করোনায় আক্রান্ত হয়ে একদিনে আরও ২ চিকিৎসকের মৃত্যু
সরকারি হাসপাতালে করোনায় কাবু অর্ধশত নার্স
খাবারের সন্ধানে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেল বন্য হাতি

শনিবার, ১৩ জুন ২০২০ , ৩০ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ২০ শাওয়াল ১৪৪১

জনপ্রিয়তার শীর্ষে

রংপুরের হাড়িভাঙ্গা আম শীঘ্রই বাজারে আসছে

আম্ফানের ক্ষতির পরও ২শ’ কোটি টাকা বিক্রির প্রত্যাশা চাষিদের

লিয়াকত আলী বাদল, রংপুর

image

রংপুরের হাড়িভাঙ্গা আম দেশে উৎপাদিত সব আমের জনপ্রিয়তাকে পেছনে ফেলে এখন দেশসেরা আমের খ্যাতি অর্জন করেছে। দেশ ছাপিয়ে বিদেশেও রফতানি হচ্ছে সুস্বাদু হাড়িভাঙ্গা আম। এ বছর ঘূর্র্ণিঝড় আম্ফানে ২০ ভাগ আম ঝরে গেছে। তারপরেও এ বছর ২শ‘ কোটি টাকার আম বিক্রি করার আশা করছেন আম চাষিরা। জুন মাসের শেষের দিক থেকে আম বাজারে আসবে বলে আশা করছেন আম চাষিরা।

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সরোয়ারুল আলম জানান এ বছর রংপুরে ১ হাজার ৮শ’ হেক্টর জমিতে হাড়িভাঙ্গা আম হয়েছে। আম্ফানের সামান্য ক্ষতি হলেও প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়েছে যা গত বছরের চেয়ে বেশি। ফলে প্রায় ২শ’ কোটি টাকার আম বিক্রি করতে পারবে কৃষকরা। তিনি বলেন হাড়িভাঙ্গা আম চাষে কোন ক্ষতিকর কীটনাশক ব্যাবহার করা হয় না ফলে দেশবাসীকে নিশ্চিয়তা দিতে পারি কীটনাশক মুক্ত আম খেতে পারবে দেশে ও বিদেশের মানুষ।

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার পদাগঞ্জ এলাকায় হাড়িভাঙ্গা আম প্রথম উৎপাদন করে কৃষক সালাম। সম্পূর্ণ আঁশ মুক্ত ভীষণ সুস্বাদু হওয়ায় এ আমের চাহিদা এখন সারাদেশে। এখন বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গোপালপুর, পদাগঞ্জ কুতুবপুর ইউনিয়নের নাগেরহাট সর্দারপাড়া সদর উপজেলার সদ্যপুস্করনী ইউনিয়নের কাঁটাবাড়ির পাশে মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের সবগুলো গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় বাণিজ্যিকভিত্তিতে হাড়িভাঙ্গা আমের বাগান গড়ে উঠেছে। মূলত লালমাটি এলাকায় হাড়িভাঙ্গা আমের চাষ হয় আর লালমাটির আম ভীষণ সুস্বাদু। গত বছর আম চাষিরা আমের দাম ভালো পাওয়ায় আরও নতুন নতুন আম বাগান গড়ে তুলেছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। এবার হাড়িভাঙ্গা আমের ফলনও হয়েছে বাম্পার। তবে ক্ষুদ্র চাষিদের অভিযোগ তারা ন্যায্যমূল্য পায় না যদি আম সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা থাকতো তাহলে তারা আরও বেশি লাভবান হতেন। বড় বড় ব্যবসায়ীরা আগাম টাকা দিয়ে আমের বাগান কিনে নেয়ায় তারা লাভবান হচ্ছেন বেশি বলে আম চাষিদের অভিযোগ। তারপরেও হাড়িভাঙ্গা আম বদরগঞ্জ ও মিঠাপুকুর উপজেলার ৭০টি গ্রামের মানুষের ভাগ্যের চাকা খুলে দিয়েছে হাড়িভাঙ্গা আম। এই আম চাষ করে তারা এখন পুরোপুরি স্বাবলম্বী। সরেজমিন রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার পদাগঞ্জ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে সারি সারি আমের বাগান এমনকি প্রতিটি বাড়িতে ১০ থেকে ১৫টি কোন কোন বাড়িতে তার চেয়ে বেশি হাড়িভাঙ্গা আমের গাছ। সবগুলো গাছের আম আর ১৫/২০ দিনের মধ্যে পাকবে বলে আমচাষিরা জানাল। ওই এলাকার কৃষক মমতাজ উদ্দিন, আয়েন উদ্দিন, মোসলেমা বেগমসহ অনেকেই জানালো মাত্র ৮/১০ বছর আগেও এসব এলাকা ছিল চরম অভাবি মানুষ তিন বেলা তো দূরের কথা এক বেলাও খাবার জুটতোনা। এলাকার মাটি লাল হওয়ায় এখানে বছরে একবার ধান উৎপাদন হয়। বাকি ৮ মাস পতিত পড়ে থাকতো জমি। কিন্তু হাড়িভাঙ্গা আম তাদের ভাগ্যের চাকা বদলে দিয়েছে। এখন ধানের বদলে ওই জমিতে আমের বাগান গড়ে তুলেছেন তারা। বছরে আম বিক্রি করে তাদের সংসারে এখন সচ্ছলতা ফিরে এসেছে। কিন্তু যাদের জমি নেই সেই সব ভূমিহীন পরিবারগুলো তাদের বাস্তভিটাতেই হাড়িভাঙ্গা আম গাছ লাগিয়ে উৎপাদিত আম বিক্রি করে ভালোভাবেই জীবন যাপন করছেন। এলাকাবাসী জানালেন পদাগঞ্জ হাট এখন বাংলাদেশে অতি পরিচিত কারণ এখানে আমের মৌসুমে হাড়িভাঙ্গা আমসহ বিভিন্ন ধরনের আমের পাইকারী বাজার বসে। দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসে আম কিনে নিয়ে যায়। হোসনে আরা নামে এক মহিলা জানান, তার স্বামী ৫ বছর আগে মারা গেছে। ৫ সন্তান নিয়ে আনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটতো তাদের। স্বামীর রেখে যাওয়া ৪ বিঘা জমিতে আমের বাগান করে প্রতি বছর আম বিক্রি করেই ৩/৪ লাখ টাকা আয় হয় তাদের। এখন তিনি ছেলে মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করাচ্ছেন। হাড়িভাঙ্গা আম এতটা জনপ্রিয়তা পেয়েছে যে বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ গাড়িতে করে সরাসরি বাগান থেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছে। সবার একটাই দাবি আম সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা।

রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কর্মকর্তা ও রংপুরের বদরগঞ্জ ও মিঠাপুকুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের নিয়ে পদাগঞ্জ এলাকায় মতবিনিময় সভা করেছেন। সভায় হাড়িভাঙ্গা আম রাজধানী ঢাকা বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতে ব্যবসায়ীরা আম কিনে নিয়ে যেতে পারে সে জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক জানান, আমরা হাড়িভাঙ্গা আম যাতে নিরাপদে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাইকাররা নিয়ে যেতে পারে সে জন্য গাড়িতে বিশেষ স্টিকার দেবার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়াও পথে যাতে ব্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার না হয় সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানান। তিনি বলেন, এছাড়াও কুরিয়ার সার্ভিসগুলোর মাধ্যমে যাতে মানুষ আম নিয়ে যেতে পারে সে জন্য নগরীর কয়েকটি স্থানে ভ্রাম্যমাণ কুরিয়ার সার্ভিসের শাখা খোলারও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।