আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর হতে অনুরোধ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের

করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বগতি রোধ করতে চলমান লকডাউন ও বিধিনিষেধ মানাতে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর হতে অনুরোধ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একইসঙ্গে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, আর এর ব্যত্যয় হলে বর্তমান পরিস্থিতি আরও শোচনীয় অবস্থায় চলে যাওয়ার আশঙ্কা করছে অধিদপ্তর। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভার্চুয়াল বুলেটিনে এ কথা বলেন অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন।

তিনি বলেন, ‘দেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় এর বিস্তার ছড়িয়ে পড়ছে। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে মৃত্যু। বিদ্যমান পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ঢাকার চারপাশে কঠোর লকডাউন দেয়া হয়েছে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘সংক্রমণ কমিয়ে আনার জন্য চলমান লকডাউন ও বিধিনিষেধকে কঠোরভাবে মেনে চলার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রয়োজনে কঠোর হতে অনুরোধ করা হলো।’

বর্তমানে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে চলমান লকডাউন এবং বিধিনিষেধে জনগণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় কিছুটা অসুবিধা সৃষ্টি হচ্ছে জানিয়ে অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, ‘কিন্তু সংক্রমণ পরিস্থিতি মোকাবিলা করা, হাসপাতালের প্রস্তুতি নিতে সুযোগ দেয়া এবং মৃত্যু কমিয়ে আনার জন্য সবাইকে এ সহযোগিতা করতে হবে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, ‘গত এক সপ্তাহ ধরে দৈনিক রোগী শনাক্তের হার আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, মৃত্যুর হারও বাড়ছে গত এক থেকে দেড় মাসের ভেতরে।’ তিনি বলেন, ‘গত ১৬ থেকে ২২ জুন পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়েই যাচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই দৈনিক শনাক্ত চার হাজারের বেশি। বিশেষ করে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা সীমান্তবর্তী এলাকাতে বৃদ্ধি পেয়েছে অনেক বেশি।’

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সংক্রমণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গত এপ্রিল মাসে দেশে করোনা পরিস্থিতির ভয়ঙ্কর অবস্থা ছিল, একমাসেই প্রায় এক লাখ রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন। মে মাসে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রোগী শনাক্ত কমে আসে ৪১ হাজার ৪০৮ জনে, কিন্তু জুন মাসে ইতোমধ্যেই ৬০ হাজার ৬১০ জন রোগী শনাক্ত হয়ে গেছে।’ তাই জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। এছাড়া কোন উপায় নেই, বলেন তিনি।

আরও খবর
আওয়ামী লীগ গঠনের উদ্দেশ্য পূরণ হয়েছে : তোফায়েল
আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
টিকা কিনতে ৯৪ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি
সিদ্ধান্ত যথার্থ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তবে আলোচনা চান সিইসি
ভারতের সেরা পাঁচ রপ্তানি দেশের তালিকায় বাংলাদেশ
ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে আল্টিমেটাম সিপিবির
সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ঢাকা দখল ও দূষণমুক্ত রাখা হবে মেয়র আতিক
মাদকবিরোধী অভিযানে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ
বৃষ্টির কারণে এডিস মশার উপদ্রব বাড়ছে
মাকে বাঁচাতে গিয়ে বাবার অস্ত্রের আঘাতে প্রাণ হারালো ছেলে
মামলার রায় ও পর্যবেক্ষণে ‘অসঙ্গতি’, রাষ্ট্রপক্ষের আপিল দাবি

বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন ২০২১ , ১০ আষাঢ় ১৪২৮ ১২ জিলকদ ১৪৪২

বিধিনিষেধ মানতে

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর হতে অনুরোধ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বগতি রোধ করতে চলমান লকডাউন ও বিধিনিষেধ মানাতে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর হতে অনুরোধ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একইসঙ্গে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, আর এর ব্যত্যয় হলে বর্তমান পরিস্থিতি আরও শোচনীয় অবস্থায় চলে যাওয়ার আশঙ্কা করছে অধিদপ্তর। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভার্চুয়াল বুলেটিনে এ কথা বলেন অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন।

তিনি বলেন, ‘দেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় এর বিস্তার ছড়িয়ে পড়ছে। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে মৃত্যু। বিদ্যমান পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ঢাকার চারপাশে কঠোর লকডাউন দেয়া হয়েছে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘সংক্রমণ কমিয়ে আনার জন্য চলমান লকডাউন ও বিধিনিষেধকে কঠোরভাবে মেনে চলার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রয়োজনে কঠোর হতে অনুরোধ করা হলো।’

বর্তমানে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে চলমান লকডাউন এবং বিধিনিষেধে জনগণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় কিছুটা অসুবিধা সৃষ্টি হচ্ছে জানিয়ে অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, ‘কিন্তু সংক্রমণ পরিস্থিতি মোকাবিলা করা, হাসপাতালের প্রস্তুতি নিতে সুযোগ দেয়া এবং মৃত্যু কমিয়ে আনার জন্য সবাইকে এ সহযোগিতা করতে হবে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, ‘গত এক সপ্তাহ ধরে দৈনিক রোগী শনাক্তের হার আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, মৃত্যুর হারও বাড়ছে গত এক থেকে দেড় মাসের ভেতরে।’ তিনি বলেন, ‘গত ১৬ থেকে ২২ জুন পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়েই যাচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই দৈনিক শনাক্ত চার হাজারের বেশি। বিশেষ করে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা সীমান্তবর্তী এলাকাতে বৃদ্ধি পেয়েছে অনেক বেশি।’

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সংক্রমণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গত এপ্রিল মাসে দেশে করোনা পরিস্থিতির ভয়ঙ্কর অবস্থা ছিল, একমাসেই প্রায় এক লাখ রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন। মে মাসে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রোগী শনাক্ত কমে আসে ৪১ হাজার ৪০৮ জনে, কিন্তু জুন মাসে ইতোমধ্যেই ৬০ হাজার ৬১০ জন রোগী শনাক্ত হয়ে গেছে।’ তাই জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। এছাড়া কোন উপায় নেই, বলেন তিনি।